গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
দেশে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে। গত ৫০ বছরে সবচেয়ে বেশি অবনমন ঘটেছে ভোটাধিকার, গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ক্ষেত্রে। বলা যায় নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক পথে সরকার পরিবর্তনের সুযোগও অবরুদ্ধ হয়ে গেছে। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘মুক্তিযুদ্দের ৫০-জনআকাক্সক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এ কথা বলেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন পরিষদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন পরিষদের আহবায়ক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বক্তব্য রাখেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, গণফোরাম নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মহসীন মন্টু, লেখক ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান, মুক্তিযোদ্ধা ও উন্নয়ন সংগঠক শারমিন মোরশেদ, বাম জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, সোনার বাংলা পার্টির সভাপতি আবদুন নূর, সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন অর রশিদ। এতে সূচনা বক্তব্য পেশ করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেত্রী বহ্নিশিখা জামালী। আলোচনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব ইফতেখার আহমেদ বাবু।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ ছিল এই জনপদের কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা। ১৯৭১ এর স্বাধীনতা সংগ্রাম ছিল বাস্তবে একটা জনযুদ্ধ। ১৯৭১ এর ১০ এপ্রিল ও পরবর্তীতে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে নতুন নাম নেওয়া বাংলাদেশের আদর্শিক ও রাজনৈতিক দিশা হিসাবে ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের অঙ্গীকার ও সংবিধানের চার মূলনীতি ছিল এদেশের মুক্তিকামী মানুষের গণআকাক্সক্ষার প্রতিফলন। স্বাধীনতার পর অচিরেই জনগণের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে আর আশা হতাশায় পর্যবসিত হয়। গত ৫০ বছরে এই বেদনা কেবল আরো গভীর ও প্রকট হয়েছে। বক্তারা বলেন সাম্যের পরিবর্তে বাড়ছে অসাম্য, মানবিক মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত, সামাজিক ন্যায়বিচার নির্বাসিত, ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শকে বাস্তবে বিসর্জন দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মাফিয়ারা ভয়ঙ্কর চেহারা নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে।
বিদ্যমান অবরুদ্ধ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে চরম দক্ষিণপন্থী ফ্যাসিস্ট শক্তির উত্থানের রাস্তা তৈরি হচ্ছে। নেতৃবৃন্দ বিদ্যমান অগণতান্ত্রিক, অসহিষ্ণু, বৈষম্যমূলক ও কর্তৃত্ববাদী ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে বাংলাদেশকে আবার মুক্তিযুদ্ধের দিশায় নিয়ে যেতে নতুন গণজাগরণের আহবান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।