পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দক্ষিণ কোরিয়া এবং বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ় উল্লেখ করে দক্ষিণ কোরিয়া রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিয়ুন বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে ৫ম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ এবং আশা প্রকাশ করেন, সামনের দিনগুলোতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে। তিনি জানান, দক্ষিণ কোরিয়ায় রফতানিকৃত বাংলাদেশি পণ্যের ৯৩ শতাংশই শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করে থাকে। তবে এলডিসি উত্তরণের পরবর্তী সময়ে বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের বাজার ধরে রাখতে, বাংলাদেশকে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত জানান, ইতোমধ্যে ৭০টি দেশের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার এফটিএ রয়েছে। যার মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন ও আশিয়ান উল্লেখযোগ্য। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল এবং তথ্য-প্রযুক্তিখাতে কোরিয়ান উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়, পাশাপাশি বাংলাদেশী পণ্যের রফতানি বাজার সম্প্রসারণে এদেশের উদ্যোক্তাদের পণ্যে বহুমুখীকরণের উপর আরো বেশি হারে গুরুত্বারোপের পরামর্শ দেন। রাষ্ট্রদূত দুদেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে বাণিজ্য সংগঠনগুলোর মধ্যকার যোগাযোগ আরো বাড়ানোর আহ্বান জানান।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিয়ুন ডিসিসিআইতে সাক্ষাৎ করে এ সব কথা বলেন। ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, এফসিএস, এফসিএ এবং সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক উত্তর উত্তর বাড়ছে এবং বর্তমানে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ৩৯৮ দশমিক ৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি উল্লেখ করেন, দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্যোক্তারা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ১০৩০ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ করেছে এবং আশা প্রকাশ করেন, আগামীতে কোরিয়ান বিনিয়োগের পরিমাণ আরো বাড়বে। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্যোক্তাদের চামড়া ও পাদুকা, জাহাজ নির্মাণ, ঔষধ, তৈরি পোষাকখাতের বেকওয়ার্ড লিংকেজ, অটোমোবাইল ও অবকাঠামো, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, বিদ্যুৎ এবং ইলেকট্রনিক্স প্রভৃতি খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার বাণিজ্য আরো সম্প্রসারণে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরে সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে ডিসিসিআই এবং বাংলাদেশস্থ কোরিয়ান দূতাবাস একযোগে কাজ করার প্রস্তাব করেন ডিসিসিআই সভাপতি। রিজওয়ান রাহমান অবহিত করেন যে, ডিসিসিআই এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর হতে সপ্তাহব্যাপী ‘বাংলাদেশ ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্মেলন’ আয়োজন করবে এবং এ সম্মেলনের বিটুবি সেশনসমূহে কোরিয়ার বিনিয়োগকারী ও উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।