গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর শিক্ষার্থীদের জন্য সীমিত আকারে খুলে দেওয়া হেয়ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি। সেইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটগুলোর সেমিনার লাইব্রেরিও খোলা হয়েছে। প্রথম ধাপে শুধু স্নাতক চতুর্থ বর্ষ এবং স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরিতে এসে পড়ার সুযোগ পাবেন। তবে তাদের অন্তত এক ডোজ কোভিড টিকা নেওয়া থাকতে হবে। তাদের পরীক্ষা শেষ হলে নভেম্বরে অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীদেরও লাইব্রেরি ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল রোববার সকাল ১০ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র এবং টিকার কার্ড দেখানো শর্তে শিক্ষর্থীদের লাইব্রেরিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। শুক্রবার ও শনিবার বাদে সপ্তাহে পাঁচ দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখা হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি।
এদিন সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে দেখা যায়, তাপমাত্রা মেপে, হাতে স্যানিটাইজার দিয়ে তাদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়। বাইরে থেকে নিয়ে আসা বই ও ব্যাগ নিয়ে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। শুধু রেফারেন্স বই ব্যবহার করার শর্ত দেওয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের। লাইব্রেরি খুলে দেয়ার পর স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের বাইরেও চাকরি প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদেরও জোর করে ঢুকে যান। পরে বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর একেএম গোলাম রব্বানী ও প্রধান লাইব্রেরিয়ান (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাসির উদ্দিন মুন্সী বিজ্ঞান লাইব্রেরি পরিদর্শন করে চাকরি প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের মহামারীকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের শর্ত মেনে চলার অনুরোধ জানান।
একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরিতে পড়ালেখা করবে, এটা তো ভালো কথা। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে আমরা সীমিত সংখ্যক শিক্ষার্থীকে, অর্থ্যাৎ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুধু স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছি। চাকরি প্রত্যাশীদের সেটা বিবেচনায় রাখা উচিত। আগামী ৫ অক্টোবর থেকে খুলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী টিকার আওতায় এলে শ্রেণিকক্ষের পাঠদান শুরু হবে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মো. নাসির উদ্দিন মুন্সী বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা মূলত স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের পরীক্ষার্থীদের জন্য গ্রন্থাগার খুলেছি। তাদের পরীক্ষা শেষ হলে অন্যান্য বর্ষের শিক্ষারর্থীদেরও পর্যায়ক্রমে গ্রন্থাগার ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হবে। ব্যাগ ছাড়া খাতা কলম নিয়ে শিক্ষার্থীরা গ্রন্থাগারে প্রবেশ করতে পারছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।