বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আ’লীগ একটি জনগণের নির্যাতনকারী রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। যে আওয়ামীলীগ এক সময় জনগণের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছে সংগ্রাম করেছে যুদ্ধ করেছে সেই আওয়ামীলীগ আজকে পুরোপুরিভাবে গোটা বাংলাদেশের জনগণকে শোষণকারী এবং নির্যাতনকারী একটি দলে পরিণত হয়েছে। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার কালিবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন আমি আগেই বলেছি তারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। যে কারনে আওয়ামী লীগ থেকে যে বিষয়গুলো তাদের মূল শক্তি ছিল আওয়ামী লীগের গণতান্ত্রিক গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করার সংগ্রাম করা সেই জায়গা থেকে সম্পূর্ণ সরে গিয়ে তারা এখন অর্থ উপার্জনকারী দুর্নিতীতে নিমর্জিত একটি রাজনৈতিক দলে পরিনত হয়েছে। জণগণের সুখ-দুঃখ আশা-আকাংখার সাথে তাদের কোন সম্পর্কই নেই। তারা বিছিন্ন হয়ে গেছে। এখন একটা একনায়কতন্ত্র কতৃত্ববাদী ব্যবস্থা তৈরী করার জন্য সব ব্যবস্থা করে ফেলেছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামীলীগকে তো ক্ষমা করা যায় না। এ জন্যই যে তারা জনগনের যে আশা আকাংখা জনগনের যে ইচ্ছা জনগনের যে মালিকানা তা সম্পূর্ন ভাবে ধংস করে দিয়েছে। আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী জেনারের (ওবায়দুল কাদের) যে সমস্ত কথা বলেন এগুলো তিনি তার নেতাকে তোষামদী করার জন্য বলেন। এ ছাড়া আমি কোন কারন খুজে পাই না। বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে প্রশাসন, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্র গুলোকে তারা দলীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। যার কারণে আওয়ামীগ এখন এ দেশকে তাঁদের পৈত্রিক সম্পত্তি ভাবতে শুরু করেছে। দলীয় নেতা কর্মীদের মামলার প্রসঙ্গ তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কল্পনাও করা যায় না ৩৫ লাখ রাজনৈতিক মামলা হয়। কিন্তু এই ফ্যাসিস্টবাদী সরকার সেই কল্পনাকেও হার মানিয়েছে। কথা বললেও মামলা, কোথাও মিটিং করলেও মামলা। মামলা হামলা বন্ধ করে তিনি সরকারকে পদত্যাগ করে একটি সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করতে আহবান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর করিম, আল মামুন আলমসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।