নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এ বছরের অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ৮ ডিসেম্বর। এর আগে ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বিশেষ এক অনুরোধ রেখেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের কাছে। তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সে অনুরোধ রাখতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন মরিসন।
দীর্ঘ সূচির কারণে ইংলিশ ক্রিকেটারদের পরিবারের থেকে দূরে থাকতে হবে। আর একারণেই বরিস জনসন ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপার নজরে রেখেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি অনুরোধ জানান, ক্রিকেটারদের পরিবারের সদস্যদের যেন তাদের সঙ্গে ভ্রমণ করতে দেওয়া হয়। কিন্তু অজি প্রধানমন্ত্রী সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, ক্রিকেটারদের পরিবারের সদস্যদের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়।
ওয়াশিংটনে অবস্থানকালে অজি প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে সাক্ষাতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এই বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু এমন অনুরোধ মরিসন সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন। এ বিষয়ে আলোচনাই গড়াতে দেননি। অজি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চাই অ্যাশেজ মাঠে গড়াক। বরিসের সঙ্গে এ বিষয়ে গত রাতেই কথা হয়েছে আমার। কিন্তু ক্রিকেটারদের পরিবার নিয়ে বিশেষ কোনো নিয়ম আমরা করতে পারব না।’
অস্ট্রেলিয়া তাদের দেশের ৮০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ নিশ্চিত করতে চায়। আগামী সপ্তাহেই ৫০ শতাংশ নাগরিকের এই ভ্যাকসিনপ্রাপ্তি নিশ্চিত হবে বলে জানাচ্ছে অজি গণমাধ্যমগুলো। মরিসন বলেন, ‘ক্রিকেটারদের পরিবারদের জন্য বিশেষ নিয়ম চালু করা সম্ভব নয়। কারণ আমরা ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তিদেরই কেবল ভ্রমণের সুযোগ দিচ্ছি। এর বাইরে আমি কাউকে বিশেষভাবে বিবেচনা করতে পারব না।’ এ ক্ষেত্রে ক্রিকেটার ও সাধারণ মানুষের মধ্যেও কোনো পার্থক্য করতে রাজি নন অজি প্রধানমন্ত্রী, ‘যারা ক্রিকেট খেলতে আসছে আর যারা বিশেষ কোনো কাজেও আসছে, তাদের মধ্যে আমি কোনো পার্থক্য দেখছি না।’
মরিসনের এমন প্রত্যাখ্যানের আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, ‘আমিই ক্রিকেটারদের পরিবারের বিষয়টি আলোচনায় তুলেছিলাম। আর সে সময় তিনি (অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী) বলেছিলেন, তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন যেন ক্রিকেটারদের পরিবারের সদস্যদের জন্য কিছু করা সম্ভব হয়।’ শেষ পর্যন্ত অজি প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নাকচই করে দিয়েছেন।
চলতি সপ্তাহেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) কাছ থেকে আসন্ন অ্যাশেজ আয়োজনের বিস্তারিত হাতে পাবে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। এরপর ইসিবি জানতে পারবে কোয়ারেন্টিন বিধিনিষেধ ও ক্রিকেটারদের পরিবারদের ভ্রমণ বিষয়ক সিদ্ধান্ত। বায়ো বাবল বিষয়েও সিদ্ধান্ত আসবে ওই সময়ই।
সিএ’র কাছ থেকে পাওয়া তথ্য পরবর্তী সময়ে ক্রিকেটারদের পাঠাবে ইংলিশ বোর্ড। এরপরই খেলোয়াড়রা নিজেদের সিদ্ধান্ত জানাবেন। তবে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে অ্যাশেজের দল ঘোষণার আগেই ক্রিকেটারদের তাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জানাতে হবে বলে জানিয়েছে ইসিবি। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের অ্যাশেজ মাঠে গড়াবে ৮ ডিসেম্বর। সিরিজের শেষ টেস্টটি ১৪ জানুয়ারি শুরু হয়ে শেষ হবে ১৮ জানুয়ারি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।