মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভয়াবহ জ্বালানি সঙ্কটে পড়েছে ব্রিটেন। বন্ধ হয়ে পড়েছে অধিকাংশ পেট্রোল পাম্প। আচমকাই দেশে রটে যায়, পেট্রোল বহনকারী ট্রাক কম চলছে। ফলে, আগামী কয়েকদিন পেট্রোল নাও পাওয়া যেতে পারে। এদিকে সরকার ব্রেক্সিটের মূল অভিবাসন নীতি পরিবর্তন করে অবিলম্বে লরি ড্রাইভার সঙ্কট মোকাবিলার উদ্যোগ নিয়েছে।
সেই রটনার জেরে পেট্রোল পাম্পগুলোতে গত রোববার রাত থেকে লম্বা লাইন পড়ে যায়। আতঙ্কে সবাই গাড়ির জ্বালানি ট্যাঙ্ক ভর্তি করে ফিরেছেন। গতকাল সকালে দেখা গেল, অধিকাংশ পেট্রোল পাম্পের সামনে লেখা সাপ্লাই ক্লোজড। এ জন্য অনেক পাম্প গ্রাহকদের কাছে দুঃখও প্রকাশ করেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ব্রিটেনের ৯০ শতাংশ পেট্রোল পাম্প বন্ধ।
ব্রিটেনের পেট্রোল রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, দেশের ৯০ শতাংশ পেট্রোল পাম্পের মধ্যে অর্ধেকের বেশি পেট্রোল পাম্পে তেল নেই। রোববার রাতের মধ্যে অধিকাংশ পেট্রোল পাম্পের তেল শেষ হয়ে যায়। আচমকাই রটে যায়, আগামী কয়েকদিন ব্রিটেনে পেট্রোল নাও মিলতে পারে।
লন্ডনের মেয়র সাদিক খান বলেন, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এবং জরুরি পরিষেবার মজুদ আছে, কিন্তু হাসপাতাল এবং কেয়ার কর্মীদের পাশাপাশি ট্যাক্সি ড্রাইভাররা কাজে যাওয়ার জন্য জ্বালানি খুঁজতে হিমশিম খাচ্ছে। ব্রেক্সিটের পর ইউরোপ থেকে ট্রাকারের নির্বাসনকে দায়ী করে সমালোচকরা বলছে যে, তার কাছে পর্যাপ্ত জ্বালানি রয়েছে কিন্তু তা সরবরাহ করার জন্য পর্যাপ্ত লরিচালক নেই। যদিও মন্ত্রীরা জোর দিয়ে বলছেন যে, পরিস্থিতি ইইউ জুড়ে চালকের অভাবকে প্রতিফলিত করে, যা করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বেড়েছে। কিছু সুপার মার্কেটের তাক খালি রেখেছে এবং বড়দিনের জন্য ডেলিভারি নিয়ে শঙ্কা তৈরি করেছে।
বিজনেস সেক্রেটারি কোয়াসি কোয়ার্তেং বলেন, সরবরাহকারীরা ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করতে পারে এবং আরো কার্যকরভাবে একসাথে কাজ করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য তেল শিল্প প্রতিযোগিতা আইন স্থগিত করেছে’।
ব্রিটেনের পেট্রোল রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গর্ডন বামার দেশবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বলেছেন, দেশে যথেষ্ট পরিমাণ তেল মজবুত রয়েছে। জ্বালানি সঙ্কটের কোনো আশঙ্কা নেই।
ব্রিটেনে লরিচালক এবং পোল্ট্রিকর্মীর ঘাটতি কমাতে ১০ হাজার ৫০০ অস্থায়ী কর্মীর ভিসা দেবে দেশটি। ব্রেক্সিট পরবর্তী অভিবাসন নীতি থেকে ইউ-টার্ন নিয়ে ব্রিটিশ সরকার গত শনিবার এ ঘোষণা দেয়। এই ভিসা কার্যক্রম আগামী মাস থেকে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ চালু থাকবে।
যুক্তরাজ্যের রোড হাউলেজ অ্যাসোসিয়েশন (আরএইচএ) বলছে, ব্রিটেনে প্রায় ১০ লাখ চালকের অভাব রয়েছে। ব্রেক্সিট এবং করোনা মহামারির কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির খুচরা বিক্রেতারা সতর্ক করে বলেছেন, চালকের ঘাটতি দূর করা না গেলে ক্রিসমাস উৎসব কেনাকাটার আগে বড় সমস্যা দেখা দেবে। তবে দেশটির সরকার ঘাটতি মেটাতে ৫ হাজার ভারী ট্রাকচালককে জরুরি ভিত্তিতে ভিসা দিচ্ছে। এটা অস্থায়ীভাবে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে সাড়ে ৫ হাজার পোলট্রি কর্মীও আনা হচ্ছে বিদেশ থেকে।
অনেকের মতে, সরকার এখনই পদক্ষেপ না নিলে আগামী দিনে ব্রিটেনে ভয়াবহ খাদ্য সঙ্কট দেখা দিতে পারে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়বে। এর সুযোগ নেবে কালোবাজারিরা। তবে সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। সূত্র : ডন অনলাইন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।