Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় প্রাণ গেল তিনজনের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১:০৪ এএম

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনজন। তাদের মধ্যে বাড্ডা থানার আফতাব নগরে লামিয়া গ্রæপের অফিসের ১০তলা থেকে নুর নবী ভ‚ঁইয়া (৬০) নামে একজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। গতকাল দুপুর ১টার দিকে আফতাব নগরের ২ নম্বর সেক্টরের নুরুল টাওয়ারের ১০ তলা থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক বিকেল ৩টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাড্ডা থানার এএসআই আব্দুল আউয়াল জানান, খবর পেয়ে নুরুল টাওয়ারের ১০তলা থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় অফিস কক্ষের ফ্যানের সঙ্গে বিছানার চাদর দিয়ে তার গলায় ফাঁস লাগানো ছিল। স্বজনদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, ধারণা করা হচ্ছে নুর নবী আত্মহত্যা করেছেন। কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কাজ করছেন।
নিহতের ছোট ভাই নুরুল কবির ভ‚ঁইয়া জানান, নুর নবী লামিয়া গ্রæপের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। সকাল ৯টার দিকে বাসা থেকে অফিসে যান। এরপর থেকেই তার ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। পরে অফিসে গিয়ে দেখতে পাই গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন তিনি। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় অফিসে অন্য কেউ ছিল না। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ব্যবসায়িক কারণে তিনি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। সেই হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন বলে আমাদের ধারণা। নুরুল কবির আরও বলেন, আমাদের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার আবিরপাড়া গ্রামে। আমরা আফতাবনগরের দুই নম্বর রোডে একসঙ্গে থাকতাম। ভাই অবিবাহিত ছিলেন।
এদিকে, কুড়িল বিশ্বরোডে ট্রেনের ধাক্কায় আব্দুল বারেক নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। তিনি গুলশানে নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করতেন। গতকাল সকাল পৌনে ৯টার দিকে কুড়িল বিশ্বরোড রেললাইনে এই ঘটনা ঘটে। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। নিহত আব্দুল বারেক নেত্রকোনা দুর্গাপুর উপজেলার পাইক পাড়া গ্রামের মৃত রহমত আলীর সন্তান। বর্তমানে গুলশান টেকপাড়া ৫ তলা বাজার এলাকায় থাকতেন।
বিমানবন্দর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সাকলাইন জানান, কুড়িল বিশ্বরোডে রেললাইন অতিক্রম করার সময় কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে মারা যায় ওই ব্যক্তি। গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে বারেক বাসা থেকে বের হয়েছিলেন।
এছাড়া ধনিয়া মোড় এলাকায় রাস্তা পারাপারের সময় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় মোছাম্মদ মহিফুল বেগম নামের বৃদ্ধা নারী নিহত হয়েছে। গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছেলে মিলন বলেন, আমার আম্মা বাসা থেকে বের হয় রাস্তা পারাপারের সময় উল্টো দিক থেকে একটি মোটরসাইকেলে সে তাকে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতাল পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরো জানান, আমাদের গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন থানার কালামুল্লাহ গ্রামে। বর্তমানে ধনিয়ার বেলতলা এলাকার মহিউদ্দিনের টিনশেড বাড়ির ভাড়াটিয়া। দুই ছেলে এক মেয়ের জননী ছিলেন তিনি।
অপরদিকে, গত বৃহস্পতিবার রাতে আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরির আঘাতে মো. মিরাজ খান নামের এক তরুণ গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঘটনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ