পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান থেকে টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. শিবলী সাদিকের নাম বাদ দেয়া (দায়মুক্তি) কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না? এই মর্মে হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রুল জারি করেছেন।
আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল সোমবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ ওই রুল জারি করেন। আওয়ামী লীগ নেতা এম. শিবলী সাদিক, দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারসহ ৬ জনকে তিন সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব ও ব্যারিস্টার এম. আশরাফুল ইসলাম। রুল সম্পর্কে ব্যারিস্টার এম. আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, টেস্ট রিলিফ (টিআর) ও কাজের বিনিময় টাকার (কাবিটা) ২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. শিবলী সাদিকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ২০১৭ সালে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক।
তিনি বলেন, অনুসন্ধান শেষে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি এম. শিবলী সাদিকের নাম অনুসন্ধান থেকে বাদ দেয়া হয়। দুদকের অনুসন্ধান থেকে শিবলী সাদিকের নাম বাদ দেয়ার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন এম আশরাফুল ইসলাম।
শুনানিতে অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দুদকের মামলায় ৫ বছর সাজা হয়। পরে হাইকোর্টে সেই সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হয়েছে। অথচ আওয়ামী লীগের এ নেতার নাম দুদকের অনুসন্ধান থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, যেখানে পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে কাবিটার ২৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। সরকারি এ টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে নিয়ে নিয়েছেন তিনি। সাবেক টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের বরাদ্দ করা টেস্ট রিলিফের ২৭ লাখ টাকা দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. শিবলী সাদিক ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। দুস্থ, অসহায় পরিবার ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে টিয়ার বরাদ্দ দেয়ার বিধান থাকলেও দেলদুয়ারে চলে হরিলুট। বিষয়টি নিয়ে দুদক অনুসন্ধানে নামে। অনুসন্ধান করে দুদক তার নামসহ অভিযোগটিও বাতিল করে দেয়। এ কারণে বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।