পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইভ্যালির ৭টি গাড়ি নিলামে বিক্রি করেছে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পরিষদ বোর্ড। গ্রাহকের টাকা পরিশোধের লক্ষ্যে গাড়িগুলো নিলামে তোলা হয়। গাড়ি বিক্রি করে বোর্ডের হাতে এসেছে ২ কোটি ৯০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির ১৪ নম্বর সড়কের ৩ নম্বর বাড়ির ভিক্টোরিয়া কনভেনশন সেন্টারে নিলাম শেষে এ তথ্য জানান ইভ্যালির পরিচালনা পরিষদ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তার দেয়া তথ্য মতে নিলামে অংশ নিয়ে ‘সর্বোচ্চ দরদাতা’ হিসেবে সাত ব্যক্তি কিনেছেন ইভ্যালির গাড়ি। এর মধ্যে ইভ্যালির রেঞ্জ রোভার গাড়িটি ১ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কিনেছেন প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান। এ গাড়িটি ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাসেল ব্যবহার করতেন। এ গাড়িটি কেনার জন্য দর হেকেছেন ১৫ জন। এর মধ্যে ১ কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার সর্বোচ্চ দর হেকে গাড়িটি কেনেন হাবিবুর রহমান। নিলামের শুরুতে গাড়িটির ন্যূনতম নিলাম দর ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। টয়োটা প্রিউস প্রাইভেটকারটি বিক্রি হয়েছে ১৭ লাখ ৩০ হাজার টাকায়। মোহাম্মদ রিপন ইসলাম নামে এক ক্রেতা গাড়িটি কেনেন। টয়োটা সিএইচআর মডেলের গাড়িটির সর্বোচ্চ দাম ওঠে ২৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এটি কেনেন প্রশান্ত ভৌমিক। টয়োটা এক্সিও মডেলের গাড়িটি বিক্রি হয় ১৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকায়। আবুল হাসনাত রাসেল এটি কেনেন।
টয়োটা এক্সিও মডেলের দ্বিতীয় গাড়িটি বিক্রি হয় ১৫ লাখ টাকায়। এটিও কেনেন প্রশান্ত ভৌমিক। হোন্ডা ভেসেল গাড়িটির নিলামে সর্বোচ্চ দর ওঠে ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। নিলামের একমাত্র নারী ক্রেতা কানিজ ফাতিমা ১৭ লাখ ৬০ হাজার টাকায় গাড়িটি কেনেন। টয়োটা ব্র্যান্ডের মাইক্রোবাসটির মূল্য ওঠে ২০ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ দর হাকিয়ে মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন এটি কেনেন।
বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, নিলাম খুব সুন্দর হয়েছে। গাড়ির যে মূল্য পেয়েছি তাতে আমরা খুশি। আমরা নিলামে ৭টি গাড়ি ২ কোটি ৯০ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।
এদিকে নিলামে গাড়ি কিনে ক্রেতারা সন্তোষ প্রকাশ করলেও পুরাতন গাড়িতে সাড়ে ১৭ শতাংশ ভ্যাট ধার্য করায় কেউ কেউ অসন্তোষও প্রকাশ করেন। তারা বলছেন, শোরুম থেকে গাড়িগুলো কিনলে অতিরিক্ত এ ভ্যাট দিতে হতো না। নির্ধারিত মূল্যের মধ্যে ভ্যাটের টাকা চলে আসতো। কিন্তু এখানে নিলামের নির্ধারিত দাম পরিশোধের পরেও অতিরিক্ত সাড়ে ১৭ শতাংশ ভ্যাট দিতে হবে। তবে টাকাটা যেহেতু ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের কাছে যাবে সেক্ষেত্রে এটিকে তারা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েই দেখছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।