দেশে দেশে রোজার উৎসব
মাহে রমজান আরবী নবম মাসের নাম। চাঁদের আবর্তন দ্বারা যে এক বৎসর গণনা করা হয়,
ইসলাম সর্বজনীন একটি ধর্মের নাম। চৌদ্দশত বছর পূর্বে আরব দেশে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ এর নির্দেশে হযরত মুহাম্মাদ সা. প্রতিষ্ঠা করেন। মূলত ইসলামের পথচলা শুরু হয়েছে হযরত আদম আ. থেকে। আল্লাহ তাআলা যুগানুপাতে পৃথিবীর বুকে যে আইন -কানুন, রীতি-নীতি ও বিধি-বিধান দিয়ে আসছিলেন তার পরিপূর্ণ রূপ হল ইসলাম। ইসলামের নবী হলেন হযরত মুহাম্মাদ সা.। ইসলামের ধর্মীয় গ্রন্থ আল-কুরআন। ইসলামী হুকুম আহকামের উৎসমূল চারটি। কুরআনুল কারীম, হাদীস শরিফ, ইজামা ও কেয়াস। ইসলামের মৌলিক স্তম্ভ হলো পাঁচটি। ঈমান, নামাজ, রোযা, হজ্জ ও যাকাত। ইসলামের মূল শিক্ষা হলো, আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বুদ নেই হযরত মুহাম্মাদ সা. আল্লাহর রাসূল। ইসলাম মানবতা, সাম্য, শান্তি ও শৃংখলার ধর্ম। ইসলাম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম। এবং সবচেয় দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান ধর্ম। ইসলামকে অনুসরণ করেন বিশ্বের ১.৯ বিলিয়ন লোক। পৃথিবীর মোট জনসখ্যার ২৪.৪% মুসিলম। বিশ্বের ৫০ এর অধিক দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যা হল মুসলিম। ইসলামের উৎপত্তি ৭ম শতকের শুরুতে আর ৮ম শতক নাগাদ উমাইয়া খিলাফত পশ্চিমে ইবেরিয়া ( স্পেন) আর পূর্বে সিন্ধু নদ পর্যন্ত বিরাট অঞ্চল জুড়ে সম্প্রসারিত হয়। ইসলামের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্তুরকে স্বর্ণযুগ বলা হয়। ইসলাম বিস্তৃত লাভ করেছে ধর্ম প্রচার তথা দাওয়াত ও রাজ্য জয়ের মাধ্যমে। আজো ইসলামের পরিধি বাড়ছে। বাড়ছে দিকে দিকে মুসলিম জনসংখ্যা। পৃথিবীর ধ্বংসের পূর্বে পূর্বে এ পৃথিবীর প্রধান সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যা হবে মুসলিম।
ইসলামের অর্থ
ইসলাম একটি আরবী শব্দ। ইসলাম শব্দটি পাঁচটি বর্ণ যুক্ত হয়ে গঠিত হয়েছে। আলিফ, সীন, লাম, আলিফ ও মীম। বাবে ‘ইফআল’ এর মাসদার (ক্রিয়ামূল)। বুৎপত্তিগতভাবে কয়েকটি অর্থ দাঁড়ায়। যথা, বাহ্য ও অভ্যন্তরীণ উভয়বিধ পবিত্রতা, দোষ-ত্রুটি থেকে মুক্ত থাকা। দ্বিতীয়ত, সন্ধি ও নিরাপত্তা। তৃতীয়ত, শান্তি। চতুর্থত হলো আনুগত্য ও হুকম পালন।
সালাম ও সাল.ম শদ্বদয়ের অর্থ হলো আনুগত্য, আত্মসমর্পন, হুকম পালন, পবিত্র ও দোষ-ত্রুটিমুক্ত হওয়া। এ ধাতু থেকে ক্রিয়া পদ হয়, ‘আসলামা’ অর্থ : ইসলাম গ্রহণ করল। ক্রিয়াবিশেষ্য হয় ‘ইসলাম’ অর্থ হলো, আত্মসমর্পন। আর কতৃকারক হয় ‘য়ুসলিমু’ অর্থ হলো, ইসলাম গ্রহণকারী।
কুরআনে ইসলাম সম্পর্কে আলোচনা
ইসলাম শান্তি ও নিরাপত্তার ধর্ম। ইসলাম মনুষ্য জীবনের পরিপূর্ণ জীবন বিধান। Islam is the complete code of life. আল্লাহ তাআলা বলেন, আল্লাহর নিকট মনোনীত ও পছন্দনীয় ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। ( আল-ইমরান আ/১৯) ইসলামই মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কাছে মনোনিত ধর্ম। অন্য সব ধর্ম, পথ ও মত পরিত্যজ্য ও অগ্রহণীয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন এর আনুগত্য করবে সেটি আল্লাহর কাছে কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না। বরং সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্থতের অন্তর্ভূক্ত হবে। (সূরা আল-ইমরান আ/৮৫) ইসলামই একমাত্র পালনীয় ও আনুগত্যের ধর্ম। এ ধর্মই মানার মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতে মুক্তি মিলবে। এটি একমাত্র পরিপূর্ণ ধর্ম। এতে কেউ বাড়াতেও পারবে না কমাতেও পারবে না। ইসলামের কুরআন আজো অবিকল নাযিলকৃতই রয়েছে। ইসলাম ধর্মকে আল্লাহ নিজেই পরিপূর্ণ করেছেন। আল্লাহ তাঅলা বলেন, আজকের দিনে আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন (ইসলাম) কে পরিপূর্ণ করে দিলাম। এবং তোমাদের জন্য সম্পূর্ণ করলাম আমার নেয়ামতকে। আর ইসলামকে তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম। (সূরা মায়েদা আ/৩) আল্লাহ তাআলা ইসলামকে পরিপূর্ণ করেছেন। ইসলামই সঠিক ও হেদায়াতের ধর্ম ও পথ। আল্লাহ তাআলা পৃথিবীতে সকল ধর্ম থেকে, সকল মত ও পথ থেকে ইসলামকে প্রাধান করেছেন। আল্লাহ তাঅলা বলেন, তিনি সেই সত্তা যিনি তার রাসূলকে পাঠিয়েছেন হেদায়াত ও সত্য দ্বীন দিয়ে। সমস্ত তন্ত্র-মন্ত্র ও ধর্ম থেকে প্রাধান্য দেয়ার জন্য। যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করেন। (সূরা তাওবা আ/৩৩) ইসলাম ছাড়া অন্যসকল ধর্ম বাতিল। বরং ইসলামের দিকে আহবান করার পরও যদি ইসলামে না আসে তবে সে অন্যায় কারী আল্লাহ তাআলা বলেন, আর তার চাইতে কে বেশী অন্যায়কারী যে আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা রচনা করে, অথচ তাকে আহবান করা হচ্ছে ইসলামের দিকে? আর আল্লাহ অন্যায়য়াচারী জাতিকে সৎপথে চালান না। (সূরা সাফ আ/৭) যারা অন্যায় করে যারা ঈমান নিয়ে আসে না তাদেরকে আল্লাহ ইসলামের ছায়া তলে স্থান দেননা। আল্লাহ তাআলা বলেন, অতএবআল্লাহ যদি কাউকে ইচ্ছা করেন যে তিনি তাকে ধর্মপথে পরিচালন করবেন, তবে তার বক্ষ তিনি ইসলামের প্রতি প্রশস্ত করবেন, আর যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন যে তিনি তাকে পথভ্রষ্টতায় ফেলে রাখবেন তার বক্ষকে তিনি আটোঁসাঁটো ও সংকীর্ণ করে ফেলেন যেন সে আকাশে আরোহণ করে চলেছে। এভাবে আল্লাহ কলুষতা আনয়ন করেন তাদের উপরে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে না। (সূরা আন-আম আ/১২৫) ইসলাম গ্রহণ করতে পারা ভাগ্যের ব্যপার। এটি আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহ মাত্র। আল্লহ তাআলা বলেন, ঐার বুক আল্লাহ ইসলামের প্রতি প্রশস্ত করেছেন, ফলে সে তার প্রভুর কাছ থেকে এক আলোকে রয়েচে সে কি-? সুতরাং ধিক তাদের জন্য যাদের হৃদয় আল্লহার স্মরণে সুকঠিন। এরাই রয়েছে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে। (সূরা জুমার আ/২২) যে ইসলামে প্রবেশ করতে পেরেছে সে ইসলাম বা রাসূল ও আল্লাহর উপকার করেনি বরং তার উপকার হয়েছে। এটি আল্লাহ পাকের দয়া ছাড়া আর কিছুই নয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, তারা তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছে যেহেতু তারা মুসলিম হয়েছে। তুমি বল তোমাদের ইসলাম আমার প্রতি কোন অনুগ্রহ বলে ভেবো না, বরং আল্লাহই তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন যেহেতু তিনি ধর্মবিশ্বাসের প্রতি তোমাদের পরিচালিত করেছেন, যদি তোমরা সত্যপরায়ণ হও। (সূরা হুজরাত আ/১৭)
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে মুসলিম বানিয়ে সবচেয় বড় অনগ্রহ করেছেন। এর প্রতিদান আমাদেরকে দিতে তা পরিপূর্ণ মান্য করার মাধ্যমে। ইসলামই কেয়ামত পর্যন্ত জীবন্ত থাকবে। ইসলামের প্রাণ চঞ্চলতা থাকবে চির বহমান। এ ইসলাম ও মুসলিম হয়েই কবরে যেতে হবে। তাই আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমারা মুসলিম না হয়ে কবরে এসো না। সুতরাং আমাদেরকে খাটি মুসলিম হয়ে, ইসলামের উপর জীবন যাপন করে কবরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে আমাদের জন্য বুদ্ধিমানের কাজ।
কুরআনের কয়েকস্থানে ইসলাম শব্দের ভিন্নরূপে ব্যবহার
আর যদি তারা শান্তির দিকে ঝোঁকে তবে তুমিও এর দিকে ঝুঁকবে, আর আল্লাহর প্রতি নির্ভর করো। নিঃসন্দেহ তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা। (সূরা আনফাল আ/৬১) এখানে ‘লিসসালমি’ শান্তি অর্থে ব্যবহার হয়েছে।
আর যদি সে এমন দলের লোক হয় যে তোমাদের মধ্যে ও তাদের মধ্যে অঙ্গীকার রয়েছে তাহলে তার লোকদের হত্যার খেসারত আদায় করতে হবে। (সূরা নিসা আ/৯১) এখানে ‘‘ইলাইকুমুস সালামা’ অঙ্গিকার অর্থে ব্যবহার হয়েছে।
আর আল্লাহ শান্তি-নিরাপত্তার আলয়ের প্রতি আহবান জানান এবং যাকে ইচছা সরলপথ প্রদর্শন করেন। (সূরা ইউনুস আ/২৫) এখানে ‘‘ইলা দারিস সালামি’’ শান্তি ও নিরাপত্তার অর্থে ব্যবহার হয়েছে।
যখন তারা তাঁর কাছে উপস্থিত হয়ে বলল, সালাম, তখন সে বলল সালাম এরা তো অপরিচিত লোক। (সূরা যারিয়াত আ/২৫)
হে মুমিনগণ, তোমরা নিজেদের গৃহে ব্যতীত অন্য গৃহে প্রবেশ করো না, যে পর্যন্ত আলাপ-পরিচয় না কর এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম না কর। এটাই তোমাদের জন্যে উত্তম তোমরা স্মরণ রাখ। (সূরা নূর আ/২৭) এ দু’ স্থানে ইসলামের অভিবাধন, সম্ভাসন জানানোর জন্য ‘সালাম’ ব্যবহার হয়েছে।
হাদীসে ইসলামের পরিচয়
ইসলাম কাকে বলে। ইসলামের পচিয় কী? এ প্রশ্ন করেন একজন আগান্তুক হযরত মুহাম্মাদ সা. কে। হযরত ওমর রা. থেকে বর্ণনা করেন। তিনি শেষ পর্যন্ত নবীয়ে করীম সা. এর নিকটবর্তী হয়ে বসলেন, এবং আপন হাটুদ্বয় হযরত রাসূল সা. এর হাটুদ্বয়ের সাথে মিলিয়ে দিলেন এবং নিজের হস্তদ্বয় দুই রানে রাখলেন এবং বললেন হে মুহাম্মাদ সা. আমাকে ইসলাম সম্পর্কে বলুন। হুযুর সা. উত্তরে ইরাশাদ করেন, ইসলাম হচ্ছে তুমি এ কথার সাক্ষ্য দিবে যে, নিশ্চয় আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই, এবং হযরত মুহাম্মাদ সা. আল্লাহর রাসূল। আর তুমি সালাত কায়েম করবে। যাকাত প্রদান করবে। রমযান মাসের রোযা রাখবে এবং বায়তুল্লাহ শরীফ পর্যন্ত পৌঁছার সামথ্য থাকলে হজ্বব্রত পালন করবে। আগান্তুক বললেন আপনি সত্য বলেছেন। (সংক্ষেপিত) (বুখারী ও মুসলিম)
এমনিভাবে বিভিন্ন হাদীসে ইসলাম ও মুসলমানের পরিচয় দিয়েছেন। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রা. বলেন, নবী করীম সা. ইরশাদ করেন, মুসলমান ঐ ব্যক্তি যার মুখ ও হাত থেকে অন্যান্য মুসলমান নিরাপদ থাকে। (বুখারী, শেকাতা হা/১২)
ইসলাম সম্পর্কে অমুসলিমদের উক্তি
ইসলামের সূচনা, বিকাশ ও বিস্তৃত হওয়া এবং ইসলামের মৌলিকত্ব, ইসলামের আদর্শ যে অধ্যয়ন করবে তাকেই আকৃষ্ট করবে। ইসলাম তার নিজস্ব চরিত্রগুণে পৃথিবীর মানুষকে আকৃষ্ট করেছে। ইসলামের সৌন্দর্য্যের বহাতায় সমবেত হয়েছে সবাই। যারা ইসলামের চির শত্রু তারাও স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে ইসলামের অনুপম উন্নত আদর্শের কথা। যারা ইসলাম গ্রহণ করেনি তবে দূর ও কাছ থেকে দেখেছে ইসলামের জয়োল্লাস, ইসলামের সুখময় অগ্রযাত্রা, ইসলামের সাম্য ও মানবতা, যারা অনুভব করেছে ইসলামের সত্যতা, তাদের মধ্য থেকে কয়েকজনের উক্তি।
অধ্যপক স্লোক
মুসলিম ওয়ার্ড অব টুডে’ নামক গ্রন্থে তিনি লেখেন, সমতার ভিত্তিতে মানবজাতিসমূহের মিলন সাধন করতে ইসলামই সবচেয়ে বেশী কৃতকার্য হয়েছে। কারণ মুহাম্মাদ সা. এর ধর্মের সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব অনুসারে প্রতিষ্ঠিত জাতিসংঘ’ই মানবকুলের এমন এক মহামিলন ঘটাতে পারে যা দেখে অন্যান্য ধর্মের লোকেরা লজ্জাবোধ করবে।’
মহাত্মা গান্ধী বলেছেন
ইসলাম তার গৌরবময় দিনগুলোতে অসহিষ্ণু ছিল না। তা অর্জন করতে সমর্থ হয়েছিল দুনিয়ার শ্রদ্ধা। প্রতীচ্য যখন অন্ধকারে নিমজ্জিত প্রাচ্যের আকাশে উদিত হলো এক উজ্জ্বল নক্ষত্র এবং আর্ত পৃথিবীকে তা দিল স্বস্তি। ইসলাম একটি মিথ্যা ধর্ম নয়। শ্রদ্ধার সঙ্গে হিন্দুরা তা অধ্যয়ন করুক, তাহলে আমার মতই তারাও একে ভালবাসবে।
অনুচরদের জীবনী থেকে আমি খোদ নবীর জীবনী অধ্যয়নে উপনীত হলাম, দ্বিতীয় খন্ড বন্ধ করলাম যখন, তখন দুঃখিত হলাম এ জন্য যে সেই মহৎ জীভন সম্পর্কে আর কিছুই পড়ার রইল না আমার। আগের যে কোন সময়ের চেয়ে আমার বিশ্বাস জন্মাল যে, তরবারী নয় যার সাহায্যে ওই সময়ে জীবনের পরিকল্পনায় ইসলামের আসন অর্জিত হয়েছিল, তা ছিল মানুষের শাসনকর্তা, প্রশাসক এবং সাহসী ও হাঙ্গামাকারী উপজাতি বা সুস্থিত জাতির সংগঠক হিসাবে। রাজনীতিজ্ঞ বন্ধু এবং শত্রু শ্রদ্ধা আকর্ষণ করেছেন মুহাম্মাদ সা. এবং যারা তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে ও জনসাধারণের মধ্যে জানার সৌভাগ্য লাভ করেছে তাদের সকলের ভালবাসা, খ্যাতি ও শ্রদ্ধা লাভ করেছেন তিনি। (Short studies in the science of comparative Religion)
এইচ জি ওয়েলস
বিখ্যাত ইতিহাসবিদ মি. ওয়েলস (১৮৬৬-১৯৪৭) বলেন, গোড়া থেকেই ইসলাম খ্রীষ্টধর্মের জটিলতা ও ইহুদীবাদের কুটিল ধর্মান্ধতার বিরোধিতা করে আসছে। --- এটা গৌতমবুদ্ধের মতবাদের ন্যায় শুধু একটি নতুন মতবাদ ছিল না, বরং তৎকালীন ঈসায়ী ধর্মের ন্যায় এটা স্বর্গীয় এক নতুন ধর্ম ছিল। তদুপরি এটা হলো চিরস্থায়ী একটি জীবন ব্যবস্থা। ..উদারতা, মাহনুভবতা ও বিশ্ব-জীনন ভ্রাতৃত্ববোধের গুণরাজিতে ইসলাম পরিপূর্ণ। ইসলাম তার নিজস্ব উপাসনা পদ্ধতির মাধ্যমে ধনী-দরিদ্র সকলকে একই কাতারে সাত্য-মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। তাই সমস্ত গুণের অধিকারী হওয়ার দরুন মোহাম্মাদ সা. সর্বপ্রকার মানুষের অন্তরে স্থান করে নিতে পেরেছিলেন। ’’ (চলবে)
লেখক : পরিচালক, ইসলাহ বাংলাদেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।