Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৫ ছাত্রী আক্রান্ত, ক্লাস বন্ধ

ঠাকুরগাঁওয়ে স্কুলে করোনার হানা

রুবাইয়া সুলতানা বাণী, ঠাকুরগাঁও থেকে | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:৫২ এএম

ঠাকুরগাঁওয়ে সদ্যখোলা স্কুলে হানা দিয়েছে মহামারী করোনা। সদর উপজেলার বাহাদুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঁচ শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ফলে ওই দুই শ্রেণির ক্লাস বন্ধ রেখেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বিষয়টি জানিয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. ফারহানা পারভীন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির ২ জন ও পঞ্চম শ্রেণির ৩ জন ছাত্রীর করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা দেওয়া হয়। গত মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাদের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। করোনায় আক্রান্ত চতুর্থ শ্রেণির ২ জন ও পঞ্চম শ্রেণির ৩ জনের বয়স ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। তারা সবাই মেয়ে শিক্ষার্থী এবং ঠাকুরগাঁও সরকারি শিশু পরিবার বালিকার সদস্য।
প্রধান শিক্ষক মোছা. ফারহানা পারভীন বলেন, আমার বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ৪২৬ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। এর মধ্যে চতুর্থ শ্রেণিতে রয়েছে ৮৪ জন ও পঞ্চম শ্রেণিতে রয়েছে ৭৬ জন ছাত্র-ছাত্রী। তিনি বলেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে পুনরায় স্কুল খোলা হয়। শিডিউল অনুযায়ী প্রথম শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নেওয়া হয়। বিদ্যালয়ে প্রবেশের সময় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করার পর শিক্ষার্থীদের ক্লাসে নেওয়া হয়।
ফারহানা পারভীন বলেন, গত মঙ্গলবার সরকারি শিশু পরিবার বালিকা কর্তৃপক্ষ জানায় আমাদের স্কুলে পড়ুয়া চতুর্থ শ্রেণির দুইজন ও পঞ্চম শ্রেণির তিনজন ছাত্রী জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হয়েছে। সেদিন তাদের করোনার নমুনা দেওয়া হয় পরীক্ষার জন্য। পরদিন জানতে পারি চতুর্থ শ্রেণির ২ জন ও পঞ্চম শ্রেণির ৩ জন ছাত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে আপাতত চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির পাঠদান বন্ধ করা হয়েছে এবং প্রথম শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম সচল রয়েছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মমতাজ ফেরদৌস বলেন, বাহাদুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ জন ছাত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়। এরপর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে আগামী এক সপ্তাহের জন্য ওই বিদ্যালয়ের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রকিবুল আলম চয়ন বলেন, সরকারি শিশু পরিবার বালিকার ১৩ জন ছাত্রীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আমরা তাদেরকে আলাদাভাবে আইসোলেশনে রেখেছি। এর পাশাপাশি আক্রান্তের দিন থেকেই আমরা তাদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। তারা বর্তমানে সুস্থ আছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, উপজেলার প্রত্যেকটি বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্যসুরক্ষা বজায় রেখে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। আমরা সব বিদ্যালয়গুলোকে সার্বক্ষণিক তদারকি করছি। স্কুলে আশা শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাণ করা হচ্ছে। যদি কোন শিক্ষার্থীর করোনার লক্ষণ দেওয়া যায় তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে তার নমুনা পরীক্ষা করছি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্কুল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ