গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে আটক করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার তাদের বাসায় অভিযান চালালে মুহূর্তে সেই খবর ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল ও অনলাইনে প্রচারিত লাইভ সম্প্রচার ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ইভ্যালির সিইওকে আটকের এই সংবাদ পোস্ট করে অনেকেই পক্ষে-বিপক্ষে নানা মন্তব্য করেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাসেলের মোহাম্মদপুরের বাড়িতে র্যাব অভিযান চালায়। তার আগে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে বাড়িটি ঘিরে রাখে র্যাব সদস্যরা। এই খবর মুহূর্তেই ভাইরাল হয় ফেসবুকে।
বিকেল সোয়া ৫টার দিকে রাসেলকে র্যাবের একটি গাড়িতে করে নিয়ে যেতে দেখা যায়। একাধিক টিভি চ্যানেল সেই দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করে।
তবে বাসা থেকে তাদের নিয়ে বের হতে র্যাব সদস্যদের বাধা দিতে দেখা যায় উপস্থিত গ্রাহকদের।এসময় গ্রাহকরা স্লোগান দেয়, ‘রাসেল ভাইয়ের কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে।’
ফেসবুকে মুস্তাক আহমেদ শান্তো লিখেছেন, ‘‘জনগণ এর টাকা বুঝিয়ে দিয়ে, উনাকে জেল দেন ফাঁসি দেন, ছেড়ে দেন, যা মন চায় করুন। ইভ্যালি এর টাকা যদি সরকার পুলিশ ভাগ করে নিয়ে যদি বলে উনি প্রতারক। তাহলে সমস্যার সমাধান হবে, সমাধান হবে তখনই যখন মানুষ মানুষের টাকা ফিরে পাবে।’’
আহমেদ ইলিয়াস লিখেছেন, ‘‘অর্ধেক টাকায় পণ পাবে সেই লোভে একদল লোভীরা দিশেহারা হয়ে ইভ্যালিতে টাকা ইনভেস্ট করছে। এখন বুঝবে মজা, টাকা সব চান্দে চলে গেছে। একবার ভাবা উচিত ছিলো যে এত কম টাকায় পণ্য দিবে, এটা কেমনে সম্ভব রাসেল ভাই?’’
কামাল হাসানের মন্তব্য, ‘‘ই-ভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল এই যাত্রায় উচ্চমহলের হাত ছানিতে বেচেই গেলো। কিছুদিন নামে মাত্র জেল হবে। তারপর সময় মতন বের হয়ে যাবে। হয়তো এরইমধ্যে পত্রিকায় সংবাদ প্রচার হবে, জেলখানায় কয়েক ঘন্টা এক নারীর সাথে এককভাবে কাটিয়েছে। বাঁশ খাইলো কেডা?’’
মিনহাজ উদ্দীন মাহমুদ লিখেছেন, ‘‘লোকটা ৬মাস সময় চেয়েছিল, সময় না দিয়ে এমন উদ্ভট অভিযান চালানো আমার মতে একেবারেই উচিত হয়নি।
আমি সরকারের ঊর্ধ্বতনদের প্রশ্ন করি, আজকে #ইভ্যালি সিইও মোহাম্মদ রাসেলকে গ্রেফতার এর মধ্য দিয়ে সাধারণ কাস্টমারদের একজনও কি উপকৃত হয়েছে? Evaly কে থামিয়ে দিলে গ্রাহকদের প্রাপ্য অর্থ কী সরকার ..দিবে?’’
ইকবাল জনির মন্তব্য, ‘‘ওনাকে গ্রেফতার করে আমাদের কোনো লাভ নেই তাতে আমাদের বাংলাদেশ সরকার সমাধান আনতে পারবে না এটাও অন্ততপক্ষে সাধারন মানুষ জানে। গ্রেফতার না করে সুযোগ দেয়া হোক আমরা গ্রাহকরা এটাই চাই।’’
হোসাইন মোহাম্মাদের দাবি, ‘‘রাসেল ভাইকে থানায় ৬২ দিন বসিয়ে রেখে কোর্টে পাঠানো হোক, এর ৪৭ দিন পর মামলার কার্যক্রম শুরু হোক, এর ৯৭ দিন পর জামিন শুনানি হোক, ২১৩ দিন পর বিচার হোক, আর চার্জশীট দেক ২০১৩ দিন পর। তাহলে গ্রাহকের দুঃখ টা বুঝতে পারবে!’’
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রতারণাসহ আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ওঠার পর জুলাই মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছিল প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের কাছ থেকে অগ্রিম যে টাকা নিয়েছে তার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে না। সর্বশেষ বুধবার রাতে তাদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকার গুলশান থানায় প্রতারণার মামলা দায়ের করেন একজন গ্রাহক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।