মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তান দুঃখ প্রকাশ করে বলেছে যে, তালেবানদের সাথে শান্তি চুক্তি সহজ করতে এবং বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে বিদেশী সেনাদের প্রত্যাহারকে সহজ করতে পাকিস্তান যে সমর্থন দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র তা স্বীকার করতে ব্যর্থ হয়েছে। এদিকে, বিশ্ব যদি আফগানিস্তানকে পরিত্যাগ করে তাহলে বৈশ্বিক সন্ত্রাস শক্তি লাভ করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ডক্টর মইদ ইউসুফ।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভার পাশাপাশি ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন, ‘আমরা যাই করি না কেন, তাদের জন্য এটি কখনোই যথেষ্ট নয়।’ ওয়াশিংটন এখনও পাকিস্তানকে ‘আরো কিছু’ করার জন্য চাপ দিচ্ছে কিনা জানতে চাইলে, কুরেশি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যখন তালেবানদের সাথে আলোচনায় বসতে চেয়েছিল, পাকিস্তান সাহায্য করেছে এবং তাদেরকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে এসেছে। কিন্তু পাকিস্তানকে তার সমর্থনের জন্য স্বীকৃতি দেয়ার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্র উল্টো ‘আমাদের দিকে আঙুল তুলেছে’।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যখন তারা আফগানিস্তান থেকে তাদের লোকদের নিরাপদ পথে বের করে আনতে চায় - আমরা সাহায্য করেছি।’ তিনি বলেন, পাকিস্তান আফগানিস্তানের জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা বিতরণেও সাহায্য করতে ইচ্ছুক। ‘আমরা তা করতে ইচ্ছুক, আমরা সাহায্যের প্রস্তাব দেব। পাকিস্তান সহায়তা বিতরণের জন্য সেই কেন্দ্র হতে পারে।’ কুরেশি প্রশ্ন করেন, ‘আমাদের বলুন, আমরা আর কী করতে পারি, যেটা আমরা ইতিমধ্যেই করিনি?’ তিনি বলেন, ‘অনেক দিন ধরে যারা একটি সুস্থ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছে, তাদের জন্য এই মনোভাব সহায়ক নয়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই অঞ্চলে তাদের কতজন বন্ধু আছে - শুধু চারপাশে তাকান এবং দেখুন - শুধুমাত্র পাকিস্তানই সহায়ক হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘যদি আপনি আমাদেরকে কোণায় ঠেলে রাখেন, তাহলে এমন একটা সময় আসবে যখন পাকিস্তানের লোকেরা মনে করবে, আমরা যাই করি না কেন, তাদের খুশি করা অসম্ভব। কারণ তারা আরও চাইতে থাকে। এটি সম্পর্কের জন্য সহায়ক হবে না।’ তিনি আরও বলেন, তালেবানদের সন্ত্রাস দমন, মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে তাদের প্রতিশ্রæতি মেনে চলতে হবে। তবে অবিলম্বে অগ্রাধিকার দিয়ে অবশ্যই আফগান জনগণকে সাহায্য করতে হবে কারণ তারা একটি সম্ভাব্য মানবিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে।
এদিকে, বুধবার পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ডক্টর মইদ ইউসুফ বলেন, ‘পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তার মূলে হচ্ছে অর্থনৈতিক নিরাপত্তা।’ স্থানীয় হোটেলে ইংলিশ স্পিকিং ইউনিয়ন অব পাকিস্তান আয়োজিত ‘পাকিস্তান ফিউচার ডাইরেকশন’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে রাখা বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তার চ‚ড়ান্ত লক্ষ্য হল, সব পাকিস্তানি নাগরিকের জীবিকা এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তাই প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই রিয়াসাত-ই-মদিনার কথা বলেন। এটি মূলত বোঝায়, দরিদ্রতম পাকিস্তানি পরিবারও নিরাপদ রয়েছে এবং তাদের জীবিকার উপায় আছে। এটাই আমরা গ্রহণ করছি।’ তিনি বলেন, ‘এহসাসের মতো সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সবকিছুই আমাদের কোভিড থেকে বাঁচতে সাহায্য করেছে। সরকারের এই কল্যাণ অভিযোজন আমাদের তা করতে সাহায্য করেছে। তাই প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই রিয়াসাত-ই-মদিনা ধারণার ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস। এই ধারণাটি দরিদ্র পাকিস্তানি নাগরিকদের প্রতি সম্পদের পুনর্বণ্টন করার কথা বলে।’
আফগানিস্তানের বিষয়ে মইদ ইউসুফ বলেন, ‘আফগানিস্তানে শান্তি অপরিহার্য। আফগানিস্তান স্থিতিশীল না হলে, মধ্য এশিয়া থেকে বাণিজ্যিক করিডর পাওয়া যাবে না। এবং যদি আফগানিস্তান স্থিতিশীল না হয়, তাহলে আপনি আফগানিস্তানের মাধ্যমে আরও অবকাঠামো, আরও শক্তির জন্য পাকিস্তানের যে সংযোগ রয়েছে তা কীভাবে বাড়াবেন? এ কারণেই আফগানিস্তানে শান্তির এই তৃতীয় উপাদানটি গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বলেন, ‘আমরা নিরাপত্তার একটি ব্যাপক দৃষ্টিভঙ্গির দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করছি। এই সময়ে, বিশ্ব সবচেয়ে বড় যে ভুল করতে পারে তা হলো, অতীত নিয়েই পড়ে থাকা এবং আফগানিস্তানে আগের করা ভুলের পুনরাবৃত্তি করা। এই অঞ্চলটি পরিত্যক্ত হলে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ শক্তিশালী হবে। আমরা সেখানে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের পক্ষে। এর জন্য প্রয়োজন আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা।’ সূত্র : ডন, ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।