মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইয়েমেনে দাফন অনুষ্ঠানে হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৪০ জন ছাড়িয়েছে
ইনকিলাব ডেস্ক : ইয়েমেনের রাজধানী সানায় এক দাফন অনুষ্ঠানে ১৪০ জনেরও বেশি লোক নিহত হওয়ার পর ওয়াশিংটন বলেছে, তারা তাৎক্ষণিকভাবে ইয়েমেনে সউদি নেতৃত্বাধীন জোটকে সমর্থন দেয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, সউদি আরবের সাথে আমাদের নিরাপত্তা বিষয়ক সহযোগিতা কোন অন্তঃসারশূন্য বিষয় নয়। এমনকি, আঞ্চলিক ব্যাপারেও আমরা সউদি আরবের নিরাপত্তায় তাদের পাশে আছি এবং থাকবো। ইয়েমেন সংঘাত নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন এবং কি ভাবে তা চলছে, আমরা তাও খতিয়ে দেখবো। প্রাইস বলেন, তাৎক্ষণিক পুনর্বিবেচনার বিষয়টি ভাবা হচ্ছে এবং ইয়েমেনের মর্মান্তিক সংঘাতের অবসান কিভাবে হবে, সে লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন নীতি, মূল্যবোধ ও স্বার্থ অক্ষুণœ রেখে সউদি জোটের প্রতি কিভাবে সমর্থন দেয়া যায়- তা সমন্বয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইয়েমেনের রাজধানী সানায় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুানে বিমান হামলায় নিহত মানুষের সংখ্যা ১৪০ জন ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে পাঁচ শতাধিক। বিমান হামলার পর ঘটনাস্থলকে রক্তের হ্রদ বলে বর্ণনা করেছেন এক উদ্ধারকারী। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। সানায় গত শনিবার ওই বিমান হামলা হয়। সউদি আরবের নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনী বিমান হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী হুতি গোষ্ঠী-নিয়ন্ত্রিত সরকার। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে সউদি আরব। হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ইয়েমেনে জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রমের সমন্বয়কারী জেমি ম্যাকগোল্ডরিক। এটাকে তিনি লোমহর্ষক হামলা বলে বর্ণনা করেছেন।
হামলার দ্রুত তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। হুতি গোষ্ঠী-নিয়ন্ত্রিত সরকার বলছে, তাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গালাল আল-রাবিশানের বাবার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠানে ওই হামলা হয়। বিমান হামলার পর ঘটনাস্থলের পরিস্থিতির বর্ণনা দেন মুরাদ তৌফিক নামের এক উদ্ধারকারী। তিনি ঘটনাস্থলকে রক্তের হ্রদ বলে বর্ণনা করেছেন। আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি) বলেছে, মরদেহ সরিয়ে নিতে তারা ৩০০টি ব্যাগ প্রস্তুত করেছে। আইসিআরসির ভাষ্য, স্থানটিতে কয়েকটি বিমানের সাহায্যে হামলা হয়েছে। সেখানে শত শত বেসামরিক মানুষ উপস্থিত ছিল। হামলায় হুতি বিদ্রোহীদের বেশ কিছু সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ইয়েমেনে ২০১৪ সালে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর হাজারো বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে।
অপর এক খবরে বলা হয়, রাজধানী সানায় হুতি বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দ-রাব্বু মনসুর হাদির অনুগত সেনাবাহিনীর একজন শীর্ষ জেনারেল নিহত হয়েছেন। উভয় পক্ষের বরাত দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশ পেয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, নিহত মেজর জেনারেল আব্দেল-রাব আল-শাদাদি ইয়েমেনের তৃতীয় সেনা অঞ্চলের প্রধান ছিলেন। যার প্রধান কার্যালয় ছিল সানার পূর্বাঞ্চলের শহর মারিবে। ইয়েমেনে প্রায় ১৯ মাস আগে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে এর আগে হাদিপন্থি সেনাবাহিনীর এত শীর্ষ পর্যায়ের আর কোনো কর্মকর্তা নিহত হননি। হুতি বিদ্রোহীদের পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সাবা নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়, গত শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে শাদাদির সঠিক অবস্থান নির্ণয়ের পর সেখানে কামানের গোলা বর্ষণ করা হয়। গত শনিবার সউদি আরব পরিচালিত আল-আরাবিয়া চ্যানেলের খবরে হাদি সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতির বরাত দিয় বলা হয়, মারিবে মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার পর হাসপাতালে মারা যান শাদাদি। ২০১৫ সালের মার্চে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সউদি আরব হাদিকে সমর্থন করছে। প্রতিবেশী ইরান হুতি বিদ্রোহীদের পক্ষ নিয়েছে। জাতিসংঘের উদ্যোগে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ অবসানের আলোচনা হয়েছে। যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। বিবিসি, রয়টার্স, ডিপিএ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।