মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের সাথে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেয়ার জন্য সউদী নৌ বাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ করাচি বন্দরে এসে ভিড়েছে। পাকিস্তান ও সউদী আরবের এ সামরিক মহড়ার নাম দেয়া হয়েছে সামরিক সহযোগিতা জোরদার। মহড়ার দিন তারিখ এখনো প্রকাশ করা হয়নি এবং ধারণা করা হচ্ছে, দু’পক্ষের বিরাজমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা এবং সামরিক ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানো এ মহড়ার উদ্দেশ্য।
পাকিস্তান সম্প্রতি রাশিয়া ও কাতারসহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গেও যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে। পাকিস্তানের ঘন ঘন সামরিক মহড়া চালানোর অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে এ অঞ্চলে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মোকাবিলায় নিজেদের প্রতিরক্ষা শক্তিকে জোরদার করা।
খবরে বলা হয়, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পাকিস্তান বেশ কয়েকটি দেশের সাথে যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে রাশিয়া ও কাতারের কথা উল্লেখ করা যায়। সম্প্রতি পাকিস্তানের ইমরান সরকার জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য এ ধরনের সামরিক মহড়াকে বেছে নিয়েছে যাতে সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় সরকারের শক্তি ও আন্তরিকতার প্রমাণ দেয়া যায়। সম্প্রতি ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দেয়ার অভিযোগ এনে আফগানিস্তানের তালেবানসহ অন্য আরো বহু বিষয়ে ইসলামাবাদের নীতিতে পরিবর্তন আনার আহ্বান জানিয়েছে।
ইরানের আফগানিস্তান বিষয়ক রাজনৈতিক বিশ্লেষক সাইয়্যেদ আব্বাস হোসেইনি এ ব্যাপারে বলেছেন, আন্তর্জাতিক সমাজ পাকিস্তানের প্রতি তালেবানের নির্ভরশীলতার বিষয়ে অবহিত আছে। তালেবানকে সমর্থন দিতে গিয়ে পাকিস্তানকে ব্যাপক সামরিক মূল্য দিতে হয়েছে এবং এর ফলে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আকাশ, স্থল ও নৌপথে অন্য দেশের সঙ্গে পাকিস্তানের যৌথ সামরিক মহড়ার অন্যতম একটি প্রভাব হচ্ছে অন্য সব কিছুর তুলনায় সামরিক ক্ষেত্রে বাজেট বাড়ানো।
গত বছরের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, পাক সেনাবাহিনীর বাজেটের পরিমাণ সাত শতাংশ বেড়েছে। প্রকৃতপক্ষে, সামরিক শক্তির ওপর নির্ভর না করেই ভারত ও পাকিস্তান তাদের বিরোধ মিটিয়ে ফেলার সুযোগ রয়েছে এবং একে অপরের সামরিক শক্তি প্রদর্শনের কোনো প্রয়োজন নেই। পাকিস্তানের রাজনৈতিক কর্মী ও বিশ্লেষক হাসান ইকবাল মনে করেন, ঋণভাবে জর্জরিত হওয়ার কারণে পাকিস্তানের ৪৫ শতাংশ মানুষ দরিদ্রসীমার নীচে বসবাস করে। সরকার শিক্ষা খাতসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। পাকিস্তান ও সউদী আরব যদিও যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে এ অঞ্চলে নিজেদের শক্তিমত্তার প্রমাণ দেয়ার চেষ্টা করছে। আকাশ, স্থল ও নৌপথে অন্য দেশের সঙ্গে পাকিস্তানের যৌথ সামরিক মহড়ার অন্যতম একটি প্রভাব হচ্ছে অন্য সব কিছুর তুলনায় সামরিক ক্ষেত্রে বাজেট বাড়ানো। গত বছরের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, পাক সেনাবাহিনীর বাজেটের পরিমাণ ৭ শতাংশ বেড়েছে। আল-আরাবিয়া, ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।