Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জার্মানির দুই রাজ্য নির্বাচনেও এসপিডির জয়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:২২ পিএম

সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি রবিবার জার্মানির দুটি রাজ্যেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেকলেনবুর্গ ওয়েস্টার্ন পমেরানিয়া ও বার্লিন রাজ্যেও এসপিডি দল সরকার গড়তে চলেছে। ফলে সংসদের উচ্চ কক্ষে দলের শক্তি অক্ষত রইলো।

জার্মানির সামাজিক গণতন্ত্রী দলের জয়জাত্রা শুধু বুন্ডেসটাগ নির্বাচনেই সীমাবদ্ধ নেই। সামান্য ব্যবধানে হলেও ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বে এসপিডি দলের জয় হয়েছে। তবে ম্যার্কেলের ইউনিয়ন শিবিরের নেতা আরমিন লাশেট এখনো পরাজয় মেনে না নেয়ায় সরকার গঠনের প্রক্রিয়া জটিল হতে পারে। সমর্থনে বিশাল ঘাটতি সত্ত্বেও লাশেট সরকার গড়ার আশা ছাড়ছেন না।

যে দলের নেতৃত্বেই নতুন সরকার গঠন করা হোক না কেন, ক্ষমতার নিরিখে এসপিডি দল সুবিধাজনক অবস্থান নিশ্চিত করেছে। জার্মানির সংসদের উচ্চ কক্ষ বুন্ডেসরাট ১৬টি রাজ্যের প্রতিনিধিদের মঞ্চ। সব গুরুত্বপূর্ণ আইন সেখানেও অনুমোদন করাতে হয়। ফলে যে দলের হাতে বেশিরভাগ রাজ্যের রাশ রয়েছে, সেই দলের জোর যথেষ্ট বেশি। রোববার উত্তর পশ্চিমের জনবিরল রাজ্য মেকলেনবুর্গ ওয়েস্টার্ন পমেরানিয়া এবং বার্লিনে এসপিডির জয়ের পর বুন্ডেসরাটে এসপিডি দলের ক্ষমতা অক্ষুণ্ণ রইলো।

মুখ্যমন্ত্রী মানুয়েলা শ্ভেসিকের নেতৃত্বে জনবিরল রাজ্য মেকলেনবুর্গ ওয়েস্টার্ন পমেরানিয়ায় এসপিডি দল প্রায় ৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে বিশাল জয়ের মুখ দেখেছে। সেখানেও সিডিইউ দলের ভরাডুবি হয়েছে। প্রায় ১৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ঐতিহাসিক বিপর্যয়ের মুখ দেখেছে বিদায়ী চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দল। উল্লেখ্য, সেই রাজ্যেই ম্যার্কেলের এতকাল নির্বাচনি কেন্দ্র ও বাসস্থান অবস্থিত। এমন স্পষ্ট জয়ের পর এসপিডি জোট সরকার গড়ার একাধিক সুযোগ পাবে। রাজ্যের কাণ্ডারী হিসবে প্রথমবার নির্বাচনে অংশ নিয়ে এমন জয়ের মুখ দেখে মুখ্যমন্ত্রী শ্ভেসিক গভীর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

বার্লিন রাজ্যের নির্বাচনে এসপিডি দলের জয়ের ব্যবধান অবশ্য খুব বেশি নয়। প্রায় ২১ শতাংশ ভোট পেয়ে শহরের শাসক মেয়র হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন ম্যার্কেলের মন্ত্রিসভার প্রাক্তন সদস্য ফ্রানৎসিস্কা গিফাই। এসপিডি দলের এই নেতাকে পিএইচডি থিসিসে অনিয়মের অভিযোগে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল। সবুজ দল প্রায় ১৯ শতাংশ ভোট পেয়ে তার জয়কে কিছুটা ম্লান করে দিয়েছে। ফলে তাকে তিন দলের জোট সরকার গঠন করতে হবে। শুধ্যু লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যে এসপিডি দলকে ক্ষমতা ধরে রাখতে হবে।

২০২২ সালে জার্মানির চারটি রাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সিডিইউ নেতা আরমিন লাশেটের নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়াও তার মধ্যে রয়েছে। এসপিডি দলের জয়যাত্রা অব্যাহত থাকলে এই রাজ্যও সিডিইউ-র হাতছাড়া হতে পারে। রবিবারের সংসদ নির্বাচনে এসিপিডি নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়ায় সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে। ২০০৫ সালের পর এসপিডি এমন সাফল্য অর্জন করলো। উত্তরের শ্লেসভিক হলস্টাইন ও দক্ষিণের সারলান্ড রাজ্যেও ২০২২ সালে সিডিইউ পরাজয়ের মুখ দেখলে এসপিডি সংসদের উচ্চ কক্ষে নিজস্ব ক্ষমতা আরও জোরদার করতে পারবে। সূত্র: ডিপিএ, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এসপিডি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ