পিরোজপুরের নাজিরপুরে রবিবার বেলা ১২টা থেকে দিনব্যাপি নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সামনের মোড় পর্যন্ত সড়ক ও জনপদের বেড়িবাধ রাস্তার দু’পাশের জায়গা উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিট্রেট মো: খায়রুল ইসলাম।

নাজিরপুরের রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজের জন্য সড়কের দুই পাশে সকল ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। তবে এর আগে অনেকবার সড়ক ও জনপদের বেড়িবাধ রাস্তা দখলকারীদের উচ্ছেদের নোটিশ দিলেও তারা নিজেরা সড়ক ও জনপদের রাস্তা ছেড়ে না দেয়ায় সর্বশেষ এই অভিযান পরিচালনা করেন নাজিরপুর উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর।
উচ্ছেদ অভিযানে পিরোজপুর- ঢাকা মহা সড়কের নাজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সামনের রাস্তা সংলগ্ন এবং বেড়িবাধ রাস্তা প্রশস্ত করনের জন্য নাজিরপুর সদর পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশে সরকারি জায়গার মধ্যে যে সকল দোকান-পাট, ঘর-বাড়ি, মার্কেট-শোরুম, অফিস ও অন্যান্য অবৈধ স্থাপনা রয়েছে তা উচ্ছেদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নাজিরপুর উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ। এরই অংশ হিসাবে আজ রবিবার ১২টা থেকে নাজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সামনের রাস্তায় এ অভিযান শুরু করা হয়। জানা গেছে অভিযানের আগে অবৈধ স্থাপনার মালিকদের তাদের মালামাল সড়িয়ে নেওয়ার জন্য কয়েকবার নোটিশ এবং নির্দিষ্ট সময় বেধে দেওয়া হয়েছিল। দোকানীরা মালামাল সরানোর পর শুরু হয় এ উচ্ছেদ অভিযান। নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মো: খায়রুল ইসলাম জানান শহরের রাস্তার পার্শ্বে সরকারি জমি দখল করেন একজন অসাদু ব্যবসায়ী। রাস্তার পাশের অবৈধ স্থাপনা এবং দোকান উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। পূর্বে বারবার সতর্ক করার পরেও দখলদাররা অবৈধ স্থাপনা সরাননি। তাই জনগনের বৃহৎ স্বার্থে এবং বেড়িবাধ রাস্তা নির্মানের জন্য অবৈধ জায়গা দখল করায় এ অভিযান চালানো হচ্ছে। জনগণের নির্বিঘ্নে চলাচলের স্বার্থে আগামী ৬ মাসের মধ্যে সড়কের উভয় পাশে সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এরই অংশ হিসাবে নাজিরপুরের ২কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। তিনি আরো জানান, উচ্ছেদ অভিযানের আগে তাদেরকে সতর্কিকরন নোটিশ প্রদান ও মাইকিং করা হয়েছিল।এর পরেও যারা স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি তাদের স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও আবাসিক বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র নাজিরপুর সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেন।