নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া হকির সর্বোচ্চ আসর প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যই ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের। লক্ষ্যপূরণে এবার বেশ কিছু তারকা খেলোয়াড় দলে ভিড়িয়েছে তারা। দলবদলে এনেছে নতুনত্ব। অতীতে লিগ শুরুর আগে দলবদলে অংশ নিতে সাদাকালোরা ঘোড়ার গাড়ি বা হাতি ব্যবহার করলেও এবার মোটর শোভাযাত্রায় এতে অংশ নিয়েছে তারা। গতকাল বিকালে ভেপু আর বাদ্য যন্ত্রের তালে তালে মোটর শোভাযাত্রায় দলবদলে অংশ নিতে মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে আসেন মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। এদিন ১৫ জন খেলোয়াড়কে নিবন্ধন করান সাদাকালোর কর্তারা। দলবদল কার্যক্রম শেষে মোহামেডান কোচ মওদুদুর রহমান শুভ জানান, তাদের প্রধান লক্ষ্য শিরোপা ধরে রাখা। তিনি বলেন, ‘আমরা ভারসাম্যপূর্ণ দল গড়েছি এবার। দলে বিদেশি আনার চেষ্টা থাকলেও তাদের জন্য আমরা বসে থাকিনি। শিরোপা জেতার জন্য স্থানীয় খেলোয়াড়রাই যথেষ্ট।’ শিরোপা ধরে রাখতে দলে রাখা হয়েছে নিয়মিত ফরোয়ার্ড রাসেল মাহমুদ জিমিকে। একই দলে খেলবেন দেশের অন্যতম সেরা পেনাল্টি স্পেশালিষ্ট (পিসি) ও ডিফেন্ডার আশরাফুল ইসলাম। আবাহনীর ঘর ভেঙ্গে আশরাফুলের সঙ্গে আনা হয়েছে মাঝমাঠের সারোয়ার হোসেনকেও। আক্রমণভাগ শানাতে ঢাকা মেরিনার ইয়াংস থেকে টানা হয়েছে মাইনুল ইসলাম কৌশিক এবং ডিফেন্ডার সারোয়ার মোর্শেদ শাওনকে। যাকে মোহামেডান ছিনতাই করেছে বলে অভিযোগ ছিল মেরিনারের। অবশ্য আগের দিন দলবদলে এসে শাওনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেছেন মেরিনার হকি দলের ম্যানেজার নজরুল ইসলাম মৃধা। এ বিষয়ে মোহামেডান হকি দলের ম্যানেজার ও সাবেক তারকা খেলোয়াড় আরিফুল হক প্রিন্স বলেন, ‘শাওন আমাদের খেলোয়াড়। মোহামেডানের হয়েই তিনি টোকেন জমা দিয়েছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমরা এবারও শিরোপা জিততেই খেলবো। সেই প্রত্যাশা নিয়েই শক্তিশালী দল গড়েছি।’
দেশসেরা খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমিও শিরোপা জেতার ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘মোহামেডান সব সময় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই হকিতে দল গড়ে। গত আসরে (২০১৮) আমরা শিরোপা জিতেছিলাম। এবার শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নামবো।’ জিমি আরো বলেন, ‘এই মৌসুমে ক্লাব কাপ হকি ও প্রিমিয়ার লিগ- দু’টি শিরোপাই আমরা জিততে চাই।’ নিবন্ধন করা মোহামেডানের ১৫ সদস্যের দলে ছয়জন জাতীয় দলের খেলোয়াড় রয়েছেন। এরা হলেন- রাসেল মাহমুদ জিমি, আশরাফুল ইসলাম, সারোয়ার হোসেন, মইনুল ইসলাম কৌশিক, প্রিন্স লাল সামন্ত ও খালেদ মাহমুদ রাকিন। এদের মধ্যে প্রথম চারজন নৌবাহিনীর।
মোহামেডানের পক্ষে দলবদল করা খেলোয়াড়রা হলেন- রাসেল মাহমুদ জিমি, অজিত কুমার ঘোষ, খালেদ মাহমুদ রাকিন, নাসির হোসেন, আশরাফুল ইসলাম, সারোয়ার হোসেন, মইনুল ইসলাম কৌশিক, তাহের আলী, আল আমীন, প্রিন্স লাল সামন্ত, রাজীব দাস, আহসান হাবিব বন্ধন, আজিজার, আমিরুল এবং সারোয়ার মোর্শেদ শাওন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।