মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তাইওয়ানের চুক্তি মেনে নিতে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে একমত হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাইওয়ান এবং বেইজিংয়ের চলমান উত্তেজনার মধ্যে এই ঘোষণা এসেছে। এর ফলে তাইওয়ানের সাথে অনানুষ্ঠানিক সম্পর্ক রাখতে পারবে ওয়াশিংটন। স¤প্রতি তাইওয়ানের আকাশে চীনের রেকর্ড সংখ্যক সামরিক বিমান অনুপ্রবেশ করেছে। এতে তীব্র উত্তেজনা শুরু হওয়ার পর তাদের মধ্যে এই আলোচনার কথা সামনে এসেছে। ৪০ বছরের মধ্যে চীনের সঙ্গে খুব খারাপ সম্পর্ক যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন তাইওয়ানের কর্মকর্তারা। খবরে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন তিনি তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা এলাকায় বেইজিং রেকর্ড সংখ্যক যুদ্ধবিমান পাঠানোর পর এই ফোনালাপ হয়েছে। ‘তাইওয়ানে চীনের উস্কানি’ নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে জো বাইডেন মঙ্গলবার বলেছেন তিনি এবং শি জিনপিং ইস্যুটি নিয়ে আলাপ করেছেন। হোয়াইট হাউজে তিনি বলেন, ‘আমি তাইওয়ান নিয়ে (চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলাপ করেছি। আমরা একমত হয়েছি যে, তাইওয়ান চুক্তির প্রতি আমরা অনুগত থাকবো আর আমরা এটা স্পষ্ট করেছি যে আমার মনে হয় না তিনি এমন কিছু করবেন যা চুক্তি অনুমোদন করে না।’ গত সোমবার তাইওয়ান নিজেদের আকাশ প্রতিরক্ষা এলাকায় রেকর্ড ৫৬টি যুদ্ধবিমান শনাক্ত করে। গত শুক্রবার থেকে ধারাবাহিকভাবে ওই এলাকায় যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে বেইজিং। বুধবার তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিও কুয়ো-চেং পার্লামেন্টে বলেছেন, আন্তঃ উপত্যকা উত্তেজনা গত ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘২০২৫ সাল নাগাদ চীন পূর্ণ মাত্রায় গণতান্ত্রিক তাইওয়ানে আগ্রাসনে চালানোর সক্ষমতা অর্জন করবে।’ এর আগে, প্রেসিডেন্ট তাসাই ইন-ওয়েন সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তাইওয়ান চীনের হাতে পড়লে এর পরিণতি হবে মারাত্মক। মঙ্গলবার ফরেন পলিসি জার্নালে প্রকাশ হওয়া এক নিবন্ধে তিনি বলেছেন, হুমকির বিরুদ্ধে সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে তারা। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ কুও-চেং বলেছেন , চীনের সামরিক যুদ্ধবিমান বার বার তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা জোনে প্রবেশ করার পর তাইপে এবং বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা নতুন করে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাইওয়ানকে নিজেদের দ্বীপ এবং নিজস্ব ভ‚খ- বলে মনে করে চীন। পক্ষান্তরে তাইওয়ান নিজেদেরকে স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে। গত শুক্রবার থেকে শুরু করে চারদিনে তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা জোনে চীনের বিমান বাহিনীর প্রায় ১৫০টি যুদ্ধবিমান প্রবেশ করে বা এর খুব কাছ দিয়ে উড়ে যায়। এর মধ্য দিয়ে তাইওয়ানকে অব্যাহতভাবে চীন হয়রান করছে বলে তাইপের অভিযোগ। দেশটির পার্লামেন্টে চীনের এই সামরিক আগ্রাসন নিয়ে একজন আইনপ্রণেতা বা এমপি প্রশ্ন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিউ কুও-চেং’কে। রয়টার্স, সিনহুয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।