পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবশেষে রাজধানী ঢাকাসহ ৮ বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক সম্মান শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা। ‘ক’ ইউনিটের এই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন এক লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী। গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টায় শুরু হয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষা ঢাকার বাইরের কেন্দ্রগুলো হলো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (পরীক্ষার্থী ১৪ হাজার ৩২৮ জন), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (পরীক্ষার্থী ১১ হাজার ২১৭ জন), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (পরীক্ষার্থী ৭ হাজার ৮০৬ জন), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (পরীক্ষার্থী ৮ হাজার ৯২২ জন), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৩০৫ জন), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৪২৫ জন) ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (পরীক্ষার্থী ১০ হাজার ৩৫১ জন)।
‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান অনুষদ, জীববিজ্ঞান অনুষদ, ফার্মেসি অনুষদ, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদ, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সস অনুষদভুক্ত বিভাগগুলো এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের এক হাজার ৮১৫ আসনে ভর্তি হবে। এখানে আবেদন করেছেন এক লাখ ১৭ হাজার ৯৫৭ জন। যা গতবার ছিল ৮৮ হাজার ৯৭০। যার কারণে প্রতি আসনের বিপরীতে প্রতিযোগী ৪৯ থেকে বেড়ে ৬৪ জনে পৌঁছেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি অফিস থেকে জানা গেছে, পরীক্ষার মোট সময় এক ঘণ্টা ৩০ মিনিট। এমসিকিউ এবং লিখিত উভয় পদ্ধতিতে পরীক্ষা হচ্ছে। মোট নম্বর হবে ১০০, এর মধ্যে ৬০ নম্বরের এমসিকিউ। প্রতিটি বিষয়ে মোট নম্বর ১৫। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ এবং ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা হবে এবং তা বিষয়ভিত্তিক সমন্বয় করা হয়। এছাড়া ৪০ নম্বরের লিখিত অংশ থাকছে, তা ৪৫ মিনিটের হয়। প্রতিটি বিষয়ে মোট নম্বর ১০। প্রতিটি প্রশ্নের মান ২ থেকে ৫ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ। অংশগ্রহণকারীদের পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নসহ মোট চারটি বিষয়ের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
ভর্তি পরীক্ষার এমসিকিউ অংশের পাস নম্বর ২৪। এমসিকিউ পরীক্ষায় ২৪ নম্বর পেলেই কেবল লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের মূল্যায়নের জন্য বিবেচিত হবে। তবে এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মধ্য থেকে ‘ক’ ইউনিটের মোট আসনের কমপক্ষে ৫ গুণ লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হবে। লিখিত অংশের পরীক্ষায় পাস নম্বর ১২। তবে ১০০ নম্বরের মধ্যে এমসিকিউ এবং লিখিত পরীক্ষায় মোট পাস নম্বর ৪০। যারা ৪০ এর কম নম্বর পাবে, তাদের ভর্তির জন্য বিবেচনা করা হবে না।
মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে প্রার্থীদের অর্জিত মেধাস্কোরের ক্রমানুসারে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে। এজন্য মাধ্যমিক /ও-লেভেল বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত/হিসাবকৃত জিপিএকে দুই দিয়ে গুণ; উচ্চ মাধ্যমিক/এ-লেভেল বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত/হিসাবকৃত জিপিএকে ২ দিয়ে গুণ করে এ দুইয়ের যোগফল ভর্তি পরীক্ষায় ১০০-তে প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে যোগ দিয়ে ১২০ নম্বরের মধ্যে মেধা স্কোর নির্ণয় করে তার ক্রমানুসারে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।
আজ শনিবার কলা অনুষদ (খ ইউনিট), ২২ অক্টোবর ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ (গ ইউনিট), ২৩ অক্টোবর সামাজিক বিজ্ঞান (ঘ ইউনিট) এবং ৯ অক্টোবর চারুকলা অনুষদের পরীক্ষা (চ ইউনিট) অনুষ্ঠিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।