গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বিশেষ সংবাদদাতা : গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও টেলিফোন বিল বাবদ পাঁচ শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে দুই কোটি ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার মামলায় ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (ডেসকো) ও তিতাস গ্যাসের দুই কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। তারা গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও টেলিফোন বিল বাবদ দুই কোটি ৩০ লাখ টাকা আদায় করলেও ব্যাংকে বা সরকারি সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা না করে আত্মসাৎ করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
গ্র্রেফতারকৃতরা হলেন- ডেসকো মনিপুরের আউট সোর্সিং সুপারভাইজার মো. মামুন (৩২) ও তিতাস গ্যাস মিরপুরের আউট সোর্সিং কর্মচারী রকিবুল ইসলাম রাকিব (৩২)। গতকাল মঙ্গলবার পিবিআই ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম এ সব তথ্য জানান। এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে মিরপুর থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত বছরের ২০ মে থেকে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে চক্রের মূলহোতা ওমর ফারুক ইন্টার্ন ব্যাংকিং অ্যান্ড কমার্স নামে এজেন্ট ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে গ্রেফতার আসামিদের সহায়তায় অর্থ আত্মসাৎ করেন। এ অভিযোগে ভুক্তভোগী নাছির উদ্দিন (৫৭) বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলাটি মিরপুর মডেল থানা পুলিশ কর্তৃক তদন্তাধীন অবস্থায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের আদেশে পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর) এ পরবর্তী তদন্তের জন্য প্রেরণ করে। পরে পিবিআই চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে। ইতোমধ্যে মূল আসামিসহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরো বলেন, মামলায় এর আগে গ্রেফতার এজাহারনামীয় আসামি ওমর ফারুক ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ঘটনার সঙ্গে ডেসকো ও তিতাসের চুক্তিভিত্তিক নিযুক্ত দুই কর্মচারী প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে আসছিলেন বলে তার জবানবন্দিতে উঠে আসে। ডেসকো মনিপুরের আউট সোর্সিং সুপারভাইজার মামুন ও তিতাস গ্যাস মিরপুরের আউট সোর্সিং কর্মচারী রকিবুল ইসলাম রাকিব।
তারা সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী। তাদের কাজ হচ্ছে, গ্যাস বা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকলে লাইন বিচ্ছিন্ন ও নতুন সংযোগের কাজ করা। তারা দুজনই এজাহারনামীয় মূল আসামি ওমর ফারুকের ইন্টার্ন ব্যাংকিং অ্যান্ড কমার্স অফিসে যোগাযোগের মাধ্যমে টাকা নিয়ে যেত এবং তাকে প্রতারণামূলক কাজে সহায়তা করতো। তারা মনিপুর, আহম্মদনগর এলাকায় বিদ্যুৎ এবং গ্যাসলাইন কর্তন ও সংযোজনের কাজে নিয়োজিত ছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।