মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদে নারীর অংশগ্রহণ মাত্র ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১৫ সালে এ হার ছিল ১১ দশমিক ৫ শতাংশ। সে তুলনায় এখন হয়তো অংশগ্রহণ কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু তা সন্তোষজনক নয় বলে এক প্রতিবেদনে দেখিয়েছে দ্য ক্রেডিট সুইস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিএসআরআই)। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট। সিএসআরআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, যেসব দেশে প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনা পর্ষদে নারীর উপস্থিতি বেশি তার অধিকাংশই অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে। এসব দেশেই এ হার ৩৪ শতাংশ। বাকিটুকু পূরণ করেছে এ অঞ্চলের সবগুলো দেশ। চীনের পরিস্থিতিও আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। ২০১৫ সালে চীনে এ হার ছিল মাত্র ৩ শতাংশ, চলতি বছর এসে সেটি হয়েছে ১৩ শতাংশ। সে তুলনায় ভারত, জাপান ও কোরিয়ার অগ্রগতি খুবই কম। এ সময়ের মধ্যে তাদের উন্নতি ৩ শতাংশ থেকে বেড়ে কেবল ৫ শতাংশ হয়েছে। অন্যান্য দেশের মধ্যে হংকংও বেশ ভালোভাবে এগিয়েছে। দেশটির হ্যাং সেং সূচকের প্রধান ৫০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৪ শতাংশই গত বছর পরিচালনা পর্ষদে নারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে, ২০১৮ সালে যা ছিল মাত্র ৫ শতাংশ। পরিচালনা পর্ষদে নারীর অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে বিশ্বে এগিয়ে রয়েছে ইউরোপ। সেখানে এ হার ৩৪ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০১৫ সালে এ হার ছিল ১০ দশমিক ৯ শতাংশ। সে হিসাবে গত কয়েক বছরে দারুণ এগিয়েছে ইউরোপ। উত্তর আমেরিকায় নারীর অংশগ্রহণের হার ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ। সিএসআরআইয়ের বিষয়ভিত্তিক গবেষণার প্রধান ইউজিন ক্লার্ক বলেন, লিঙ্গবৈচিত্র্য হলো এমন একটি বিষয়, যেটিকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে গোটা বিশ্বকেই যত্ন নিতে হবে। আমরা দেখছি যে, প্রতিটি অঞ্চলেই আগের চেয়ে এ বিষয়ে উন্নতি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পরিচালনা পর্ষদে নারীর অংশগ্রহণের বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখছেন ও এতে উৎসাহ দিচ্ছে। প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, লিঙ্গবৈচিত্র্যসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মপরিবেশ অনেক বেশি ইতিবাচক এবং তাদের মুনাফাও বাড়ছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থানও আগের চেয়ে ভালো হয়েছে। গবেষণায় বলা হচ্ছে, পরিচালনা পর্ষদে নারীর অংশগ্রহণ বাড়লে চিন্তা-ভাবনায় বৈচিত্র্য আসে, যা দিনশেষে প্রতিষ্ঠানকে ভবিষ্যতের জন্য আরো টেকসই করে গড়ে উঠতে সহায়তা করে। গাও ক্যাপিটালের ৪০ শতাংশ জ্যেষ্ঠ নির্বাহীই নারী। এ মুহ‚র্তে তাদের পোর্টফোলিওতে সম্পদের পরিমাণ ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার, যার মধ্যে রয়েছে হোটেল, অফিস, শপিং মল ও আবাসিক উন্নয়ন। দ্য ক্রেডিট সুইস রিপোর্টে উঠে এসেছে, এখনো নারীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনেক বেশি সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়। পুরুষ মালিকের অধীন প্রতিষ্ঠানের চাইতে নানা ক্ষেত্রেই তাদের অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। বিশ্বের শীর্ষ ১০০ প্রতিষ্ঠানের কোনোটিই নারীর তৈরি বা কেবল নারীর মাধ্যমে পরিচালিত নয়। এমনকি সম্প্রতি স্টার্টআপগুলোর দিকে তাকালেও দেখা যাবে যে, নারীর চাইতে পুরুষ উদ্যোগের সংখ্যাই বেশি। প্রতি ১০০টি নতুন উদ্যোগ পুরুষ শুরু করে। আর নারীর ক্ষেত্রে এ সংখ্যা ৭৩। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা বাড়ছে। তবে দুই পক্ষের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, তা পূরণ করতে আরো অন্তত ১০ বছর লাগবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।