Inqilab Logo

সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪, ১০ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বিশ্বসেরা শিক্ষক পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ফিলিস্তিনি নারী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৪:০০ পিএম

ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি নারী নাসরিন কুতাইনাহ এই বছরের ভার্কে ফাউন্ডেশনের বিশ্বসেরা শিক্ষক পুরস্কারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রাখা হয়েছে। শনিবার ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়।

নাসরিন অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীরের আল-খলিল (হেবরন) শহরের দোরা প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও গণিতের শিক্ষক।
সপ্তমবারের মতো এই ভার্কে ফাউন্ডেশন বৈশ্বয়িক শিক্ষক পুরস্কার (২০২১) দেয়া হচ্ছে। এ পুরস্কারটি ইউনেস্কোর সাথে যৌথ অংশীদারিত্বে দেয়া হয়। অসাধারণ সব শিক্ষকদের স্বীকৃতি দেয়ার জন্য এ পুরস্কারটির প্রচলন করা হয়েছে। বিশ্বসেরা শিক্ষক পুরস্কারের অর্থমূল্য হলো ১০ লাখ মার্কিন ডলার।
নাসরিন কুতাইনাহ ওই বিশ্বসেরা শিক্ষক পুরস্কারের আয়োজকদের বলেন, করোনা মহামারীর কারণে তার ছাত্রীদের শিক্ষা কার্যক্রম বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন। কিন্তু, কুতাইনাহ এ মহামারীকে কোনো বাধা হিসেবে গণ্য করেননি। তিনি শিক্ষা বিষয়ক ভিডিও তৈরি করেন যাতে করে যে সকল শিক্ষার্থীর কম্পিউটার আছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবেশ করার সক্ষমতা আছে তারা যেন লেখাপড়া শিখতে পারে। এছাড়া যাদের অনলাইন নেই তারাও যাতে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে তার ব্যবস্থা করেন তিনি। তিনি ছোট ছোট বই তৈরি করেছেন যা পরস্পরিক মিথস্ক্রিয়া, বিভিন্ন শিক্ষা কার্যক্রম ও শিক্ষামূলক কার্টুন দিয়ে পরিপূর্ণ।
এ বিষয়ে নাসরিন কুতাইনাহ বলেন, আমি একটি মনকে আলোকিত করার চেষ্টা করি। আলোকিত মনের অধিকারীরাই পরে এক দিন পরিপূর্ণ মানুষে পরিণত হবেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আমার কাছে কোনো ধরনের বৈষম্যই গ্রহণযোগ্য না, তবে সৃজনশীলতার প্রতি আমি ইতিবাচক।’ এটাই হলো নেসরিন কুতাইনাহর শিক্ষকতা ও জ্ঞান অর্জনের মূলনীতি।
তিনি খেলার মাধ্যমে শিক্ষা দেয়ার নীতিতে বিশ্বাসী। বিশেষ করে তার অনেক ছাত্রীই গণিত ভালোবাসে না এবং স্কুলে আসতে চায় না। এ কারণে তিনি গল্প ও গানের মাধ্যমে ছাত্রীদের বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষা দেন।
করোনা মহামারীর মধ্যেও যদি আমরা একটি সুন্দর পৃথিবী পুনর্গঠন করতে চাই তাহলে আমাদেরকে প্রত্যেক শিশুর শিক্ষা গ্রহণের অধিকার দিতে হবে। কারণ, এ শিশুরাই হলো পরবর্তী প্রজন্ম। এরাই আমাদের ভবিষ্যৎ।
নাসরিন কুতাইনাহকে আন্তর্জাতিক মানের মাইক্রসফট প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে। ওই প্রশিক্ষণের পর তাকে সৃজনশীল শিক্ষক বলে অভিহিত করা হয়। ২০১৯ সালে তিনি ফিলিস্তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেশটির সেরা শিক্ষক হিসেবে মনোনীত হন।
দক্ষ ও অসাধারণ শিক্ষকদের স্বীকৃতি দেয়ার জন্য বিশ্বসেরা শিক্ষক পুরস্কার দেয়া হয়। তরুণ ছাত্রদের জীবন পরিবর্তন করে দেয়ার নায়ক এ সকল শিক্ষকদের জীবনের প্রতি আলোকপাত করাই এ পুরস্কারের লক্ষ্য। ফিলিস্তিনিদের কাছে বিশ্বসেরা শিক্ষক পুরস্কার নতুন কিছু নয়। এর আগে ২০১৬ সালে ফিলিস্তিনের হানান আল-হরুব বিশ্বসেরা শিক্ষক হিসেবে পুরস্কার পান। সূত্র : প্যালেস্টাইন ক্রনিকল



 

Show all comments
  • Harun ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:২৯ এএম says : 0
    Bangladesh pabe bishsho Shera chor o batpar prize
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্বসেরা শিক্ষক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ