Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকারি কর্মকর্তাদের স্যার ম্যাডাম বলার রীতি নেই

বিএসআরএফ সংলাপে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

সরকারি কর্মকর্তাদের স্যার বা ম্যাডাম বলতে হবে এমন কোনো রীতি নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। দ্রুততম সময়ে দক্ষ কর্মকর্তাকে যথাস্থানে পদায়নের জন্য রাইট ম্যান রাইট প্লেস’ নীতি বাস্তবায়নে একটি পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে গণ মাধ্যমকেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে অংশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্যার শব্দের অর্থ মহোদয়। ম্যাডাম অর্থ মহাদয়া। জনাব বা জনাবা। রুলস অব বিজনেসে এটা নাই। আমাদের জাতির পিতার নির্দেশনা কী ছিল? যারা তোমাদেরর কাছে সেবা নিতে আসে তাদের দিকে তাকাও তারা তোমার ভাইয়ের মতো, বাবার মতো, আত্মীয়ের মতো। যারা সেবা দিতে আসে তারা জনগণ, জনগণের সেবক হও। জনগণের টাকায় তোমার বেতন হয়।

ফরহাদ হোসেন বলেন, সেক্ষেত্রে আমাদের ¯স্লোগান পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে চাই। সেজন্য আমি নিজেও কর্মকর্তাদের সঙ্গে সংযুক্ত হয়, তাদের অনুপ্রাণিত করি। মাঠ প্রশাসনের প্রধান বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে নির্দেশনা দেই। তারা অ্যাসিল্যান্ড থেকে শুরু করে ইউএনওদের নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করছেন। তারা প্রতিদিন তাদেরকে এই বার্তাগুলো দিচ্ছেন যে জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে হবে। আমরা জনমুখী জনপ্রশাসন বলতে ওইটাই বলেছি। সেক্ষেত্রে এখানে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। কেউ সেবা নিতে গেলে হাসিমুখে, আপনার এটিচিউডটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেউ সেবা নিতে গলে যদি ওয়েলকামিং এটিচিউড না থাকে, আপনি তিরস্কার বা রেগে আছেন এগুলো দুর্নীতি। দুর্ব্যবহার দুর্নীতির শামিল। এটা করা যাবে না। আপনি সুন্দর, সাবলীলভাবে কথা বলেন।

এমন কথা বলাটা এমন না যে ক্ষমতা দেখাতে পারছেন না বা আপনি হেরে যাচ্ছেন। সাধ্যমত সেবাটি দেওয়া। আপনার আচরণ সরকারের আচরণ। সবাই মনে করে আপনার অফিস প্রধানমন্ত্রীর অফিসের একটি অংশ। আমাদের কর্মকর্তারা যেটি মেনে চলবে- স্যার, ম্যাডাম বা এমন কিছু সম্বোধন করতে হবে এমন কোনো রীতি নেই। সম্প্রতি মাঠ প্রশাসনে এক কর্মকর্তাকে স্যার সম্বোধন না করায় উদ্ভুত পরিস্তিতি নিয়ে জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটি জায়গায় একটি ঘটনা ঘটেছিল, সেখানেও আমরা দেখেছি আশেপাশে যারা ছিল তাদের অতি বাড়াড়িতে এমনটি হয়েছিল। এমনও নজির আছে, একজন ইউএনও যখন চলে যায় তখন কিন্তু মানুষ কাঁদে।

বহুদিন তাকে মনে রাখে। সব গুণাবলি যেন থাকে, তারা যেন অতি মানবিক হয়। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাইট ম্যান রাইট প্লেস’ অর্থাৎ যে ব্যক্তি যেখানে পারফেক্ট তাকে সেখানের জন্য নির্ধারণ করা। তার পারফরমেন্সটা যেন আমরা নিতে পারি, এতে সরকার লাভবান হয়। রাইট ম্যান রাইট প্লেস নীতি বাস্তবায়নের জন্য আমরা পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেইজ প্রস্তুত করছি, অর্থাৎ কে কেমন মানুষ। বিভিন্ন কোয়ালিটির জন্য বিভিন্ন মানুষ প্রয়োজন হয়। প্রত্যেক মিনিস্ট্রির নিজস্ব কাজ আছে সে কারণে দক্ষ করে গড়ে তোলা। এজন্য স্পেশাল কিছু লোক তেরি করা। তাতে করে একজন মানুষের কাছ থেকে সরকার অনেক বেশি কিছু পেতে পারবে। এজন্য আমরা ডাটাবেইজ তৈরি করতে চাই। যাতে খুব দ্রæত লোক খুঁজে পাই।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের মানবসম্পদ যাতে ওয়েস্টিজ না হয় সেজন্য আমরা কোয়ালিটির দিকে জোর দিচ্ছি।এটি সরকারের একটি সুনীতি এবং এর কারণে খুব ভালো রেজাল্ট পাচ্ছি। বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া প্রমুখ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রীতি নেই
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ