পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম নগরীতে ঐতিহাসিক পরীর পাহাড়ে গড়ে ওঠা অননুমোদিত স্থাপনা উচ্ছেদের প্রস্তাবনায় অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং ৭১টি আদালত ছাড়া বাদবাকি সব স্থাপনাই উচ্ছেদ করা হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নগরীর কেন্দ্রস্থলের পাহাড়ের চূড়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহ্য সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী এবং সময়োপযোগী এমন সিদ্ধান্তে খুশি চট্টগ্রামবাসী। তাদের প্রত্যাশা চট্টগ্রাম নগরীর ফুসফুস হিসাবে পরিচিত সিআরবির প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায়ও খুব শিগগির এমন ঘোষণা দেবেন তিনি। কারণ বেসরকারি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের মতো বাণিজ্যিক স্থাপনা হলে নগরীর সবচেয়ে বড় এবং প্রাকৃতিক শোভামন্ডিত সিআরবি বিরান ভূমিতে পরিণত হবে।
চট্টগ্রামের পরিবেশের উপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। শত বছরের প্রাচীন বৃক্ষরাজি শোভিত সিআরবি হেরিজেট জোন। সেখানে কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণের সুযোগ নেই। তাছাড়া প্রস্তাবিত হাসপাতালের স্থানেই রয়েছে শহীদ আবদুর রবসহ অসংখ্য শহীদের কবর। বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদদের কবরের উপর হাসপাতাল নির্মাণ করতে গিয়ে কাটতে হবে শতবর্ষী অসংখ্য বৃক্ষরাজি। অথচ এসব তথ্য গোপন করে সেখানে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউটের মতো বাণিজ্যিক এবং বহুতল ভবন নির্মাণের চুক্তি করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এর প্রতিবাদে প্রায় আড়াই মাস ধরে লাগাতার আন্দোলন চলছে। দল, মত নির্বিশেষে সব শ্রেণি পেশার মানুষের অংশগ্রহণে এটি এখন প্রবল এক সামাজিক আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। এই অবস্থায় এখানকার গণমানুষের প্রত্যাশা চট্টগ্রাম দরদী এবং পরিবেশবান্ধব প্রধানমন্ত্রী সিআরবি রক্ষায় দূত নির্দেশনা দেবেন। তার একটি ঘোষণার অপেক্ষায় চাটগাঁবাসী।
পরীর পাহাড়ে ইট-পাথরের জঞ্জাল সরাতে বেশ কয়েকটি ভবন ভেঙ্গে ফেলা হবে। সেখানে নতুন করে আর কোন স্থাপনার অনুমোদন দেয়া হবে না। প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে সেখানকার পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সুরক্ষায় দ্রুত প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হবে। অননুমোদিত সব স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে। সিআরবির ক্ষেত্রেও এমন উদ্যোগ নেয়া হবে বলে আশা করছেন সবাই।
প্রতিবাদ সমাবেশ
সিআরবি ধ্বংসের আয়োজন থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে নাগরিক সমাজের নেতারা বলেছেন, পরিবেশ ধ্বংস করে কেউ পার পাবে না। গণদুশমন হিসেবে চিহ্নিত করে জনতার আদালতে তাদের বিচার করা হবে। চট্টগ্রামের ফুসফুস সিআরবিকে ধ্বংস করতে দেয়া যাবে না। লাগাতার আন্দোলনের অংশ হিসেবে গতকাল বিকেলে সিআরবি সাত রাস্তার মোড়ে নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইউনুস, মোহাম্মদ মফিজুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। তার আগে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা আবৃত্তি, গণ সংগীত পরিবেশ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।