Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সাথে বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতির মতবিনিময়

পোশাক শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে সহযোগিতা প্রয়োজন

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৪:৪৭ পিএম

বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেছেন, মহামারি করোনার ধাক্কা কাটিয়ে তৈরী পোশাক শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। তবে এ জন্য সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন। বন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট সেবাকে অত্যাবশ্যকীয় ও জরুরি সেবা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বন্দর কাস্টমস পরিবহন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের ধর্মঘটের মাধ্যমে আমদানি রফতানি কার্যক্রম ব্যাহত করার অপচেষ্টা বন্ধ করা প্রয়োজন।

শনিবার দুপুরে খুলশীর বিজিএমইএ ভবনের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি নাসিরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, মঈনুদ্দিন আহমেদ মিন্টু, সাহাবুদ্দিন আহমেদ, এসএম আবু তৈয়ব, সহ-সভাপতি রকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক এমএ সালাম, এম আহসানুল হক, এএম শফিউল করিম খোকন, তানভীর হাবিব, মেরাজ ই মোস্তফা কায়সার, মো. হাসান জেকি প্রমুখ।

সৈয়দ নজরুল বলেন, ব্রান্ডিং ছাড়া পোশাক শিল্পকে টিকিয়ে রাখা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে। শ্রমঘন শিল্প হওয়ায় আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছি। বিদেশ থেকে প্রচুর অর্ডার পাচ্ছি। এ খাতে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এর পুটো কাজে লাগাতে হবে।
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শিল্পনগর ও আনোয়ারা ইকোনমিক জোনে পোশাক শিল্পের কারখানা স্থাপনে স্বল্পমূল্যে ভূমি বরাদ্দ, সহজ ও স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ দেওয়া, চট্টগ্রামে কিছু ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় স্থাপন, চট্টগ্রামস্থ আমদানি রফতানি নিয়ন্ত্রকের দফতর, বস্ত্র অধিদফতর, ইপিবি, বিনিয়োগ বোর্ড, জয়েন্ট স্টক কোম্পানিকে সমস্যা সমাধানে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ক্ষমতায়ন, শাহ আমানত বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক কানেকটিভিটি বৃদ্ধির আহŸান জানান তিনি।

লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত ৪ হাজার ৭০০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২ হাজার ৭৩৪টি বন্ধ হয়ে গেছে। বাকি ১ হাজার ৯৬৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১ হাজার ৬০০টি আমদানি-রফতানি কাজে নিয়োজিত আছে। চট্টগ্রামে ৬৭৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বন্ধ ৩৯৮টি, আমদানি রফতানি কাজে নিয়োজিত আছে ১৯০টি। করোনা পরিস্থিতিতে গত মার্চ থেকে আগস্টের মধ্যে ঢাকায় ২৮১টি ও চট্টগ্রামে ৩০টি পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এক দশক আগেও তৈরি পোশাক রফতানিতে চট্টগ্রামের ৪৯ শতাংশ অংশগ্রহণ থাকলেও গ্যাস, বিদ্যুৎ সংকট অবকাঠামোগত বিভিন্ন সমস্যার কারণে ১৪ শতাংশে নেমে এসেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ