Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গ্রুপ পর্বেই শেষ বার্সার যাত্রা!

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০৪ এএম

২০০০ সালের জুলাইয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল লুইস ফিগোকে। পর্তুগালের সাবেক মিডফিল্ডারকে ছেড়ে দিয়ে ভক্তদের চরম সমালোচনার মুখে পড়েছিল বার্মেলোনা। সেপ্টেম্বরে তাদের নামতে হয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। সেবার এসি মিলান, লিডস ইউনাইটেড ও বেসিকতাসের গ্রুপে ছিল বার্সা। ওই মৌসুমে দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে পারেনি কাতালান ক্লাবটি। এরপর আর কখনোই এমন বিপর্যয় দেখতে হয়নি বার্সাকে। কিন্তু এবার?
সেবার যেমন দলের বড় তারকা ফিগোকে বিক্রি করে মহাবিপদে পড়েছিল বার্সা, এবার তেমনি ছেড়ে দিতে হয়েছে লিওনেল মেসিকে। ফল, লিগ টেবিলে ছয়ে থাকার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ পর্বে প্রথম দুই ম্যাচেই হেরেছে রোনাল্ড কোমানের দল। তা-ও যেনতেন হার নয়, এই দুই ম্যাচে তিনটি করে গোল হজম করেছে বার্সা। কোনো গোল করতে পারেনি, এমনকি এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যতগুলো দল খেলছে, তাদের মধ্যে একমাত্র দল হিসেবে প্রতিপক্ষের গোলপোস্ট তাক করে কোনো শট নিতে পারেনি!
‘ই’ গ্রুপ থেকে বায়ার্ন মিউনিখ, বেনফিকা ও ডায়নামো কিয়েভের পর তলানিতে অবস্থান বার্সার। ইতিহাস বলছে, ২১ বছর পর এবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে পড়া চোখ রাঙাচ্ছে কোমানের দলকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেবারই গ্রুপ পর্বে টানা দুই ম্যাচ হেরেছিল বার্সা (২০০০-০১ মৌসুম)। প্রথম ম্যাচে লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৪-০ গোলে জিতলেও বেসিকতাস ও মিলানের বিপক্ষে পরের দুই ম্যাচে হেরে যায়। তারপর এবার হার দেখতে হলো টানা দুই ম্যাচে। সেবার যেহেতু গ্রুপ পর্বের বাধা টপকাতে পারেনি, এবারও আশা ক্ষীণ। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে গ্রুপ পর্বে বার্সা আগে কখনোই নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ হারেনি। এবারই প্রথম!
বার্সার ইউরোপিয়ান ইতিহাসে কোনো প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই হারের প্রথম নজির ১৯৭২-৭৩ উয়েফা কাপে। পোর্তোর কাছে দুই লেগেই হারের পর আর গ্রুপ পর্বের বাধা টপকাতে পারেনি বার্সা। ৪৯ বছর পর এবার সে পথেই হাঁটছে কাতালান ক্লাবটি।
লিসবনে বার্সা যে মাঠে (বেনফিকার এস্তাদিও দা লুইজ) পরশু রাতে ৩-০ গোলে হেরেছে। গত আগস্টে এ মাঠেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৮-২ গোলে হারে বিধ্বস্ত হয়েছিল বার্সা। অর্থাৎ এস্তাদিও দা লুইজে শেষ দুই ম্যাচে ১১ গোল হজম করল কাতালান ক্লাবটি। সে যা-ই হোক, ২ ম্যাচে ০ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপের তলানিতে বার্সা। প্রশ্ন হলো, এই তলানি থেকে বার্সা কি পারবে শেষ ষোলোয় উঠতে?
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাস বলছে, এ পর্যন্ত মোট ১৪০টি দল গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে হেরেছে। এখান থেকে পরের ধাপে যেতে পেরেছে মাত্র ১২টি দল (৮.৬ শতাংশ)। বোঝাই যাচ্ছে, শেষ ষোলোয় যেতে হলে এই পরিসংখ্যানে যে স্রোত, তার বিপরীতে যাত্রা করতে হবে বার্সাকে। সে ক্ষেত্রে বার্সা প্রেরণা হিসেবে বেছে নিতে পারে অলিম্পিক লিওঁকে।
২০০৭-০৮ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই হারে ফরাসি ক্লাবটি। বার্সার মতোই প্রথম দুই ম্যাচে ৬ গোল (বার্সার কাছে ৩-০, এরপর রেঞ্জার্সের কাছে ৩-০ ব্যবধানের হার) হজম করেছিল লিওঁ। কোনো গোলও করতে পারেনি। কিন্তু গ্রুপের রানার্সআপ দল হিসেবে শেষ ষোলোয় উঠেছিল লিওঁ। বার্সা কি পারবে শেষ ষোলোর টিকিট ছিনিয়ে আনতে?



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বার্সার যাত্রা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ