মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : অনেক বছর ধরে মিয়ানমারের উপর আরোপিত থাকা কঠোর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার রাশ আনুষ্ঠানিকভাবে শিথিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিবিসি বলছে, মিয়ানমারের নেতা অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠকের কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ বিষয়ে এক নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। ১৯৮৯ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে দরিদ্র দেশগুলোর জন্য দেয়া বাণিজ্য সুবিধার তালিকা থেকে মিয়ানমারকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে হোয়াইট হাউস বলেছে, গণতন্ত্র বাস্তবায়নে প্রকৃত অগ্রগতির অর্থ মিয়ানমার আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য আর হুমকি নয়। যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটের স্পিকারদ্বয়ের কাছে লেখা এক চিঠিতে ওবামা বলেছেন, গণতান্ত্রিক সংহতিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে বার্মা (মিয়ানমার) উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করছে, এক্ষেত্রে বার্মার সরকার ও জনগণকে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করতে পারে ও করতে চায়। মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের কঠিন যজ্ঞে সু চি সরকারকে সহায়তা করার পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এ পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিবিসির প্রতিনিধিরা। এতে অর্থনেতিকভাবে মিয়ানমারের কয়েক দশকের নিঃসঙ্গতা দ্রুত অবসান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এসব সত্ত্বেও কিছু নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকবে। মিয়ানমারের সাবেক সামরিক জান্তার সঙ্গে জড়িত অন্ততপক্ষে ১০০টি কোম্পানি ও ব্যক্তিকে ‘কালোতালিকা’ থেকে মুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু বেশ কয়েকজন ব্যক্তির বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রাখা হয়েছে। ১৯৬২ সালে থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মিয়ানমারে দমনমূলক সামরিক শাসন জারি ছিল। ওই সময়ের শেষদিকে সু চি প্রায় ১৫ বছর গৃহবন্দি ছিলেন। এরপর কয়েক দশকের মধ্যে মিয়ানমারের প্রথম অবাধ গণতান্ত্রিক নির্বাচনে সু চির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি পার্টি জয়ী হয়ে ক্ষমতাসীন হয়। এদিকে, অং সাং সু চি গত মাসে প্রথমবারের মতো ওয়াশিংটন সফরে যাওয়ার পর মিয়ানমারের ওপর থেকে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে বলে ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র । প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা জানান। উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে মিয়ানমারকে বাণিজ্য সুবিধা দেয়া বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তুলনামূলকভাবে গরিব দেশগুলোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র এই বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা দেয়। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল ওয়াশিংটন। তবে দীর্ঘ সামরিক শাসনে থাকা দেশটি অগ্রাধিকারমূলক শুল্ক সুবিধা (জিএসপি) পাবে না। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।