Inqilab Logo

রোববার, ০৯ জুন ২০২৪, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

গির্জায় গির্জায় হাজার হাজার যৌন-নির্যাতক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০২১, ১০:১০ এএম

অভিযোগ পুরোনো, তবে বর্তমানে তা ব্যাপকহারে বেড়েছে। তাই কর্তৃপক্ষ গঠন করেছে তদন্ত কমিটি। বিশেষ শিশু ও নারীদের ওপর যৌন নিপীড়নের মাত্রা বেড়েছে। এদিকে ফ্রান্সের রোমান ক্যাথলিক চার্চগুলোতে উনিশ শ’ পঞ্চাশের দশকে হাজার হাজার যৌন নির্যাতনকারী ছিলেন বলে একটি তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।

রোমান ক্যাথলিক চার্চে ঘটে যাওয়া বহু যৌন নির্যাতনের ঘটনার তদন্তের জন্য গঠিত এক নিরপেক্ষ কমিশন এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

কমিশনের প্রধান জঁ-মার্ক সোভ বলেছেন, সে সময় হাজার হাজার শিশু নির্যাতনকারী তৎপর ছিল এবং ‘এটি হচ্ছে ন্যূনতম অনুমান।’

ফরাসি বার্তা সংস্থাকে তিনি জানিয়েছেন, দুই হাজার ৯০০ থেকে তিন হাজার ২০০ শিশু নির্যাতনকারী পাদ্রী ও অন্যান্য যাজকদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহ করেছেন তারা।

মোট এক লাখ ১৫ হাজার জন পাদ্রী ও গির্জার অন্যান্য কর্মকর্তার ব্যাপারে এ তদন্ত চালানো হয়। রিপোর্টটি তৈরি হয়েছে চার্চ, আদালত এবং পুলিশের দলিলপত্রের আর্কাইভে পাওয়া তথ্য এবং যৌন নির্যাতনের শিকারদের সাক্ষাতকারের ওপর ভিত্তি করে।

মঙ্গলবার এই তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করা হবে। রিপোর্টটি আড়াই হাজার পৃষ্ঠার হবে।

যৌন নির্যাতনের শিকার একজন বলেছেন, এর ফল হবে বোমা বিস্ফোরণের মতো।

বিভিন্ন দেশে কয়েকটি কেলেংকারির ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর ফরাসি ক্যাথলিক গির্জা কর্তৃপক্ষ ২০১৮ সালে ওই তদন্তের আদেশ দেন।

কমিশনের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন ডাক্তার, ইতিহাসবিদ, সমাজবিজ্ঞানী এবং ধর্মতত্ত্ববিদরা। আড়াই বছরের মধ্যে সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি সাক্ষীর সাথে যোগাযোগ করা হয়।

রোমান ক্যাথলিক প্রকাশনা দ্য ট্যাবলেটের ক্রিস্টোফার ল্যাম্ব বলেছেন, এই যৌন নির্যাতন কেলেংকারি ক্যাথলিক চার্চকে গত ৫০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংকটে ফেলেছিল।

এর ধারাবাহিকতায় পোপ ফ্রান্স এ বছরই ক্যাথলিক চার্চে নিয়ম-কানুনে সংশোধনী আনেন যাতে যৌন নিপীড়ন, শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন, শিশু পর্নোগ্রাফি ও এসব ঘটনা চাপা দেবার চেষ্টাকে স্পষ্টভাবে অপরাধ হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়।

কমিশন প্রধান সোভ ফরাসী দৈনিক লা মন্ডেকে বলেছেন, এই প্যানেল এমন ২২টি ঘটনার তথ্যপ্রমাণ কৌঁসুলিদের হাতে তুলে দিয়েছে যেগুলোর ব্যাপারে এখনো ফৌজদারি পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব।

সূত্র : বিবিসি



 

Show all comments
  • Nasir ৪ অক্টোবর, ২০২১, ১:১৩ পিএম says : 0
    খৃস্টান যাযকদের বিবাহ করার অধিকার দিতে হবে। যার পুরুষত্ব আছে ও যৌন ক্ষমতা আছে, তার অধিকার কেড়ে নেওয়া সম্পূর্ণ অন্যায় ও পাপের কাজ। খৃস্টান যাযকদের বিবাহ করা নিষিদ্ধ, এটি সম্পূর্ণ অমানবিক, অন্যায় ও অধিকার কেড়ে নেয়া। খৃস্টান যাযকদের বিবাহ করার বিধান করে দিতে হবে। তাহলে যাযকদের দ্বারা শিশু ও নারী নির্যাতন অনেক কমে যাবে। বিবাহ হলো মৌলিক অধিকার। যত বড় ধর্মীয় পন্ডিত হোক বা ধর্মীয় গুরু হোক, তার জন্য বিবাহ করা হলো মৌলিক অধিকার।
    Total Reply(0) Reply
  • Nasir ৪ অক্টোবর, ২০২১, ১:১৭ পিএম says : 0
    খৃস্টান যাযকদের বিবাহ করার অধিকার না দিলে, তাদের দ্বারা শিশু ও নারী নির্যাতন হবেই।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যৌন-নির্যাতক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ