Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পশ্চিমা মিউজিয়ামগুলোয় কম্বোডিয়া থেকে লুণ্ঠিত পুরাকীর্তি প্রদর্শন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০৩ এএম

নিউইয়র্ক সিটির মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অফ আর্টসহ বেশ কয়েকটি বিশিষ্ট জাদুঘর কম্বোডিয়া থেকে লুন্ঠিত পুরাকীর্তি প্রদর্শন করছে। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে) প্রয়াত আর্ট ডিলার ডগলাস লেচফোর্ডের কম্বোডিয়া থেকে লুটকরা সন্দেহভাজন পুরাকীর্তিগুলির জন্য একটি সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করেছে। দ্য পোস্ট এবং আইসিআইজে প্যান্ডোরা পেপারস নামে ১১.৯ মিলিয়ন নথির তদন্তের পর এই অভিযান শুরু করা হয়। কম্বোডিয়ার প্রাচীন বস্তু লুটে নেওয়ার অভিযোগে লেচফোর্ডকে ২০১৯ সালে বিচার বিভাগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। তবে তিনি ২০২০ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই দাবিগুলি অস্বীকার করেছিলেন। দ্য পোস্ট জানায়, তদন্তকারীরা তাকে লুঠ করা জিনিসপত্রের সঙ্গে যুক্ত করতে শুরু করার কিছুদিন পরেই লেচফোর্ড এবং তার পরিবার ট্যাক্স হেভেনগুলিতে ট্রাস্ট স্থাপন করেছিল। পত্রিকাটি বলেছে যে ল্যাচফোর্ড লুন্ঠিত কম্বোডিয়ান আইটেমগুলির সঙ্গে জড়িত লেনদেনের জন্য একটি অফশোর ট্রাস্ট ব্যবহার করেছিল। ব্রিটিশ মিউজিয়ামের নাম উল্লেখ করেও বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর সঙ্গে জড়িত ডজনখানেক লুট করা জিনিসপত্র মিউজিয়ামটির সংগ্রহে রয়েছে। জাদুঘরগুলি পোস্টকে জানায়, তারা অর্জিত জিনিসগুলি চুরি না হওয়ার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করেছে। তারা আরো জানায়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রমাণের মান পরিবর্তিত হয়েছে। লেচফোর্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর থেকে, কিছু জাদুঘর চুরি হওয়া কম্বোডিয়ার নিদর্শন ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করেছে। দ্য মেট ২০১৩ সালে দশম শতাব্দীর দুটি পাথরের মূর্তি ফেরত পাঠিয়েছিল যা কম্বোডিয়ার কোহ কের থেকে লুট করা হয়েছিল। ল্যাচফোর্ডের মেয়ে নওয়াপন ক্রিয়াংসকও তার বাবার মৃত্যুর পর কম্বোডিয়ায় ৫০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পুরাকীর্তি ফেরত দেওয়ার প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শীঘ্রই বৈশ্বিক শিল্প বাণিজ্যে অন্যায়কে গোপন করতে কীভাবে অফশোর কোম্পানিগুলি ব্যবহার করা হয় তার তদন্ত সম্পর্কে আরো বিশদ প্রকাশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিজনেস ইনসাইডার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ