নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আজ থেকে ঠিক এক সপ্তাহ আগের আরেক শুক্রবারে প্রথম ওয়ানডে শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে নিরাপত্তা শঙ্কায় কোনো ম্যাচ না খেলেই পাকিস্তান সফর পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড। এরপরই শঙ্কা জাগে, হয়ত একই পথে হাঁটবে ইংল্যান্ডও। একটু সময় নিয়ে গত সোমবার এক বিবৃতিতে ইসিবি জানায়, ইচ্ছা না থাকলেও অক্টোবরে পুরুষ ও নারী দলের পাকিস্তান সফরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে তারা। তবে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) তাদের বিবৃতিতে নিরাপত্তা শঙ্কার কথা সরাসরি উল্লেখ করেনি। বরং তারা বলেছে এই অঞ্চলে ভ্রমণ নিয়ে দুর্ভাবনা ও কোভিড পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের মানসিক চাপ না বাড়ানোর কথা। তবে তাদের দেখানো কারণ বোধগম্য হচ্ছে না মাইকেল আথারটনের। এক্ষেত্রে ইসিবি মূল বিষয় আড়াল করেছে বলে মনে করছেন ধারাভাষ্যকার ও সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক। তার মতে, বিষয়টি ভারতের ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম টেস্ট না খেলার চেয়েও বাজে।
১৬ বছর পর অক্টোবরে ইংল্যান্ডেরও পাকিস্তান সফরের সূচি ছিল। পুরুষ ও নারী উভয় দলের খেলার সব কিছুই চ‚ড়ান্ত হয়ে যায়। কিন্তু নিউজিল্যান্ড সিরিজ বাতিল করায় এই সিরিজ নিয়েও আচমকা শঙ্কা তৈরি হয়। পরে তা বাতিল করে ইসিবি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান রমিজ রাজা এরই মধ্যে এই সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তার মতে, ক্রিকেটের ‘ওয়েস্টার্ন ব্লক’ একজোট হয়ে পাকিস্তানকে বিপাকে ফেলার আয়োজন করতেই এভাবে একের পর এক সফর বাতিল করছে। এর আগে ১৮ বছর পর দেশটিতে গিয়ে কোনো ম্যাচ না খেলেই পাকিস্তান ছাড়ে কিউইরা। রমিজের সুরেই যেন গতকাল ইংল্যান্ডের দ্য টাইমস-এ নিজের কলামে আথারটন লিখেছেন, যদি নিরাপত্তাই এভাবে আগেভাগে সফর বাতিলের কারণ হয়, তাহলে সেটা মেনে নেওয়ার মতো। কিন্তু ইসিবি অন্য যেসব কারণ উল্লেখ করেছে, সেটা কোনোভাবেই তার বোধগম্য নয়। একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, গত বছর বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপের পর ইংল্যান্ডে ক্রিকেট ফেরাতে পাকিস্তানের ভূমিকার কথা, ‘যদি নিরাপত্তা পরামর্শ (সফর) বাতিলের কারণ হয়, তাহলে তা সম্পূর্ণভাবে বোধগম্য হবে। কিন্তু যদি কোভিড পরিস্থিতিতে ক্লান্তির কথা বলা হয়, তাহলে গত গ্রীষ্মে মহামারীর সময় ইংল্যান্ডে সফরকারী দলগুলো কিসের মধ্য দিয়ে গিয়েছিল তা মনে রাখা উচিত, যা পেশাদার খেলাকে আর্থিক বিপর্যয় থেকে বাঁচাতে সাহায্য করেছিল। গত বছর পাকিস্তানের (ইংল্যান্ড) সফরের সময়, এই দেশে কোভিডে মৃত্যুর হার ছিল বিশ্বে তৃতীয় সর্বোচ্চ, যা ছিল পাকিস্তানে মৃত্যুর হারের চেয়ে ১৫০ গুণেরও বেশি। তারপরও পাকিস্তান এসেছিল, কে জানে তাদের সফরটি কতজন পেশাদার ক্রিকেটার এবং সাপোর্ট স্টাফকে চাকরি ধরে রাখতে সাহায্য করেছিল।’
চলতি মাসেই ভারতের ইংল্যান্ড সফরের সময় দলটির প্রধান কোচ রবি শাস্ত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন চতুর্থ টেস্ট চলাকালীন। এরপর আক্রান্ত হন দলটির সাপোর্ট স্টাফের আরও কয়েকজন। ক্যাম্পের ভেতরে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কায় ম্যানচেস্টারে পঞ্চম টেস্ট খেলতে অস্বীকৃতি জানায় ভারত। দু-পক্ষের মধ্যে আলোচনার পর পঞ্চম টেস্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে গত বছর দলের মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় মাঝপথে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর বাতিল করেছিল ইংল্যান্ড। আথারটনের মতে, ইংল্যান্ডের পুরুষ ও নারী দলের পাকিস্তান সফর বাতিল সে সব ঘটনাকেও ছাড়িয়ে গেছে, ‘এই সিদ্ধান্তটি গত বছর ইংল্যান্ডের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর বাতিল এবং এই মাসে ভারতের ম্যানচেস্টার টেস্ট বাতিল করার চেয়েও বাজে। যদিও এই দুটি পদক্ষেপের বিপক্ষে কথা বলা কঠিন, কারণ করোনাভাইরাস উভয় দলের কাছাকাছি এসেছিল, সেগুলো অন্তত বোধগম্য ছিল।’
ক্রিকেটারদের মানসিক ও শারীরিক ধকল নিয়ে ইসিবির যদি এতই ভাবনা থাকত, তাহলে তারা খেলোয়াড়দের কেন আইপিএলে খেলার অনুমতি দিয়েছে, সেই প্রশ্নও তোলেন ইংল্যান্ডকে ৫০ টেস্টে নেতৃত্ব দেওয়া প্রথম অধিনায়ক আথারটন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।