Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাঁদপুরে অবৈধভাবে রেলবিট বিক্রির অভিযোগ

চাঁদপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ২:৫১ পিএম

চাঁদপুরে অবৈধভাবে রেলওয়ের ৮টি রেলবিট (রেললাইন) বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। শহরের ৫নং খেয়াঘাট এলাকার রেললালাইনের পাশে এ ঘটনা ঘটে। রেলওয়ের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পান। এ ঘটনায় চাঁদপুর রেলওয়ে থানায় মামলার দায়ের করেছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে চাঁদপুর শহরের ৫নং খেয়াঘাট এলাকার চট্টগ্রাম লোহা বিতান নামের লোহা ব্যবসায়ী মৃদুল কান্তি দাস চাঁদপুর রেলওয়ের দীর্ঘ দিনের পুরনো ৭টি রেলবিট এক স’মিল ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন। বিক্রিকৃত ৭টি রেলবিট দুটি ভ্যানে করে সেখান থেকে ইচলীঘাটের একটি নবনির্মিত স'মিলের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। অপর একটি রেলগেট ৫নং ঘাটের একটি ওয়ার্কসপে নিয়ে রাখা হয়।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা ওই রেলবিটগুলো ৫নং ঘাট এলাকার রেললাইনের পাশে পড়ে থাকতে দেখেন। তারা জানেন যে ব্যবসার জন্য সেগুলো স্থানীয় ব্যবসায়ী মৃদুল কান্তি দাস চট্টগ্রাম থেকে ক্রয় করে আনার কারণে সেগুলো তিনি তা এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন। কিন্তু সেগুলো কি রেলওয়ের, নাকি তার ব্যবসার জন্য চট্টগ্রাম থেকে ক্রয়কৃত তারা তা সুস্পষ্টভাবে কিছুই জানেন না।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত লোহা ব্যবসায়ী মৃদুল কান্তি দাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে রেলবিট গুলো বিক্রি করা হয়েছে সেগুলো চাঁদপুর রেলওয়ের নয়। সেগুলো টলির রেললাইন। যা দিয়ে বড় বড় জাহাজ উঠা নামা করা হয়। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে চাঁদপুরে লোহা ব্যবসা করে আসছি। রেলবিটগুলো আমি ব্যবসার উদ্দেশে দীর্ঘদিন পূর্বে চট্টগ্রাম থেকে ক্রয় করে এনেছি। যার ক্রয়ের রশিদ ও আমার কাছে রয়েছে। এই বলে তিনি রেললাইনগুলো বৈধতা প্রমাণ করতে ২০১৫ সাল এবং ২০১৯ সালের দুটি রশিদ উপস্থাপন করেন। যা বিক্রয়কৃত রেললাইনগুলোর সাথে তেমন মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনুসন্ধান করে জানা গেছে, রেলওয়ের রেললাইন বৈধভাবে ক্রয়কৃত লোহা জাতীয় বস্তু তিন মাসের মধ্যে তা বিক্রি করে ফেলা কিংবা সেগুলো আগুনে গলিয়ে বিক্রি করার নিয়ম রয়েছে।

চাঁদপুর রেলওয়ের থানার হাবিলদার খোরশেদ আলম জানান, রেললাইন গুলোর বিষয়ে আমি তাদের কাছে গেলে তারা সেগুলো টলির লাইন ক্রয় করেছেন বলে জানান। ক্রয়ের দুটি কাগজ তারা আমার কাছে জমা দিয়েছেন। সে কাগজে রেলওয়ের কোন চিহ্ন নেই।

বাংলাদেশ রেলওয়ের লাকসাম ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) লিয়াকত আলীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে তা যাচাই করার জন্য ঘটনাস্থলে রেলওয়ের লোকজন পাঠিয়েছি। তারা সেখানে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। এ বিষয়ে আমরা চাঁদপুর রেলওয়ে (জিআরপি) থানায় মামলার এজাহার করিয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে অবৈধভাবে বিক্রিকৃত রেলবিটগুলো জিআরপি থানায় নিয়ে আসা হবে। একই সাথে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলার মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চাঁদপুর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ