মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বিশ্ব সম্প্রদায়কে আফগান তালেবানকে ‘ধারাবাহিক মানবিক ও উন্নয়নমূলক সহায়তা’ প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ এটি ‘তাদের প্রতিশ্রুতি পালনের জন্য তাদেরকে অতিরিক্ত উৎসাহ প্রদান করবে’।
ওয়াশিংটন পোস্টে একটি মতামত কলামে ইমরান খান লিখেছেন, আন্তর্জাতিক সাহায্য তালেবানকে তাদের প্রতিশ্রুতি মেনে চলার একটি ‘বৃহত্তর কারণ’ দেবে। তিনি যোগ করেছেন, ‘আজ, আফগানিস্তানের সাথে আরেকটি অধ্যায়ে, আমাদের অতীতের দোষারোপ নীতিকে স্থায়ী করার পরিবর্তে সেই দেশে আরেকটি সহিংস সংঘাত রোধ করতে ভবিষ্যতের দিকে নজর দিতে হবে।’ প্রধানমন্ত্রীর মতে, আফগানিস্তানে শান্তি নিশ্চিত করার জন্য তালেবানের সাথে জড়িত হওয়া ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’।
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আফগান সরকারে প্রধান জাতিগত গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি দেখতে চাইবে, সমস্ত আফগানদের অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাবে এবং প্রতিশ্রুতি দেবে যে, আফগান মাটি আর কখনও সন্ত্রাসবাদের জন্য ব্যবহার করা হবে না ... তাদের প্রতিশ্রুতি তারা পালন করবে যদি তারা ধারাবাহিক মানবিক ও উন্নয়নমূলক সহায়তার ব্যাপারে আশ্বস্ত হয়।’ প্রধানমন্ত্রী অভিমত ব্যক্ত করেন যে, আফগানিস্তানকে পরিত্যাগ করা ‘১৯৯০ এর দশকের মতো ... অনিবার্যভাবে একটি মন্থরতার দিকে নিয়ে যাবে। বিশৃঙ্খলা, শরনার্থী সঙ্কট এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ পুনরুজ্জীবিত হওয়ার হুমকি দেখা দেবে। এটি এড়ানো অবশ্যই আমাদের বৈশ্বিক অপরিহার্যতা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী ইমরান বলেছেন যে, তিনি ২০০১ সাল থেকে আফগানিস্তান সংঘাতের সামরিক সমাধানের বিপক্ষে ছিলেন, কিন্তু ৯/১১ এর পরের পাকিস্তানি সরকারগুলো সামরিক শাসিত পদ্ধতির ত্রুটি নির্দেশ না করে যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি করার চেষ্টা করেছিল। তিনি বলেন, ‘বৈশ্বিক প্রাসঙ্গিকতা এবং দেশীয় বৈধতার জন্য মরিয়া, পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফ ৯/১১ এর পর সামরিক সহায়তার প্রতিটি আমেরিকান দাবিতে সম্মত হয়েছেন। এর জন্য পাকিস্তান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে মূল্য দিতে হয়েছে।’
ইমরান বলেন, উপজাতীয় জেলায় পশতুন উপজাতিদের ‘তালেবান ও অন্যান্য গোষ্ঠীর সাথে গভীর জাতিগত সম্পর্ক’ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো আমেরিকাও শুধু ‘আফগানিস্তানের দখলদার’ ছিল। পাকিস্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে যে সমর্থন দিয়েছিল তা দেশের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী হামলারও কারণ হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ভূখণ্ডে ৪৫০ টিরও বেশি মার্কিন ড্রোন হামলার কারণে এটি আরও খারাপ হয়েছে। আমরাই ইতিহাসে একমাত্র দেশ যারা এত বোমা হামলার স্বীকার হয়েছেন একজন মিত্র দ্বারা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান ৮০ হাজারেরও বেশি হতাহত হয়েছে এবং অর্থনীতিতে ১৫০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি ক্ষতি করেছে। তিনি বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার ‘জনসমর্থনের’ কারণে এই সন্ত্রাসের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। সূত্র: ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।