নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
হঠাৎই ব্রাজিল থেকে গত শুক্রবার রাতে এসেছিল দুঃসংবাদ। তিনি আইসিইউ থেকে ছাড়া পাওয়ার তিন দিনও হয়নি, এর মধ্যে আবার গতকাল আইসিইউতে নিতে হয় পেলেকে। ব্রাজিল কিংবদন্তির বয়স হয়ে গেছে ৮০ বছর, কদিন আগেই হয়ে যাওয়া অস্ত্রোপচারের ধকলটা সামলাতে শরীরটাকে অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। এরমধ্যে পেলেকে এভাবে বারবার বাসা-আইসিইউ করতে দেখলে শঙ্কা তো জাগেই!
তবে শেষ পর্যন্ত এ যাত্রায় দুশ্চিন্তা করার মতো কিছু ঘটেনি। ব্রাজিল কিংবদন্তির এবারের আইসিইউ-বাস হলো অল্প কয়েক ঘণ্টারই। আইসিইউ থেকে তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবেই তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পেলে ও তার মেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন, পেলের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
গতপরশু বাংলাদেশ সময় রাত ১২টার পর পেলেকে সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে নেওয়ার খবর আসে। এ হাসপাতালেই গত মাসের শেষ দিকে কোলন টিউমার ধরা পড়ে পেলের, এরপর ৬ সেপ্টেম্বর অস্ত্রোপচার হয়। এরপর গত মঙ্গলবার আইসিইউ থেকে ছাড়া পেয়ে বাসায় ফিরেছিলেন পেলে, কিন্তু পরশু আবার আইসিইউতে ভর্তি হতে হয়।
প্রাথমিকভাবে ইএসপিএন ব্রাজিল জানিয়েছিল, অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যার কারণে পেলেকে আইসিইউতে নেওয়া। আর সংবাদ সংস্থা এএফপি লিখেছে, পেলের শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছিল।
তবে এখন মেঘ কেটে গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিয়ে লিখেছে, ‘সতর্কতামূলক ব্যবস্থা’ হিসেবে পেলেকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। এখন তাকে আইসিইউ থেকে সরিয়ে ‘সেমি ইনটেনসিভ কেয়ারে’ নেওয়া হয়েছে। ‘হৃদযন্ত্র ও শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যার দিক থেকে ভাবলে তিনি এই মুহ‚র্তে স্থিতিশীল আছেন’-হাসপাতালের বিবৃতিতে লেখা।
আইসিইউ থেকে সরানোর কিছুক্ষণ পর ‘ফুটবলের রাজা’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেই বিবৃতিতে লিখেছেন, ‘বন্ধুরা, আমি এখনো ভালোভাবেই (অস্ত্রোপচারের ধকল) কাটিয়ে ওঠার পথে আছি। আজ (গতকাল) পরিবারের লোকজন আমাকে দেখতে এসেছিল। এখনো আমি প্রতিদিন হাসতে পারছি।’
পেলের মেয়ে কেলি নাসিমেন্তো বাবার সঙ্গে একটা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে দিয়েছেন। পাশে লিখেছেন, ‘তার বয়সের একজন মানুষের জন্য (অস্ত্রোপচারের পর) ধকল কাটিয়ে ওঠার পথে এটা স্বাভাবিক অবস্থাই। এমন একটা অস্ত্রোপচারের পর মাঝেমধ্যে এমন হয় যে আপনি দুই পা সামনে এগোলেন তো এক পা পেছাতে হলো। গতকাল তিনি ক্লান্ত ছিলেন, এক পা পিছিয়েছেন। আজ (গতকাল) আবার দুই পা এগিয়ে গেলেন।’
ছবিতে অবশ্য পেলেকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল, তিনটি বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি ফরোয়ার্ড হাসপাতালের বেডেই আছেন। বাড়িতে কখন ফিরতে পারবেন ‘ও রেই’, তা এখনো জানা যায়নি।
তবে ব্রাজিল কিংবদন্তির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন সবার জন্য স্বস্তি হয়ে আসতে পারে নাসিমেন্তোর বার্তা, ‘নিশ্চিত করছি, তিনি ভালোভাবেই পুনবার্সন পর্যায় চালিয়ে যাচ্ছেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতেই চলছে সবকিছু। বিশ্বজুড়েই সময়টাতে উদ্বেগের কমতি নেই, আমরা এর মধ্যে বাড়তি একটা যোগ করতে চাইছি না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।