মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন নাগরিকদের জন্য ফের বিমান পাঠানো হতে পারে আফগানিস্তানে। এজন্য তালেবানের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রর উচ্চপদস্থ কূটনীতিক।
এদিকে, কাতারের প্রশাসনের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। সোমবার এবং মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, তালেবানের সঙ্গেও মার্কিন কূটনীতিকদের নিয়মিত আলোচনা চলছে। কীভাবে মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধার করা হবে এবং দেশে ফিরিয়ে নেয়া হবে, তার ব্লুপ্রিন্ট প্রায় তৈরি। তালেবান উদ্ধারকাজে সবুজ সংকেত দিয়েছে। অর্থাৎ, নিরাপদে তারা কাবুল বিমানবন্দর যেতে পারবেন।
দোহায় বসে তালেবানের সঙ্গে যে মার্কিন কূটনীতিকরা কথা বলছেন, তাদেরই একজন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তালেবান কাবুলে ফের মার্কিন বিমান নামার অনুমতি দিয়েছে। চার্চার্ড ফ্লাইটে এখনো আটকে থাকা মার্কিন নাগরিকদের দেশে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। ব্লিংকেনের দাবি, কেবল মার্কিন নাগরিক নয়, আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রর সঙ্গে কাজ করা আফগান নাগরিকদেরও তারা উদ্ধার করতে চায়। যে আফগানরা দেশ ছাড়তে চাইছেন, তাদের জন্যও ব্যবস্থা করবে মার্কিন প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্রর দাবি, তালেবান তাদেরকেও নিরাপদে বিমানবন্দরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রর দাবি, তালেবান জানিয়েছে, যাদের কাছে বৈধ কাগজ থাকবে, তাদের বিমানবন্দরে যেতে দেওয়া হবে। আফগান নাগরিকদের ক্ষেত্রেও কোনো বাধা দেওয়া হবে না।
যুক্তরাষ্ট্র কাবুল বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার পরে তা এখন তালেবানের দখলে। বিস্ফোরণে বিমানবন্দরের একটি অংশ নষ্ট হয়েছে। তালেবান এখনো বিমানবন্দর খোলেনি। বিমানবন্দরের এটিসি সহ অন্যান্য প্রযুক্তিগত দিক কারা দেখবে, তা নিয়ে এখনো সংশয় আছে। ফলে মার্কিন বিমান সেখানে গিয়ে কীভাবে নামবে, তা নিয়ে এখনো যথেষ্ট ধোঁয়াশা আছে। কাতার এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মেদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানি মঙ্গলবার জানিয়েছেন, আগামী কিছুদিনের মধ্যে যাত্রীদের জন্য কাবুল বিমানবন্দর খুলে দেওয়া যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের দাবি এখনো আফগানিস্তানে একশ মার্কিন নাগরিক আটকে আছেন। সোমবার চারজন মার্কিন নাগরিককে স্থলপথে উদ্ধার করেছে মার্কিন কূটনীতিকরা। তবে কোনো কোনো এনজিও দাবি করছে, আফগানিস্তানে একশর বেশি মার্কিন নাগরিক আছেন। তাদের দাবি, উত্তরে মাজার-ই-শরিফের বিমানবন্দরে বহু মানুষকে আটকে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে মার্কিন নাগরিকও আছেন। তবে ব্লিংকেন মাজার-ই-শরিফের বিষয়টিকে গুজব বলে দাবি করেছেন। সূত্র: রয়টার্স, এপি, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।