নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কিছুদিন আগে এই জভেরেভের কাছে হেরেই ভেঙেছিল নোভাক জোকোভিচের ‘গোল্ডেন স্ল্যাম’ জেতার স্বপ্ন। অলিম্পিকের সেমিফাইনালে দুর্দান্ত টেনিস খেলে আলেক্সান্ডার জভেরেভ হারিয়েছিলেন ২০টি গ্র্যান্ডস্ল্যাম জেতা জোকোভিচকে। এক পঞ্জিকাবর্ষে সব কটি গ্র্যান্ডস্ল্যামের পাশাপাশি অলিম্পিকে সোনার পদক জেতার কীর্তি বা ‘গোল্ডেন স্ল্যাম’টা জভেরেভের কারণে তাই আবার গড়া হয়নি জোকোভিচের।
গতকাল ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালে একই খেলোয়াড়ের বিপক্ষে নামার আগে সেটি কি একটুর জন্যও দোলা দিয়ে যায়নি জোকোভিচের মনে?
হয়তো গিয়েছিল। হয়তো কিছুটা নড়বড়ে করে দিয়েছিল জোকোভিচকে। হয়তো কিছুটা মনোযোগ সরে গিয়েছিল সার্বিয়ান তারকার। সে কারণেই কি না, প্রথম সেটটা হেসেখেলেই জিতেছিলেন জভেরেভ, ৬-৪ ব্যবধানে। আবার অনেকে বলতে পারেন, এটাই তো জোকোভিচের ‘স্টাইল!’ শুরুতে ধীরে খেলা জোকোভিচের আসল রূপ তো দেখা যায় ম্যাচের শেষ দিকে এসে!
কারণ যা-ই হোক না কেন, প্রথম সেট জেতা জভেরেভ শেষমেশ জোকোভিচের অদম্য মানসিকতার সামনে টিকতে পারেননি, পারেননি অলিম্পিক-সাফল্যের পুনরাবৃত্তি করতে। ৩ ঘণ্টা ৩৩ মিনিটের মহাকাব্যিক লড়াইয়ের পর ৪-৬, ৬-২, ৬-৪, ৪-৬, ৬-২ গেমে সেমিফাইনাল জিতে জোকোভিচ বুঝিয়ে দিয়েছেন, রেকর্ডের হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরুষ এককের সেরা টেনিস তারকা হতে তিনি পুরোপুরি প্রস্তুত।
রজার ফেদেরার, রাফায়েল নাদাল, নোভাক জোকোভিচ-টেনিসের ত্রিরত্ন। ২০টি করে গ্র্যান্ডস্ল্যাম নিয়ে ছেলেদের এককের গ্র্যান্ডস্ল্যামের রেকর্ডে তিনজনই আছেন যৌথভাবে শীর্ষে। জভেরেভকে হারিয়ে ইউএস ওপেনের ফাইনালে ওঠা জোকোভিচ এই তালিকায় এককভাবে শীর্ষে ওঠার দুর্দান্ত সুযোগ পাচ্ছেন আজ।
ফাইনালে রাশিয়ার দানিল মেদভেদেভকে হারাতে পারলেই এককভাবে ২১ গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতে ফেদেরার-নাদালকে ছাড়িয়ে যাবেন, উঠে যাবেন রেকর্ডের শিখরে। সেমিতে কানাডার ফেলিক্স অগুয়ের-আলিয়াসিমকে ৬-৪, ৭-৫, ৬-২ গেমে হারিয়েছেন ২০১৯ ইউএস ওপেনের ফাইনাল খেলা মেদভেদেভ।
ফাইনালে মেদভেদেভকে হারাতে পারলে শুধু গ্র্যান্ডস্ল্যামের রেকর্ডের শীর্ষেই উঠবেন না জোকোভিচ, এক পঞ্জিকাবর্ষে সব কটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার কীর্তিও গড়বেন এই সার্বিয়ান, যে কীর্তি এর আগে ১৯৬৯ সালে করে দেখিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা রড লেভার।
ফাইনালে যে যেকোনো মূল্যে জিততে চান, সেটা বোঝা গেছে জোকোভিচের কথায়, ‘আর এক ম্যাচ বাকি আছে। আমি আমার সামর্থ্যরে সবটুকু দিয়ে, হৃদয় নিংড়ে ম্যাচটা খেলতে চাই। এটাকে আমার জীবনের শেষ ম্যাচ ভেবেই খেলব।’
জোকোভিচের কথায় নিজের তৃতীয় গ্র্যান্ডস্ল্যাম ফাইনাল খেলতে যাওয়া মেদভেদেভের বুকে কাঁপন ধরাই স্বাভাবিক। এর আগে ২০১৯ ইউএস ওপেনের ফাইনালে নাদাল আর ২০২০ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে এই জোকোভিচের কাছেই হেরেছিলেন এই রাশিয়ান। তৃতীয়বারে সফল হতে চাইলে অবিশ্বাস্য কিছুই করে দেখাতে হবে মেদভেদেভকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।