নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
হারার আগেই যেন হেরে গেছেন নোভাক জোকোভিচ! নয়তো দানিল মেদভেদেভের ওই শেষ সার্ভিসে জোকোভিচের রিটার্ন কেন জালে আটকাবে। এ রকম সার্ভিস তো ফোরহ্যান্ডে কত হাজারবার পার করেছেন। কিন্তু কাল আর ফেরাতে পারলেন না। ইতিহাসও লেখা হলো না জোকোভিচের।
জোকোভিচের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে ফ্ল্যাশিং মিডোসে গতপরশু রাতে নতুন ইতিহাস লিখলেন মেদভেদেভ। বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকাকে হারিয়ে জিতেছেন ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম। ইউএস ওপেনের ফাইনালে ৬-৪,৬-৪, ৬-৪ গেমে সরাসরি সেটে জোকারকে হারিয়েছেন মেদভেদেভ। এর আগে দুইবার ফাইনাল খেলা মেদভেদেভ ক্যারিয়ারে প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যামের দেখা পেলেন তৃতীয়বার ফাইনালে উঠে।
রজার ফেদেরার ও রাফায়েল নাদালকে পেছনে ফেলে পুরুষ টেনিস ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ২১ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের হাতছানি ছিল জোকোভিচের সামনে। একই সঙ্গে ক্যালেন্ডার ইয়ার গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ের সুযোগ। তবে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলেন না এই সার্বিয়ান টেনিস মহাতারকা।
ফাইনালে শুরু থেকেই রীতিমতো ছড়ি ঘুরিয়েছেন মেদভেদেভ। প্রথম সেটে মেদভেদের জয় ৬-৪ গেমে। তবে প্রথম সেটের পর ম্যাচের গতিবিধি বোঝা প্রায় অসম্ভব কোর্টে যদি জোকোভিচ থাকে! বাছাইয়ের শীর্ষে থাকা এই টেনিস তারকা তো এমনই বলে কয়েই যেন প্রথম সেট প্রতিপক্ষকে ছেড়ে দেন! এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর দারুণ উপাখ্যান লিখেন। তবে প্রথম সেটে হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলাতে পারলেন না, উল্টো নিজেই চাপে পড়ে গেলেন দ্বিতীয় সেট হেরে। এবারও হার ৬-৪ গেমে।
শেষদিকে জোকোভিচ বুঝে গিয়েছিলেন কি ঘটতে যাচ্ছে। একবার তো বেঞ্চে বসে তোয়ালে দিয়ে চোখও মুছেছেন। হারার আগে হার না মানা মানসিকতার অদম্য জোকোভিচ ভেঙে পড়েছিলেন তখনই। আসলে দিনটাই তার ছিল না। শেষ সেটেও তাই ৬-৪ গেমে হেরে বসেন ৩৪ বছর বয়সী এই টেনিস মহাতারকা। আর ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো গ্র্যান্ডস্ল্যাম লিখে নতুন ইতিহাস লিখেন মেদভেদেভ।
প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ের উচ্ছ্বাসের পাশাপাশি জোকোভিচের ইতিহাস গড়ার আয়োজন ভেস্তে দেওয়ার জন্য দুঃখপ্রকাশও করলেন মেদভেদেভ, ‘প্রথমেই, নোভাক ও তার সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমরা সবাই জানি, আজ তার লক্ষ্য কী ছিল। এই বছর ও ক্যারিয়ার জুড়েই আপনি যা অর্জন করেছেন, কথাটি আগে কখনও বলিনি, আমার কাছে আপনিই ইতিহাসের সেরা টেনিস খেলোয়াড়।’
ম্যাচ শেষে জোকোভিচের কণ্ঠে শোনা যায় আবেগঘন ওই মুহূর্তের কথা, যা তার প্রলেপ হয় শিরোপা না পাওয়ার ক্ষতে, ‘যদিও আমি ম্যাচ জিতিনি, তারপরও আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ। কারণ আজ এই কোর্টে আপনারা আমাকে খুব বিশেষ একজন হিসেবে তুলে ধরেছেন। আপনারা আমার হৃদয় ছুঁয়েছেন। নিউইয়র্কে আমি কখনোই এমনটা অনুভব করিনি। আপনাদের ধন্যবাদ। ভালোবাসি সবাইকে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।