পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে বিএনপির ৬০০ নেতাকর্মীকে গুম, সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা এবং ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জাতিসংঘে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখে ‘যুদ্ধ চাই না, নিষেধাজ্ঞা চাই না’ বেমানান। কোন মুখে তিনি এমন কথা বলেন। গতকাল শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে যুবদল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। মুন্সীগঞ্জ জেলার মীরকাদীম পৌর শাখা যুবদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম শাওন হত্যার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী সরকার সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। জাতিসংঘে গিয়ে মানবাধিকার রক্ষার কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখে মানবাধিকারের কথা বেমানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আপনি যে দেশে বাস করেন, যে দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন সে দেশের মানুষকে হত্যা করছেন। যারা বেঁচে থাকতে চায়, গণতন্ত্র চায়, ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায় তাদেরকে হত্যা করে আপনারা পুলিশ, বিচার বিভাগ, প্রশাসনকে ব্যবহার করছেন। মিডিয়ার মুখ বন্ধ করে জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাচ্ছেন। দুই শাওন, রহিম ও নুরে আলমের মৃত্যুতে যে আন্দোলন দেশে শুরু হয়েছে তা বন্ধ করা সম্ভব হবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চলমান আন্দোলনে নামার পর আমাদের চার সন্তানের প্রাণ নিয়েছে এই সরকার। রাজপথে গুলি করে রক্ত ঝড়িয়ে, হত্যা করে, ভয় দেখিয়ে, গুম করে, বাড়ি ঘর ও মিল কারখানায় আগুন লাগিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তিনি বলেন, পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ, এর থেকে বড় কষ্টের আর কিছু হতে পারে না। আজকে সকালে যখন পত্রিকা দেখছিলাম কাগজে শাওনের সেই আট মাসের ফুটফুটে সন্তানের ছবি দেখার পরে আমার আর এই জনসভায় বক্তব্য দেওয়ার কারণ থাকে না। এখন আমাদের রাজপথে নেমে পুরোপুরিভাবে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য যে দায়ী তাকে সরাতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে শাওনের বাবাকে ভয় দেখানো হচ্ছে। তাকে একথা বলার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। ভয় দেখিয়ে তাকে হুমকি দিয়ে বলা হচ্ছে ‘তুমি বলো ইটের আঘাতে শাওনের মৃত্যু হয়েছে, বিএনপি নিজেরা তাকে হত্যা করেছে’। এই হলো দেশের বর্তমান অবস্থা। কিন্তু আমাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণ আছে, পরিষ্কার রিপোর্ট আছে। ডাক্তাররা বলেছে বন্ধুকের গুলিতেই তার মৃত্যু হয়েছে। আজকে সারাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। আমরা বিএনপিকে ক্ষমতায় আসার কথা বলছি না, বাংলাদেশের জনগণ ক্ষমতায় আসার জন্য বলছি। কারণ, এই দেশের মালিক জনগণ। তারা ভোটাধিকার ফেরত চাই, অধিকার ফেরত চাই, জীবনের নিরাপত্তা চাই। এর জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে, দুর্বার বড় আন্দোলন সৃষ্টি করে এই সরকারকে পদত্যাগ করাতে বাধ্য করব। বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে নিহত যুবদল নেতা শহিদুল ইসলাম শাওনের পিতা তোয়াব আলী বলেন, আমার ছেলে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করতে গিয়ে নিহত হয়েছে। যারা আমার সন্তানকে হত্যা করেছে তারা জনগণের অধিকারকে হত্যা করেছে। আমাকে ভয় ভীতি দেখানো হচ্ছে, আপনারাই আমার ভরসা। আপনারা আমার পাশে থাকে কোনো শক্তিকেই আমি ভয় পাই না।
যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সঞ্চালনা সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।