গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর পূর্ব রামপুরার পলাশবাগে ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন এক নারী (২৫)। রোববার দুপুরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ।
ধর্ষণের শিকার ওই নারীর ভাই এনামুল জানান, তার বোন বিবাহিত, বোনের তিন সন্তান ও স্বামী আছে। তারা সবাই ঢাকায় থাকত। সম্প্রতি শরীফ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বোনের পরিচয় হয়। ওই ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক আছে সন্দেহে বোনের স্বামী সংসার ফেলে গ্রামের বাড়ি বরিশাল চলে যান। এরপর বোন সন্তানদের নিয়ে কুমিল্লায় তাদের গ্রামের বাড়িতে চলে যায়।
এনামুল বলেন, শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিয়ের কথা বলে আমার বোনকে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় নিয়ে আসেন শরীফ নামে ওই ব্যক্তি। রাত একটার দিকে ফারজানা নামে এক নারী আমাকে ফোন দিয়ে জানতে চান, শরীফের সঙ্গে বোনের বিয়ে দেব কি না? আমি জানতে চাই, আমার বোন কোথায়? তিনি আমাকে পূর্ব রামপুরা জাকিরের গলিতে যেতে বলেন। সেখানে গিয়ে আমি তাকে ফোন দিলে নম্বর বন্ধ পাই।
তিনি বলেন, আজ সকালে বোন বিধ্বস্ত শরীরে আমাদের কাছে আসে। সে জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখানো শরীফ এবং আরও দুজন তাকে মদ খাইয়ে রাতভর ধর্ষণ করেছে। ওই দুজনের নাম ইব্রাহিম ও মাইনউদ্দিন। তাদেরকে সহযোগিতা করেছে ফারজানা নামে এক নারী।
এনামুল বলেন, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে বোনকে মুগদা হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসা না পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। তার মুখ দিয়ে মদের গন্ধ বের হচ্ছিল। বোনের সঙ্গে যারা এমন কাজ করেছে, তাদের বিচার চাই। আমি তাদের বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় মামলা দায়ের করব।
রামপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে একটি টিম পাঠিয়েছি। ভুক্তভোগী নারীর ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা ধর্ষকদের নামও পেয়েছি। আমাদের একাধিক টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। তবে ধর্ষণের শিকার নারীর পক্ষ থেকে মামলা করতে এখনো কেউ থানায় আসেননি। পুলিশ তাদের সহযোগিতা করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।