নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গৌহাটি-শিলং সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমস শুটিংয়ে শুরুতেই চমক দেখালো বাংলাদেশ। এসএ গেমসের ১২তম আসরে এই ডিসিপ্লিনে প্রথম দিনেই স্বর্ণপদক জয় করলেন লাল-সবুজের শুটার শাকিল আহমেদ। গতকাল গৌহাটির কাহিলিপাড়ার শুটিং রেঞ্জে ৫০ মিটার পিস্তল ইভেন্টে সেরা হয়ে এবারের গেমসে বাংলাদেশের পক্ষে চতুর্থ স্বর্ণপদক ঘরে তুললেন শাকিল। এই আসরে আগের তিনটি স্বর্ণই জিতেছেন মহিলা অ্যাথলেটরা। বাংলাদেশের পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে শাকিলই প্রথম স্বর্ণ জয় করলেন।
বাংলাদেশ শুটিংয়ে আশা-ভরসার প্রতীক আব্দুল্লাহ হেল বাকী। ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে তাকে ঘিরেই স্বর্ণের প্রত্যাশা ছিল লাল-সবুজদের। শাকিলের ইভেন্টে স্বর্ণপদক পাওয়ার তেমন হিসেব-নিকাশ হয়নি। তবে তার পদকটি এসেছে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্য দিয়ে। শাকিলের স্কোর ১৮৭.৬। রৌপ্য জয়ী ভারতের ওম প্রকাশের স্কোর ১৮৭.৩। মাত্র ০.৩ স্কোরের ব্যবধানে বাংলাদেশ এসএ গেমস শুটিংয়ে স্বর্ণ পেয়েছে। এই ইভেন্টে মূলত শাকিল ও প্রকাশের মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। ব্রোঞ্জপদক জয়ী পাকিস্তানের কলিমউল্লাহ খানের স্কোর ১৬৫.৯। খুব একটা প্রত্যাশিত না থাকায় শাকিলের স্বর্ণপ্রাপ্তিতে আনন্দ-উদযাপনের মাত্রাটাও বেশি ছিল। সোনা পাওয়ার পর বাংলাদেশের কোচ খেলোয়াড় কর্মকর্তাদের উল্লাসে গৌহাটির কাহিলিপাড়ার শুটিং রেঞ্জ যেন পরিণত হলো ঢাকার গুলশানের শুটিং রেঞ্জে। স্বর্ণ জিতে শাকিল দারুণ উচ্ছসিত। নিজের উচ্ছাস প্রকাশ করলেন এভাবে, ‘আমি খুবই খুশি। এত খুশি যে ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। সত্যিকার অর্থে কখনো ভাবিনি এবারের এসএ গেমসে স্বর্ণপদক জিতব। তবে সেরা ফলাফলের জন্য আমার চেষ্টার কমতি ছিল না কখনোই। যে কারণে শেষপর্যন্ত সফল হয়েছি।’ বেশ ঘাম ঝরিয়েই এই ইভেন্ট স্বর্ণ পেয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রসঙ্গে শাকিল বলেন, ‘ভারতীয়দের প্রস্তুতি আমাদের চেয়ে অনেক ভালো। তাদের হারাতে অনেক মনসংযোগের প্রয়োজন হয়েছে। শেষপর্যন্ত জয়ী হতে পারায় খুব ভালো লাগছে।’
১২তম এসএ গেমসে ৫০ মিটার পিস্তল ইভেন্টে শুধু স্বর্ণ জয়ই নয়, চমক রয়েছে। শুটিংয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাফল্য এয়ার রাইফেল ইভেন্টে। পিস্তলে লাল-সবুজরা সর্বশেষ স্বর্ণপদক পেয়েছিল ১৯৯৩ ঢাকা সাফ গেমসে। ওই আসরে শুটার আতিকুর রহমান জিতেছিলেন এই পদক। অবশ্য ১৯৯১ কলম্বো সাফেও ব্যক্তিগত ইভেন্টে পিস্তলে স্বর্ণ ছিল আতিকুরের। দুই দশকের বেশি সময় পর আবারো পিস্তলে ব্যক্তিগত ইভেন্টে সেরা হলো বাংলাদেশের কোন শুটার। দেশের হয়ে এসএ গেমসে সেরা সাফল্য তুলে আনার পেছনে তার সংস্থা সেনাবাহিনীকে বিশেষ অবদান দিচ্ছেন শাকিল। তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনী আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছে। তাদের সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়া এই সাফল্য পাওয়া সম্ভব হতো না। তাদের কাছে আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশের যে কোনো ক্রীড়াবিদের জন্য সাফ গেমসে স্বর্ণ জয় বেশ গৌরবের। তবে আমি আরো বড় আন্তর্জাতিক আসরে দেশের হয়ে পদক জিততে চাই।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।