Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভিওআইপি ব্যবসায় জড়িত চক্রের চার সদস্য গ্রেফতার

সাড়ে ১৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির পরিকল্পনা

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১:০১ এএম

রাজধানীর ফকিরাপুল গরম পানির গলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায় জড়িত চক্রের চার সদস্যকে আন্তর্জাতিক কলিং কার্ডসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার র‌্যাব-১০ ও বিটিআরসির সমন্বয়ে যৌথ আভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
চক্রের সদস্যরা গত সাত থেকে আট বছর ধরে অবৈধভাবে ভিওআইপি কলের ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। সর্বশেষ চক্রটি রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার বড় পরিকল্পনা নিয়েছিল। চক্রটির প্রিন্টিং প্রেসে যে বিপুল পরিমাণ আন্তর্জাতিক কলিং কার্ড পাওয়া গেছে, সেগুলো ব্যবহার হলে সরকার প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকার মতো রাজস্ব হারাতো।
গ্রেফতারকৃতরা হলো-মো. আমির হামজা (৩৩), মো. আলমগীর হোসেন (৪৫), মো. শামীম মিয়া (২৯) ও মো. সাগর মিয়া (২৭)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ভিওআইপি ব্যবসায় ব্যবহৃত দুটি সিপিইউ, দুটি মনিটর, একটি মাউস, একটি কি-বোর্ড দুটি প্রিন্টার, দুটি জেনার, একটি পেপার কাটার মেশিন, একটি ডিজিটাল ওজন মেশিন ও চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাহফুজুর রহমান ওইসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিটিআরসি থেকে লাইসেন্স নেয়া ছাড়াই চক্রটি অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এই অসাধু ভিওআইপি ব্যবসায়ীরা প্রচলিত সফটওয়্যারভিত্তিক সুইচের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করে অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক কল রাউট করে ও স্থাপনা পরিচালনা করার মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান করত। এ ক্ষেত্রে রাজস্ব ও চার্জ ফাঁকি দেয়ার উদ্দেশ্যে চক্রটি যান্ত্রিক, ভার্চুয়াল এবং সফটওয়্যারভিত্তিক কৌশল অবলম্বন করে অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট ও রিচার্জ সেবা প্রদান করত।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘ সাত থেকে আট বছর ধরে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভিওআইপি ও আন্তর্জাতিক পেমেন্ট ও রিচার্জের ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। প্রিন্টিং প্রেসে ভয়েস পাকিস্তান, পাকিস্তান ভয়েস, কাতার এক্সপ্রেস, এশিয়ান টেলিকম, এনএস এক্সপ্রেস, প্রবাসী কার্ড, স্বপন টেল, সুপার কার্ড ও কাতার টুসহ মোট ১০৭টি কলিং কার্ড ক্লায়েন্টের দেড় লাখের বেশি কুপন পাওয়া গেছে।
চক্রটি কত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা করে আসছিল। তারা প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকার মতো রাজস্ব থেকে সরকারকে বঞ্চিত করতে চেয়েছিল।
একই সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির এনফোর্সমেন্ট এন্ড ইনস্পেকশন বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর এস এম গোলাম সারওয়ার বলেন, অবৈধ ভিওআইপির চক্রটি বিটিআরসির চোখ ফাঁকি দিয়ে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ টেলিযোগাযোগ সেবা দিয়ে যাচ্ছিল। অনেক সময় বিটিআরসির গ্যাপের কারণেও এ অবৈধ ভিওআইপিরা সাময়িক ব্যবসা করে। তবে একটা সময়ে তারা ধরা পড়ে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভিওআইপি

১৩ জুন, ২০২২
৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ