পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে মেট্রোরেল প্রকল্পের মালামাল চুরির ঘটনায় সংঘবদ্ধ চোরচক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার ও চুরির ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করেছে র্যাব। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. আশিক (১৯) ও মো. হারুন (৪০)। একই সঙ্গে চোরাই মালামালসহ একটি পিকআপ ও সিএনজি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর নাজমুল নামে এক যুবক তার মিরপুরের বাসা থেকে কাজের সন্ধানে যাওয়ার পর নিখোঁজ হয়। এমন তথ্য জানিয়ে পল্লবী থানায় সাধারণ ডায়েরি করে পরিবার। পরে গত ১৭ সেপ্টেম্বর জানা যায়, ডিএমপির তুরাগ থানায় একটি অজ্ঞাত লাশ পাওয়া গেছে, যা প্রায় এক সপ্তাহ পর নিখোঁজের বাবার মাধ্যমে শনাক্ত হয়। এ ঘটনায় তুরাগ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। মূলত এ ঘটনায় র্যাবের একটি দল ছায়াতদন্ত শুরু করে।
তিনি আরো বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত সোমবার রাত সোয়া ১০টার দিকে র্যাব-৪ এর একটি দল রাজধানীর পল্লবী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চোরাই পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন মালামাল, একটি পিকআপ ও একটি সিএনজিসহ ওই দুই জনকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নিহত নাজমুল চক্রের অপর সদস্য আশিক, রাসেল ও শামীমের সঙ্গে কাজ করত। গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীম নিহত নাজমুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। ওই রাতে তারা চুরির কাজে যোগ দেয়।
র্যাবের ছায়া তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, চক্রটি বেশকিছু দিন ধরে মেট্রোরেলের মালামালসহ অন্য সরকারি কাজের মালামাল এবং বৈদ্যুতিক তার চুরি করে আসছিল। র্যাবের অভিযানে গ্রেফতার আশিক জিজ্ঞাসাবাদে নাজমুলের মৃত্যুর ঘটনা চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয়। আশিক জানায়, রাসেল, শামীম ও আশিকের উপস্থিতিতে নাজমুল বৈদ্যুতিক তার কাটতে গিয়ে উত্তরায় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করে। এ নিয়ে তুরাগ থানায় অপমৃত্যু মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।
পল্লবী থানা এলাকায় পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্প ছাড়াও আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের মালামাল- লোহা, ইস্পাত, তার, মেশিন কৌশলে চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে র্যাবের কাছে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে গ্রেফতার আশিক ও হারুন।
ওই কর্মকর্তা জানান, গত কয়েক বছর ধরে ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প পরিচালিত হয়ে আসছে। এসব প্রকল্পের কার্যক্রম চলাকালে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন উপকরণ স্তুপ আকারে থাকা অবস্থায় সংঘবদ্ধ চোরাকারবারি দল সুকৌশলে চুরি করে পছন্দ মতো গোপন একটি জায়গায় নিয়ে সেগুলোকে সহজে বহনযোগ্য করে বিভিন্ন ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে আসছিল। এদের সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।