পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ। দেশের অব্যাহত এলএনজি সরবরাহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পেট্রোবাংলা। এরমধ্যে দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিএনজি স্টেশনে রেশনিংয়ের বিষয়ে আলোচনা চলছে। পেট্রোবাংলা বলছে, এলএনজির দাম বৃদ্ধির কারণে আন্তর্জাতিক বাজারের স্পট মার্কেট থেকে আপাতত এলএনজি কিনবে না সরকার। এরপর দাম কমে এলে আবারও এলএনজি কেনা হবে। মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, এখন প্রতি এমএমবিটিউ (প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) এলএনজি বিক্রি হচ্ছে ২০ ডলারে। গত কয়েক বছরের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ দাম। এখন এই দামে এলএনজি আমদানি করা হলে বিরাট অঙ্কের টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। তবে দামের এই ঊর্ধ্বমুখী অবস্থা বেশি দিন থাকবে না। এটি কমে যাবে বলে তিনি আশা করেন। ফলে তখন আবার এলএনজি আমদানি করা হবে। দেশে দৈনিক উৎপাদিত গ্যাসের সঙ্গে এলএনজি আমদানি করে চাহিদা সামাল দেয়া হয়। মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের মাধ্যমে প্রতিদিন এলএনজি রূপান্তর করে এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব। চাহিদা বাড়লে ৮৫০ থেকে ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট আমদানি করা এই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু আজ ১৫ সেপ্টেম্বর ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতিবার গ্রীষ্মেই দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনে সর্বোচ্চ গ্যাস সরবরাহ করে সরকার। কিন্তু এবার গ্রীষ্মে সেটি উল্টো কমাতে হচ্ছে। এখন দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর দৈনিক গ্যাসের চাহিদা দুুই হাজার ২৫২ মিলিয়ন ঘনফুট। এর বিপরীতে পেট্রোবাংলা ১৩০০ মিলিয়ন থেকে ১৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ করে। কিন্তু আজ এই সরবরাহের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৮৭ মিলিয়ন ঘনফুট।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকার এখন চিন্তা করছে পিক আওয়ারে সিএনজি স্টেশন বন্ধ করে বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ করবে। দেশে এলএনজি আসার পর থেকে সিএনজি স্টেশনের গ্যাস রেশনিং তুলে দেওয়া হয়েছিল। বিপরীতে দেশের শিল্প কারখানাতে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন আবার এসে রেশনিং করতে হচ্ছে সরকারকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জ্বালানি সচিব আনিছুর রহমান বলেন, একদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দাম বেড়েছে, অন্যদিকে বিদ্যুতের চাহিদাও অনেক বেড়ে গেছে। তাই দেশীয় গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে চাই। এজন্য গ্যাস রেশনিং করার চিন্তা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এ সমস্যা সাময়িক। স্থলভাগে এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের কাজ শুরু হবে। ফলে আগামী বছর এ সংকট কেটে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।