Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সীমানা নির্ধারণের নির্দেশ হাইকোর্টের

নিঝুম দ্বীপের সংরক্ষিত বনাঞ্চল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সীমানা নির্ধারণের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬ মাসের মধ্যে সীমানা নির্ধারণ করতে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক, পরিবেশ সচিব ও বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষককে নির্দেশ দেয়া হয়। এক রিটের শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। নিঝুম দ্বীপের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সীমানা নির্ধারণ ও নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়েছিলো।
শুনানি শেষে আদালত নিঝুম দ্বীপের ‘সংরক্ষিত বনাঞ্চলের’ সীমানা নির্ধারণে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না-জানতে চাওয়া হয়। স্থানীয় সরকার সচিব, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক, নির্বাচন কমিশনের সচিব, প্রধান বন সংরক্ষকসহ ১৪ জনকে রুলে জবাব দিতে বলা হয়েছে। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির পল্লব। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ এম রাসেল চৌধুরী। শুনানিতে অ্যাডভোকেট পল্লব বলেন, এখনও সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সীমানা নির্ধারণ না করার সুযোগ নিয়ে স্থানীয় ভূমিখেকোরা নিঝুম দ্বীপের সংরক্ষিত বনের জমি অবৈধভাবে দখল করছে। শুধু তাই না, জমি দখলে নিয়ে তারা সেখানে বিভিন্ন কাঠামোও নির্মাণ করছে। এতে নিঝুম দ্বীপের প্রাকৃতিক-পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে।
তিনি বলেন, রিটে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তারিখ। সীমানা নির্ধারণ না করা পর্যন্ত এ নির্বাচন স্থগিত চাওয়া হয়। আদালত সে বিষয়ে আদেশ দেননি। রিটে উল্লেখ করা হয়, চল্লিশের দশকে নোয়াখালির হাতিয়ায় দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠে নিঝুম দ্বীপ। ১৯৭৪ সালে বন বিভাগ এই দ্বীপটিতে বনায়ন শুরু করে। পরবর্তীতে দ্বীপটির প্রকৃতি, জীববৈচিত্র্য বিবেচনায় সরকার এটিকে ‘জাতীয় উদ্যান’ ঘোষণা করে। এ ধারাবাহিকতায় ২০০১ সালে বন আইন, ১৯২৭ এর ২০ ধারায় সরকার পুরো নিঝুম দ্বীপকে ‘সংরক্ষিত বন’ ঘোষণা করে। আইনানুযায়ী সংরক্ষিত বন নিঝুম দ্বীপে জনসাধারণের অবাধ প্রবেশ, কাঠামো নির্মাণ নিষিদ্ধ। কিন্তু ২০০৮ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নিঝুম দ্বীপের সংরক্ষিত বন নিয়ে ১১ নং নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করে। এটি সম্পূর্ণ বেআইনি। পরবর্তীতে ২০১২ সালে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু মন্ত্রণালয় দু’টি গেজেটের মাধ্যমে নিঝুম দ্বীপকে আরও সুনির্দিষ্টভাবে সংরক্ষিত বন ঘোষণা করে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সংরক্ষিত বনের সীমানা নির্ধারণ করা হয়নি। যে কারণে সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদকে আলাদা করে সীমানা নির্ধারণ করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে নোটিস পাঠান স্থানীয় মানবাধিকার কর্মী রফিক উদ্দিন এনায়েত। কিন্তু বিবাদীরা কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় গত রোববার রিট করেন অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির পল্লব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিঝুম দ্বীপ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ