২০০৪ সালে বুলাওয়েতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শূন্য রানে চামিন্দা ভাসের বলে বোল্ড হয়ে ক্যারিয়ারের শুরু। তারপর থেকেই জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটে অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ছিলেন ব্রেন্ডন টেইলর। একের পর বিধ্বংসী ও মহাকাব্যিক ইনিংসে হয়েছেন দলের নায়ক, তরুণদের আদর্শ। অবশেষে বেলফাস্টে থামল টেইলর এক্সপ্রেস। জিম্বাবুয়ের রঙিণ জার্সিতে আর দেখা যাবে না তাকে। শেষটা যদিও ছিলেন ম্লান, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ৭ রানে ফিরে যান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তারপরও বিদায়বেলায় সতীর্থদের কাছ থেকে গার্ড অব অনার পেলেন অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারের (৬৭৮৬) পর এখন পর্যন্ত ২০৫ ওয়ানডে খেলা টেইলর জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান (৬৬৮৪) সংগ্রাহক। ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ১১টি সেঞ্চুরি তার দখলে। ৩৪ টেস্টে ২৩২০ ও ৪৫টি টি-টোয়েন্টিতে ৯৩৪ রান করেছেন তিনি। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার ব্যাটেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। ২০১১ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে দলের অধিনায়কত্ব করেছেন।
তবে এই টেইলরকে বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তরা চেনেন খুব ভালোমতোই। একসময় টাইগারদের আতঙ্ক ছিলেন ৩৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। ২০০৬ সালে হারারেতে সিরিজের ৩য় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৮ রান। বোলার ছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। সেই ম্যাচে সফরকারিদের কাঁদিয়ে দুটি ছক্কা ও একটি চারে ম্যাচটির ভাগ্য বদলে দিয়েছিলেন তিনি।