পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দীর্ঘ মন্দার পর নানামুখী পদক্ষেপে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে কড়াকড়ি, ব্যাংকে মেয়াদী আমানতের সুদ কম হওয়ায় বিনিয়োগের নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে পুঁজিবাজারে ফিরছেন সর্বস্তরের মানুষ। গলির চা’র দোকান, বাস, ট্রেন থেকে শুরু করে অফিস-আদালত সকল স্থানেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এখন পুঁজিবাজার। তারল্য ও আস্থার সঙ্কট কাটিয়ে নতুন আশায় বুক বাঁধছেন বিনিয়োগকারীরা। গত মে’ মাসে করোনা মহামারির মধ্যে যোগদান করেই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে এবং গতিশীলতা আনতে নানামুখী পদক্ষেপ নেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তাঁর গতিশীল নেতৃত্বে ও নানামুখী পদক্ষেপে ধীরে ধীরে বিনিয়োগকারীদের আস্থায় পরিণত হয়েছে পুঁজিবাজার। মহামারি প্রকোপ চললেও আতঙ্ক দূরে ঠেলে ইতোমধ্যে স্বাভাবিক হয়েছে দেশের জনজীবন ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে। দেখা মিলছে টানা বড় উত্থানের। একই সঙ্গে গতি বাড়ছে লেনদেনেও। দেশের পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই সব ধরণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। একাধিকবার বিনিয়োগকারীদের তাঁর প্রতি আস্থা রাখতে বলেছেন। অবশেষে তার প্রতিফলন দেখছে বিনিয়োগকারীরা। শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ, শর্তহীন অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ এবং সর্বোপরি পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম ও নতুন কমিশনের দৃঢ় অবস্থানের কারণে পুঁজিবাজারে আশার আলো দেখছেন বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্টরা। স্টেকহোল্ডার, অর্থনীতিবীদ ও বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এমন তথ্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক প্রফেসর আবু আহমেদ বলেন, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে কড়াকড়ি এবং ব্যাংক আমানতের সুদের হার কমে যাওয়ায় পুঁজিবাজারের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। বিশেষ করে বিকল্প বিনিয়োগের সুযোগ কম থাকায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়ছে। তিনি বলেন, নতুন কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর তাদের বিভিন্ন ইতিবাচক পদক্ষেপের কারণে পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরতে শুরু করেছে। এতে বাজারে প্রতিদিন নতুন নতুন বিনিয়োগকারী প্রবেশ করছে এবং বিও হিসাব বাড়ছে। ফলে ঊর্ধমুখী পুঁজিবাজারে লেনদেন ও বাজার মূলধন বেড়ে যাচ্ছে।
সূত্র মতে, ঊর্ধমুখী পুঁজিবাজারে নতুন করে আশার আলো দেখছেন বিনিয়োগকারীরা। পুঁজিবাজারে বেশির ভাগ শেয়ারের দাম ও সূচকের ঊর্ধমুখীতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন প্রথমবারের মতো ৫ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। গত ১৪ জানুয়ারি ডিএসই’র বাজার মূলধন পুঁজিবাজারের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৫ লাখ ১ হাজার ৭০৯ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। শুধু তাই নয়, গত দেড় মাসেরও কম সময়ে অর্থাৎ সর্বশেষ ৩০ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ১৯৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
ডিএসই সূত্র জানায়, বিদায়ী ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত পুঁজি হারানোর শঙ্কায় থাকলেও গত আগস্ট মাস থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে পুঁজিবাজার। বছরের শেষ মাস ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পুঁজিবাজার এতটাই ভালো অবস্থানে রয়েছে, যে ২০১০ সালের মহাধসের পর গত ১০ বছরে এর চেয়ে ভালো অবস্থানে আর দেখা যায়নি।
গত ২ ডিসেম্বর ডিএসই’র বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৫১২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। মাত্র এক মাস ১৩ দিন বা ৩০ কার্যদিবসের ব্যবধানে গত ১৪ জানুয়ারি তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১ হাজার ৭০৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। এ সময়ের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ১৯৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
যদিও গতকাল পুঁজিবাজারে দরপতন হয়েছে। তবে এই দরপতনকে স্বাভাবিক বা সংশোধন বলছেন শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ মুনাফা তুলে নেয়ার চেষ্টা করেছে। বিপরীতে অন্য একটি পক্ষ কম দামে শেয়ার কেনার চেষ্টা করছেন। এ কারণে সূচকের পতন হলেও লেনদেন বেড়েছে। একই সঙ্গে প্রায় সবকটি ব্যাংকের শেয়ার দাম বেড়েছে। এটা বাজারের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক। কারণ ব্যাংকের ফ্রি ফ্লোট (লেনদেন যোগ্য) শেয়ার সব থেকে বেশি।
তারা আরও বলছেন, কয়েকদিন ধরে শেয়ারবাজার টানা বাড়ছে। কয়েকটি কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়ে দ্বিগুণ ছাড়িয়ে গেছে। যে কারণে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ মুনাফা তুলে নেয়ার জন্য এসব কোম্পানির শেয়ার বিক্রির চাপ বাড়িয়েছেন। আর বিক্রির চাপ বাড়ায় দাম কিছুটা কমেছে। এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
গতকাল লেনদেন শেষে ডিএসই’র প্রধান মূল্য সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮৫০ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই’র শরিয়াহ্ সূচক ২৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৯৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্য সূচকের এই পতনের বিষয়ে ডিএসই’র এক সদস্য বলেন, শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়ায় মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। তিনি বলেন, ব্যাংকের শেয়ার দাম বাড়া খুবই ভালো লক্ষণ। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন। কারণ ব্যাংকের ফ্রি ফ্লোট শেয়ার বেশি। আর যে কোম্পানির ফ্রি ফ্লোট শেয়ার বেশি থাকে, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে সেই কোম্পানির শেয়ার বেশি থাকে। তাছাড়া বাজার মূলধনের বড় অংশই ব্যাংকের। সুতরাং ব্যাংকের শেয়ার দাম বাড়া বাজারের জন্য সুসংবাদ। একই সঙ্গে এটাকে পতন বলা যায় না। কয়েকদিন ধরে টানা বাড়ায় কিছু বিনিয়োগকারী মুনাফা তুলে নেয়ার চেষ্টা করেছেন। অপরদিকে দাম কমায় কিছু বিনিয়োগকারী কম দামে শেয়ার কিনে নিয়েছেন। এটাই শেয়ারবাজার। এছাড়া সূচকের বড় পতন হলেও ডিএসইতে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৩৮৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। যা আগের দিন ছিল ২ হাজার ৭০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এ হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৩১৪ কোটি ২ লাখ টাকা।
এদিকে গত দেড়মাসে ডিএসইতে বাজার মুলধনের পাশাপাশি বেড়েছে সব সূচক, লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। গত ডিসেম্বর মাসের শুরুতে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ইনডেক্স চার হাজার ৯৩৪ পয়েন্ট। মাত্র দেড়মাসের ব্যবধানে গত ১৪ জানুয়ারি তা বেড়ে ৫ হাজার ৯০৯ পয়েন্টে উন্নীত হয়। এ সময়ে সূচক বেড়েছে ৯৭৫ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি একই সময়ে বেড়েছে গড় লেনদেনও। গত নভেম্বর মাস পর্যন্ত ডিএসইতে গড় লেনদেন ৬০০ থেকে ৭০০ কোটি টাকার মধ্যে থাকলেও ডিসেম্বর মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০০ থেকে এক হাজার কোটি টাকা। চলতি জানুয়ারি মাসে ১৪ দিনে ডিএসইতে গড় লেনদেন হয়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি’র নানামুখী পদক্ষেপে দীর্ঘ মন্দা কাটিয়ে ২০২০ সালের শেষ দিকে চাঙ্গা হয়ে উঠে পুঁজিবাজার। প্রতিনিয়ত বাড়ছে আর্থিক ও শেয়ার লেনদেন, সব সূচক, বাজার মূলধন। একই সঙ্গে বাজারে প্রবেশ করছে নতুন বিনিয়োগকারী। সিডিবিএল‘র তথ্য অনুসারে ডিসেম্বর মাসের শুরুতে বিও হিসাব ছিল ২৫ লাখ ৮ হাজার ৮৯২টিতে। গত ১৪ জানুয়ারি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৫ লাখ ৭৬ হাজার ৫৪৬টি। অর্থাৎ গত দেড়মাসে পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগকারী বেড়েছে ৬৭ হাজার ৬৫৪ জন।
সূত্র মতে, চলতি বছরের শুরু থেকে ব্যাপক পতন দেখা দেয় পুঁজিবাজারে। এরপর মার্চে এসে যুক্ত হয় করোনা মহামারি। এই অবস্থায় শেয়ার বিক্রির চাপ বেড়ে গেলে বড় পতন দেখা দেয়। আগের কমিশন ১৮ মার্চ শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করেন। এরপরও পতন ঠেকানো না গেলে পুঁজিবাজার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরই মধ্যে এপ্রিলে খায়রুল কমিশন বিদায় নিলে, মে মাসে চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের নেতৃত্বে নতুন কমিশন দায়িত্ব নেয়।
দায়িত্ব নেয়ার পরই বিএসইসি চেয়ারম্যান গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, অন্যায় করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে যা যা করা দরকার তিনি তাই করবেন।
এরই ধারাবাহিকতায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্টেকহোল্ডার ও বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর ৩১ মে পুনরায় পুঁজিবাজারে লেনদেন চালু হয়। শুধু তাই নয়, প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত দায়িত্ব নেয়ার পর ব্রোকারেজ হাউজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, পরিচালকদের ন্য‚নতম শেয়ার ধারণে বাধ্যবাধকতা এবং ভালো কোম্পানির শেয়ার বাজারে আনাসহ বেশ কিছু সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন তিনি। অনিয়ম দূর করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানোকেই বেশি শুরুত্ব দেন বিএসইসি চেয়ারম্যান ও কমিশন। যা বিনিয়োগকারীরা ইতিবাচক হিসেবে নিয়ে বাজারে ফিরতে শুরু করে। এতে করে বাজার ঘুঁড়ে দাঁড়ায়।
সাধারণ বিনিয়োগকারী রহিম শেখ বলেন, ২০১০ সালে আমি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করি। বিনিয়োগ করেই ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ি। পুঁজির দুইভাগ চলে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়ি। কিন্তু আমি বাজার ছেড়ে যাইনি। ধীরে ধীরে গত ১০ বছরে আমার পুঁজি না ফিরলেও এই করোনাকালে পুঁজি ফিরে লাভের মুখ দেখেছি। তিনি বলেন, পুঁজি ফেরা নিয়ে শঙ্কায় ছিলাম কিন্তু বর্তমান বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের নেতৃত্বে নতুন কমিশনের সাহসী পদক্ষেপের কারণে নতুন করে বিনিয়োগ করেছি এবং গত দুই মাসে শেয়ার থেকে ভালো মুনাফা পেয়েছি। রহিম শেখ বলেন, কমিশন পরিচালকদের শেয়ার ধারণের জন্য আল্টিমেটাম দেওয়ায় তারা শেয়ার কিনছেন। এতে করে শেয়ারের চাহিদা বাড়ায় দামও বেড়েছে, আমরাও লাভবান হচ্ছি। আমাদের দীর্ঘদিনের আস্থার সঙ্কট কাটতে শুরু করেছে আমরা নতুন করে আশায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ শুরু করেছি।
শুধু তাই নয়, বিনা শর্তে পুঁজিবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ করে দেয়ায় পুঁজিবাজারে তারল্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। তিনি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের ইম্প্যাক্ট পুঁজিবাজারে পড়েছে। এতে করে পুঁজিবাজারে ক্যাশ ফ্লো বেড়েছে। যদিও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এখনো অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ নিয়ে নানামুখী প্রশ্ন করছে।
এহেতেশামুজ্জামান নামে আরেক সাধারণ বিনিয়োগকারী বলেন, বিএসইসি’র নতুন চেয়ারম্যানের সাহসী পদক্ষেপের কারণে পুঁজিবাজার ঘুঁরে দাঁড়িয়েছে। বিনিয়োগকারীরা আস্থা ফিরে পাচ্ছেন বাজারে তারল্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, করোনাকালে সূচকের টানা উত্থান নতুন কমিশনের শক্তিশালী পদক্ষেপের কারণে হয়েছে। বিনিয়োগকারীরা আস্থা সঙ্কটে ভুগছিলেন। বিএসইসির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বর্তমান কমিশন একাধিক সাহসী পদক্ষেপ বিশেষ করে ব্রোকারেজ হাউজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, বড় কোম্পানিকে জরিমানা এবং পরিচালকদের শেয়ার ধারণের সময় বেঁধে দেয়ার কারণে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরেছে। এতে করে বাজার ইতিবাচক হতে শুরু করেছে।
বাজারে সূচকের উত্থান ও মূলধন বাড়াকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তাদের মতে, টানা এক দশক বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করেছে। এতে করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ছিল না। এক দশক অস্থিরতার পর এরকম উত্থান স্বাভাবিক। শুধু তাই নয় নতুন কমিশনের দৃশ্যমান পদক্ষেপ বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়েছে। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরায় বাজারে তারল্য সংকট কেটে গেছে বলেও মনে করছেন তারা।
এ ব্যাপারে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশীদ চৌধুরী বলেন, গত এক দশক খাইরুল কমিশন অনেক পদক্ষেপ নিলেও সেটির আলোর মুখ দেখেনি। এতে করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। কিন্তু নতুন কমিশনের দৃশ্যমান পদক্ষেপ বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে সক্ষম হয়েছে। এতে করে নতুন আশায় বাজারে বিনিয়োগ করতে শুরু করেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তাদের আশা একটাই বাজার উত্থান-পতনে কোন চক্র যাতে কারসাজি করতে না পারে সেটি ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে কমিশন এমনটাই প্রত্যাশা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। যদিও গত শনিবার এক আলোচনা সভায় বিএসইসি চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেছেন, পুঁজিবাজারে কারসাজি করার দিন শেষ। কারসাজি করে এখন আর কেউ পার পাবে না। কেউ খেলতে চাইলে আমরা তাকে তখনই ধরে ফেলব।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।