মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সপ্তাহান্তে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের শেয়ার করা মন্তব্যের জন্য চীন সোমবার যুক্তরাষ্ট্রকে তাইওয়ানের বিষয়ে নাক না গলাতে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান দ্বীপের চারপাশে উস্কানিমূলক সামরিক ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করার জন্য চীনকে আহ্বান জানায়। চীন তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি। তারা মূল ভূখণ্ড থেকে তাইওয়ানের স্বাধীনতার দাবি করার সমস্ত প্রচেষ্টাকে ‘চূর্ণ’ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। রোববার, মার্কিনপররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের কাছে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের উস্কানিমূলক সামরিক তৎপরতায় খুবই উদ্বিগ্ন, যা অস্থিতিশীল, ভুল হিসাবের ঝুঁকি এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকেক্ষুণ্ন করছে। আমরা বেইজিংকে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে তার সামরিক, কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক চাপ এবং জবরদস্তি বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’ প্রাইসের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেন, ‘তাইওয়ান চীনের অন্তর্গত এবং যুক্তরাষ্ট্র কোনো দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করার অবস্থানে নেই। মার্কিন পক্ষের প্রাসঙ্গিক মন্তব্য এক-চীন নীতি এবং চীন-মার্কিন যৌথ বিজ্ঞপ্তির তিনটি শর্তাবলীকে গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করে এবং একটি অত্যন্ত ভুল এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন সংকেত পাঠায়।’ প্রাইসের মূল বক্তব্যটি এসেছে তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোন (এডিআইজেড) -এর এক জোড়া ব্যাক-টু-ব্যাক রেকর্ড ভাঙা চীনা সামরিক ফ্লাইটের প্রতিক্রিয়ায়। শুক্রবার, চীন তাইওয়ানের এডিআইজেডে রেকর্ড ৩৮টি যুদ্ধবিমান উড়িয়েছিল, তার পরের দিন শনিবার তাইওয়ানের এডিআইজেডে একটি নতুন রেকর্ড ৩৯টি যুদ্ধবিমান পাঠায়। সোমবার, প্রাইসের সতর্কীকরণ বক্তব্যের পরের দিন, চীন তাইওয়ানের এডিআইজেডে আরও ৫২টি সামরিক বিমান পাঠিয়েছে। তাইওয়ানে সাম্প্রতিক অস্ত্র বিক্রির জন্য হুয়া যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছেন। তাইওয়ানে অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি বাইডেন প্রশাসন অনুমোদন করেছে। সেইসাথে মার্কিন সামরিক বিমান তাইওয়ানে করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য অবতরণ করেছে। হুয়া বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে, যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে এবং তাইওয়ানের সাথে অফিসিয়াল এবং সামরিক সম্পর্ক জোরদার করে নেতিবাচক পদক্ষেপ নিচ্ছে, যার মধ্যে তাইওয়ানকে ৭৫০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রয় পরিকল্পনা চালু করা, তাইওয়ানে মার্কিন সামরিক বিমানের অবতরণ এবং ঘন ঘন তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ চলাচল।’ তিনি বলেন, ‘এই উস্কানিমূলক পদক্ষেপগুলো চীন-মার্কিন সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করে।’ যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে হুয়া বলেন, চীন’ তাইওয়ানের স্বাধীনতার ‘সমস্ত প্রচেষ্টাকে দৃঢ়ভাবে চূর্ণ করতে’ সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তার ভুল সংশোধন করা, এক-চীন নীতি এবং চীন-মার্কিন যৌথ বিজ্ঞপ্তির তিন শর্তাবলী আন্তরিকভাবে মেনে চলা, তাইওয়ান-সম্পর্কিত বিষয়গুলো বিচক্ষণতার সঙ্গে এবং সঠিকভাবে পরিচালনা করা, ‘তাইওয়ান স্বাধীনতার’ বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে সমর্থন ও উৎসাহ দেয়া বন্ধ করা। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার পরিবর্তে সুরক্ষায় কড়া পদক্ষেপ নিন। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার এবিসি নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ বলেছেন, ‘তার দেশ চীনের সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘চীন তাইওয়ানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করতে যাচ্ছে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করবো এবং এটাই আমাদের অঙ্গীকার।’ তিনি অস্ট্রেলিয়াকে গোয়েন্দা তথ্য ভাগাভাগি এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। সূত্র : আমেরিকান মিলিটারি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।