Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ছেলেকে লুকিয়ে রেখে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অপহরণ ও গুমের মামলা

৯ বছর পর কথিত অপহ্রতকে খুজে বের করল আসামীরা

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ২:০৬ পিএম

বরিশালের গৌরনদীতে এক দম্পতি নিজের কিশোর ছেলেকে ঢাকায় লুকিয়ে রেখে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অপহরন ও গুমের মামলা করার ৯ বছর পরে কথিত অপহৃতকে খুজে বের করেছে আসামীরা। ওই মামলায় দীর্ঘ হাজত বাসসহ নানা হয়রানী ও নির্যাতনের শিকার হয়ে অবশেষে কথিত গুম হওয়া রাসেল মৃধার স্বজনদেরকে উৎকোচের বিনিময়ে খুজে বের করা নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

গৌরনদীর নলচিড়া ইউনিয়নের কলাবাড়িয়া গ্রামের মরিয়ম বেগম তার স্বামী মোঃ জালাল মৃধার সহয়তায় নিজের ৭ম শ্রেনীতে পড়–য়া কিশোর ছেলেকে রাজধানী ঢাকায় লুকিয়ে রেখে ২০১২ সালের ১৪ মে প্রতিপক্ষ এস. রহমান মৃধা ও তার নাবালক দুই ছেলেসহ এলাকার ১৪ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি অপহরন ও গুমের মামলা করে। মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, পূর্ব শত্রুতার জেরধরে প্রতিপক্ষ আসামীরা ওই বছরের ৩ এপ্রিল সন্ধা সাড়ে ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে তার ছেলে শিববাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্র মোঃ রাসেল মৃধাকে (১৪) মারধর করে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। ওই মামলার ১৪জন আসামীর মধ্যে ১২জন বিগত প্রায় ৯ বছর ধরে হাজত বাসসহ নানা হয়রানী ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। একজন আতœপোপনে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। অপর একজন দীর্ঘ ৯বছর পালাতক। বাকীরা জামিনে।

এস. রহমান মৃধার স্ত্রী তাসলিমা বেগম জানান, মামলায় হাজত বাসসহ নানা হয়রানী ও নির্যাতনের শিকার হয়ে আমাদের পরিবারটি সর্বশান্ত হয়ে গিয়েছে। তিন ছেলের শিক্ষা জীবন ধ্বংশ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় হয়ারানী থেকে বাঁচতে ভিকটীমের আপন চাচাতো ভাইদেরকে নগদ টাকা উৎকোচ প্রদানের মাধ্যমে জানতে পারি যে, ভিকটীম রাসেল মৃধা রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার উত্তর রায়েরবাগ এলাকার একটি অটোরিকসা গ্যারেজে কাজ করছে। সন্ধান দাতাতাদের মাধ্যমে ভিকটীমের অবস্থান সনাক্ত করে তাকে উদ্ধারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই ফোরকান আহাম্মেদের সহযোগীতা চাই। কিন্তু সে কোন সহায়তা না করায় আমরা নিজেরাই স্থানীয়দের সহযোগীতা নিয়ে একটি চায়ের দোকান থেকে ভিকটীম রাসেল মৃধাকে উদ্ধার করে গৌরনদী থানায় সোপর্দ করি।

অভিযোগ অস্বীকার করে এস.আই ফোরকান আহাম্মেদ সাংবাদিকদের বলেন, আমি দুইদিন ধরে জ্বরে ভূগছি। এ অবস্থায় আমি তাদেরকে ফোনে সহযোগীতা করেছি। উদ্ধারকারীরা খিলগাঁও থানার সহযোগীতা চায়। তখন আমি ওই থানার ওসি অপারেশনের সাথে কথা বলে ভিকটীমকে গৌরনদীতে আনায় সহযোগীতা করেছি।
অপহরন মামলার বাদী ভিকটীম রাসেল মৃধার মা মরিয়ম বেগম বলেন, আমার ছেলেকে ওরাই নিয়ে গুম করে রেখে ওরাই আবার বের করে এনেছে।
ভিকটীম রাসেল মৃধাকে উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে গৌরনদী থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ হেলাল উদ্দিন জানান, ভিকটীমকে থানা পুলিশের হেফাজাতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রব হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেছেন, ভিকটীম নানা রকম তথ্য দিচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মামলা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ