গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে কোতোয়ালী থানায় দায়ের করা মামলায় ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিনের স্বামী মাসুকুর রহমান ও চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমান উল্ল্যাহর ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালত রিমান্ডের এ আদেশ দেন। এদিন কোতোয়ালী থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে, গত ২৩ আগস্ট গুলশান থানার মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালত ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান ও সিওও আমান উল্ল্যাহসহ প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এরপর ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকি বিল্লাহর আদালত তাদেরকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর সিদ্দিকের আদালতে ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। পরে বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ১৬ আগস্ট গুলশান থানায় মামলাটি করেছেন ই-অরেঞ্জের ভুক্তভোগী গ্রাহক মো. তাহেরুল ইসলাম। তার সঙ্গে সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও ৩৭ ভুক্তভোগী। মামলায় অর্থ আত্মসাৎকারী হিসেবে যেসব আসামির কথা উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলেন‑ মাসুকুর রহমান, আমানউল্ল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ, সোনিয়া মেহজাবিনসহ ই-অরেঞ্জের সব মালিক। মামলার এজাহারে উল্লেখিত আসামিদের প্রত্যেককেই ই-অরেঞ্জের মালিক বলে দাবি করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।