Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট তাসকিনের দ্বিতীয় স্পেল

প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : ইংল্যান্ডের কাছে সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরে যে কতোটা হতাশ হতে হয়েছে, গতকাল সিরিজে ফিরে বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি তা এনেছেন প্রকাশ্যেÑ‘শেষ ম্যাচটি যেভাবে খেলেছি, তাতে খেলোয়াড়রা হতাশ ছিল। আজ (গতকাল) ওয়ার্মআপ পর্যন্ত খেলোয়াড়রা সেই হতাশা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ৩টা পর্যন্ত সিনিয়ার ক্রিকেটারটদের নিয়ে আমার রুমে বসে গল্প করেছি। কিভাবে হারলাম, তা ভোলার চেষ্টা করেছি। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটির মতোই আমরা একই ভুল করেছি।’
প্রথমে ব্যাট করে ২৩৮/৮ স্কোর করে গেম প্লানে ছিল দ্রæত ইংল্যান্ডের উইকেট তুলে নেয়া। ঠিক ৬ বছর আগে ব্রিস্টলের সেই ছবিই উঠেছিল ভেসে মাশরাফিরÑ‘এর আগেও আমরা ইংল্যান্ডের মাটিতেও এরকম একটা ম্যাচ হয়েছিল। রুবেল ব্রেক থ্রু দিয়েছিল। সেটাই মাথায় ছিল। তাই আজ (গতকাল) দ্রæত উইকেট নেওয়াতে সুবিধা হয়েছে। ৩০ রানের মধ্যে ওদের কয়েকটি উইকেট ফেলার পর মনে হয়েছে জিততে পারবো।’
২৫ ম্যাচ পর ম্যান অব দ্য ম্যাচÑতাও আবার অল রাউন্ড (৪৪ রানও ৪/২৯) পারফরমেন্সের পুরস্কার। সøগটা করেছেন দারুণ, নুতন বলেও দারুণ বোলিং। তার ব্যাখ্যাটা এভাবেই দিয়েছেন মাশরাফিÑ‘শেষ তিন-চার ম্যাচ অনেক কিছু চেষ্টা করেছি, ডিফেন্স করে উইকেটে থাকতে চেষ্টা করে পারিনি। তাই আজ আমার মাথায় ছিল ‘জাস্ট গো এন্ড সøগ’। ব্যাটিংয়ে এ আজ (গতকাল) অ্যাপ্রোচ ঠিক ছিল। আমরা তো পরিচিত ব্যাটসম্যান নই। আমি যখন ব্যাটিংয়ে আসি, তখন দলের স্কোর ১৬২ ছিল, আমি চেষ্টা করলে ২০০ হবে, তা ধরে নিয়েছিলাম। চেষ্টা করেছি শট খেলি, দেখা যাক কতোটা পথ যাওয়া যায়। ২০১৫ সালে নতুন বলে বোলিং করতে পারিনি। এখন মুস্তাফিজ নেই বলে তা করতে হচ্ছে। একটু চ্যালেঞ্জিং ছিল। গত বছর আমি ১০-১৫ ওভারের পর বোলিংয়ে এসেছি। তখন আমি ওই সময়ে সিমটা পাবো না- যেহেতু সিম-আপে বোলিং করি। নতুন বলে বল করতে গেলে খেয়াল রাখতে হয়। আজও আমি দুইটা কাটারে উইকেট পেয়েছি। তারপরও আমি সিমআপ ডেলিভারি বেশি করেছি। এতে সুইং করার বেশি সম্ভাবনা থাকে।’
প্রথম স্পেলে ইংল্যান্ডকে ব্যাকফুটে নামিয়ে এনেছেন মাশরাফি (৬-০-২১-৩)। তবে তাসকিনের দ্বিতীয় স্পেলকেই (৫-০-১৬-৩) ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট মনে করছেন মাশরাফি। ২ ওভারের প্রথম স্পেলে মার খাওয়ার পরও তাসকিনকে নিয়ে ঝুঁকি নিয়েছেন, তা বলেছেন মাশরাফিÑ‘সাকিব ও মুশফিককে ডেকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আসলে কি করা যায় সেটা জানতে। তাসকিন, মোসাদ্দেকে কিংবা রুম্মানকে দিয়ে একটা ওভার করানো যেত, এটা ছিল বিকল্প ভাবনা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাসকিনের উপর বিশ্বাস রেখেছি। কারণ ও দলের মূল বোলার, যথেষ্ট পেস আছে। উইকেট পেয়ে দিতে পারে। তাসকিন ওই স্পেলে অসাধারণ বোলিং করেছে। ৩টি উইকেট অর্জন করেছে। ওখানেই খেলাটা আমাদের হাতে চলে এসেছে।’ তাসকিনের ওই স্পেল ছাড়াও নাসিরের অল রাউন্ড পারফরমেন্সের প্রশংসা করেছেন মাশরাফি। এখন চোখ তার সিরিজে। চট্টগ্রাম থেকেই হোমে টানা ৭ম সিরিজ জয়ে পাচ্ছেন প্রেরণাÑ‘সিরিজ ২-১ করার সুযোগ আছে। বিশেষ করে এমন একটা ম্যাচ জয়ের পর সবার মনোবল ভালো অবস্থায় থাকার কথা। সবাই যদি ফিট থাকি এবং চট্টগ্রামে গিয়ে ভালোমত প্রস্তুতি নিতে পারি তাহলে ভালো সুযোগ থাকবে।’
প্রথম ম্যাচে স্পোর্টিং উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ দল। সিরিজে ফিরেছে বাংলাদেশ সেøা উইকেটে। তবে এমন উইকেট নাকি চান নি মাশরাফি। চেয়েছিলেন স্পোর্টিং পীচÑ‘আমরা আজ (গতকাল)ও স্পোর্টিং উইকেটে খেলতে চেয়েছি। আগের ম্যাচটি আমরা আমাদের দোষেই হেরেছি। আজকের উইকেট গত পুরো দুদিন ঢাকা ছিলো। বাংলাদেশের উইকেট ঢাকা থাকলে সেøা হয়ে যায়, এটাই স্বাভাবিক। আমরা টস জিতলে ফিল্ডিং করতাম।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট তাসকিনের দ্বিতীয় স্পেল
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ